'সংগঠিত রাষ্ট্রের প্রেক্ষিতে মানজীবনের আলোচনাই হচ্ছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান' উক্তিটি কে করেছেন?
A
গেটেল
B
সিলি
C
লাস্কি
D
গার্নার
উত্তরের বিবরণ
অধ্যাপক লাস্কির মতে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এমন এক শাস্ত্র যা সংগঠিত রাষ্ট্রের প্রেক্ষিতে মানবজীবন, সমাজ ও রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা করে। তাঁর সংজ্ঞা অনুযায়ী রাষ্ট্রবিজ্ঞান কেবল রাষ্ট্রের গঠন বা নীতির সীমায় আবদ্ধ নয়, বরং রাষ্ট্র কীভাবে মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে এবং মানবজীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে ওঠে, সেই বিষয়গুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করে।
-
রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি বিজ্ঞানভিত্তিক শাস্ত্র, যা রাষ্ট্র ও মানবজীবনের সম্পর্ক নিয়ে বিশ্লেষণ করে।
-
সংগঠিত রাষ্ট্র বলতে বোঝায় এমন এক রাষ্ট্র যেখানে সুনির্দিষ্ট প্রশাসনিক কাঠামো, শাসনব্যবস্থা ও কর্তৃত্বের স্বীকৃত রূপ বিদ্যমান।
-
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত হয় নাগরিকদের অধিকার, কর্তব্য, স্বাধীনতা ও সামাজিক সম্পর্কের বিশ্লেষণ।
-
এটি বোঝায় যে রাষ্ট্র কেবল শাসনের কাঠামো নয়, বরং মানুষের জীবনযাত্রা ও সমাজব্যবস্থার সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত।
-
লাস্কি রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে এমন একটি ক্ষেত্র হিসেবে উপস্থাপন করেছেন যেখানে রাষ্ট্র ও মানুষ পরস্পরনির্ভরশীল এবং উভয়ের বিকাশ একে অপরের ওপর নির্ভর করে।
-
এই দৃষ্টিভঙ্গি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মানবিক দিককে স্পষ্ট করে, যেখানে রাষ্ট্র কেবল ক্ষমতার প্রতীক নয়, বরং মানবকল্যাণ ও সামাজিক ভারসাম্যের মাধ্যম।

0
Updated: 1 day ago
'অনিয়ন্ত্রিত আমলাতন্ত্র গণতন্ত্রের জন্য হুমকীস্বরূপ' - উক্তিটি কার?
Created: 1 day ago
A
এল ডি হোয়াইট
B
লুথার গুলিক
C
রিচার্ড ক্রশম্যান
D
উড্রো উইলসন
রিচার্ড ক্রসম্যানের মতে, নিয়ন্ত্রণহীন ও স্বেচ্ছাচারী আমলাতন্ত্র গণতন্ত্রের জন্য একটি গুরুতর হুমকি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রশাসনকে জনগণের প্রতিনিধি এবং আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকতে হয়; অন্যথায় প্রশাসনিক ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়ে জনগণের অংশগ্রহণ ও স্বায়ত্তশাসন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
-
ক্রসম্যানের দৃষ্টিতে, আমলাতন্ত্রের কাজ হলো সরকারের নীতি বাস্তবায়ন করা, কিন্তু যখন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা নিজেদের ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নেন, তখন তা জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক শাসনব্যবস্থার পরিপন্থী হয়ে ওঠে।
-
এ ধরনের অনিয়ন্ত্রিত প্রশাসন সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে বিশ্বাসের সেতুবন্ধন ভেঙে দেয়, যার ফলে জনগণের অংশগ্রহণ সীমিত হয়ে পড়ে।
-
ক্ষমতার অতিরিক্ত কেন্দ্রীভূততা তৈরি হলে জনগণের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হয় এবং নীতি নির্ধারণে নাগরিক প্রভাব দুর্বল হয়ে যায়।
-
কার্যকর গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে প্রশাসনের ওপর জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য।
-
সংবিধান ও আইনের মাধ্যমে আমলাতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে জনগণের প্রতিনিধি ও সংসদের তদারকি নিশ্চিত করা উচিত।
-
জনসাধারণের প্রতিনিধিরা যদি প্রশাসনের ওপর নজরদারি রাখেন, তবে নীতিমালা বাস্তবায়নে ভারসাম্য বজায় থাকে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করা যায়।
-
ক্রসম্যানের মতে, গণতন্ত্রের প্রকৃত শক্তি জনগণের নিয়ন্ত্রণ ও নৈতিক শাসনে নিহিত, আর নিয়ন্ত্রণহীন আমলাতন্ত্র সেই ভিত্তিকেই দুর্বল করে তোলে।

0
Updated: 1 day ago
'ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরন থাকবে, তবে তার মাত্রা নির্ধারিত থাকবে'- উক্তিটি কার?
Created: 1 day ago
A
এল, ডি. ওয়াইট
B
হ্যারন্ড যে. লাস্কি
C
অধ্যাপক এফেন
D
অধ্যাপক ক্যারল
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ হলো এমন একটি প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ধারণা, যেখানে রাষ্ট্রের ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীভূত থাকে না, বরং কিছু অংশ স্থানীয় বা আঞ্চলিক পর্যায়ে বিতরণ করা হয়। তবে এই বিকেন্দ্রীকরণ সীমাহীন নয়; এটি একটি নিয়ন্ত্রিত ও সুষম প্রক্রিয়া, যাতে রাষ্ট্রীয় ঐক্য বজায় রেখে প্রশাসনিক দক্ষতা নিশ্চিত করা যায়।
-
মূল ধারণা: ক্ষমতা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হলেও কিছু ক্ষমতা স্থানীয় সংস্থাগুলোর কাছে ন্যস্ত করা হয়, যাতে প্রশাসন কার্যকর ও জনগণের নিকটবর্তী হয়।
-
সুষম বিকেন্দ্রীকরণ: বিকেন্দ্রীকরণের মাত্রা নির্দিষ্ট সীমায় থাকে, যাতে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ও স্থানীয় স্বাধীনতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে।
-
এল. ডি. ওয়াইটের বিশ্লেষণ: তিনি প্রশাসন ও সরকারি কাঠামো বিশ্লেষণ করতে গিয়ে উল্লেখ করেছেন যে, বিকেন্দ্রীকরণ থাকা উচিত, তবে তার মাত্রা নির্ধারিত থাকবে যাতে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা নষ্ট না হয়।
-
আধুনিক রাষ্ট্রের প্রাসঙ্গিকতা: আধুনিক রাষ্ট্রে এই ধারণা জনপ্রিয়, কারণ এটি প্রশাসনিক অংশগ্রহণ, সুশাসন ও নীতিনির্ধারণের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
-
চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ: সরকারি ক্ষমতা বিভিন্ন পর্যায়ে বিতরণ হলেও, সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ থাকে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে, যাতে নীতির ঐক্য ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা পায়।

0
Updated: 1 day ago
'সিদ্ধান্ত গ্রহণই Heart of the Administration' এই উক্তিটি কার?
Created: 1 day ago
A
হার্বার্ট সাইমন
B
হিকস ও গুলেট
C
ল্যাসওয়েল
D
সি. আই, বার্নার্ড
প্রশাসনের মূল কার্যক্রম হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন। আধুনিক প্রশাসন তত্ত্বে প্রশাসনকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়। হার্বার্ট সাইমন আধুনিক প্রশাসন ও সিদ্ধান্ত তত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর মতে, “Decision-making is the heart of administration”, অর্থাৎ প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু হলো সিদ্ধান্ত গ্রহণ। প্রশাসনের প্রতিটি কার্যক্রমই সঠিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে, কারণ সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করে প্রশাসনিক কাজের দিকনির্দেশনা ও ফলাফল।
• প্রশাসনের দক্ষতা নির্ভর করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের গুণগত মানের ওপর।
• প্রশাসনের তিনটি ধাপ—পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন—সবগুলোই সিদ্ধান্তের ফল।
• হার্বার্ট সাইমন প্রশাসনিক আচরণ (Administrative Behavior) গ্রন্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণকে প্রশাসনিক বিজ্ঞানের মূল কেন্দ্র হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
• হিকস ও গুলেট শ্রম ও ব্যবস্থাপনা অর্থনীতি নিয়ে কাজ করেছেন, তবে প্রশাসনের মূল ভাবনা তাদের কেন্দ্রে নয়।
• ল্যাসওয়েল রাজনৈতিক আচরণ ও ক্ষমতার বিশ্লেষণ নিয়ে কাজ করেছেন, কিন্তু প্রশাসনের কেন্দ্র হিসেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ধারণা তাঁর নয়।
• সি. আই. বার্নার্ড সংগঠন ও নেতৃত্বের তত্ত্বে অবদান রেখেছেন, তবে “Decision-making is the heart of administration” উক্তিটি তাঁর নয়।

0
Updated: 1 day ago