মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল?
A
৪ টি
B
৭ টি
C
১১ টি
D
১৪ টি
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরভিত্তিক বিভাজন
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পুরো দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল। এই সেক্টরগুলোর অধীনে ছিল মোট ৬৪টি সাব-সেক্টর।
প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে একজন করে সেক্টর কমান্ডার (অধিনায়ক) এবং প্রতিটি সাব-সেক্টরের জন্য একজন করে কমান্ডার নিযুক্ত ছিলেন।
সেক্টর অনুযায়ী সাব-সেক্টরের সংখ্যা ছিল এমন:
-
সেক্টর ১ – ৫টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ২ – ৬টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৩ – ১০টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৪ – ৬টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৫ – ৬টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৬ – ৫টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৭ – ৮টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৮ – ৭টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ৯ – ৩টি সাব-সেক্টর
-
সেক্টর ১০ – কোনো সাব-সেক্টর ছিল না এবং এই সেক্টরে নিয়মিত কোনো সেক্টর কমান্ডারও ছিল না। এটি ছিল প্রধান সেনাপতির অধীনস্থ একটি বিশেষ বাহিনী।
-
সেক্টর ১১ – ৮টি সাব-সেক্টর
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 3 months ago
অপারেশন জ্যাকপট কী ধরনের অভিযান ছিল?
Created: 2 months ago
A
স্থল
B
বিমান
C
নৌ
D
কোনটি নয়
-
অপারেশন জ্যাকপট
-
অপারেশন জ্যাকপট ছিল একটি নৌ-কমান্ডো পরিচালিত নৌ-অভিযান, যেখানে জলপথে পাকিস্তানি বাহিনীকে আঘাত করা হয়।
-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশি নৌ-কমান্ডোরা বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে অল্প সময়ে যুদ্ধের গতি সম্পর্কে বিশ্বকে ধারণা দিতে সক্ষম হয়।
-
প্রথম অভিযান: ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট নৌ-কমান্ডো বাহিনী একযোগে মংলা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ বন্দর আক্রমণ করে।
-
এ অভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর ২৬টি পণ্য ও সমরাস্ত্রবাহী জাহাজ এবং গানবোট ডুবিয়ে দেয়া হয়।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাঞ্চলকে যে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়, তার মধ্যে ১০নং সেক্টরের অধীনে ছিল নৌ-কমান্ডো।
-
মূলত এই সেক্টরটি সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা, নদী ও সমুদ্র বন্দরসহ বাংলাদেশের সমগ্র জলপথ অন্তর্ভুক্ত করত।
-
সূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
’গেরিলা’ চলচ্চিত্রটির পরিচালক কে?
Created: 1 month ago
A
তারেক মাসুদ
B
সৈয়দ শামসুল হক
C
নাসির উদ্দীন ইউসুফ
D
খান আতাউর রহমান
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলো কেবল ইতিহাসের দলিল নয়, বরং মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের চিত্রও তুলে ধরে। এ ধরনের চলচ্চিত্র দর্শকদের স্বাধীনতার প্রকৃত তাৎপর্য অনুভব করতে সাহায্য করে।
-
নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা হলো ‘গেরিলা’।
-
সিনেমাটি সৈয়দ শামসুল হক এর উপন্যাস ‘নিষিদ্ধ লোবান’ অবলম্বনে নির্মিত।
-
২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন—জয়া আহসান, ফেরদৌস, এটিএম শামসুজ্জামান, রাইসুল ইসলাম আসাদ, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী ওয়াদুদ, শম্পা রেজা, গাজী রাকায়েত প্রমুখ।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো—
-
‘আবার তোরা মানুষ হ’ — পরিচালনা: খান আতাউর রহমান।
-
‘ওরা ১১ জন’ — স্বাধীনতার পর নির্মিত প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র; পরিচালনা করেছেন চাষী নজরুল ইসলাম।
-
‘মেঘের অনেক রং’ — পরিচালনা: হারুনর রশীদ; মুক্তি পায় ১৯৭৬ সালে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মসমর্পণকারী পাকিস্তানি সেনার সংখ্যা কত ছিল?
Created: 1 month ago
A
৮৯ হাজার
B
৯১ হাজার
C
৯৩ হাজার
D
৯৭ হাজার
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত হয়, যখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে মিত্রবাহিনীর কাছে নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করে। এই ঘটনার মাধ্যমে ২৬ মার্চ শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধের সফল সমাপ্তি ঘটে।
-
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সকালে মানেকশ ভারতের পূর্বাঞ্চল বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল জে এফ আর জেকবকে আত্মসমর্পণের দলিল ও আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
-
বিকেলে, ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ৯৩ হাজার সৈন্য বিনা শর্তে সম্মিলিত বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।
-
আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন পূর্বাঞ্চলের সম্মিলিত বাহিনী প্রধান লেঃ জেনারেল জগজিত সিং অরোরা এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় অধিনায়ক লেঃ জেঃ এ কে নিয়াজী।
-
এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিবাহিনীর উপ-সেনা প্রধান ও বিমান বাহিনী প্রধান গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার।
-
বাংলাদেশের শত্রুমুক্ত হওয়ার দিন হিসেবে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ প্রতি বছর বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়।
-
অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর অন্যান্য নেতৃস্থানীয়রা ছিলেন: এস ফোর্স অধিনায়ক লেঃ কর্নেল কে এম সফিউল্লাহ, ২নং সেক্টরের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এ টি এম হায়দার, এবং টাঙ্গাইল মুক্তি বাহিনীর অধিনায়ক জনাব কাদের সিদ্দিকী।
0
Updated: 1 month ago