স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য ‘বীরপ্রতীক’ উপাধি লাভ করে কত জন?
A
৭ জন
B
৬৮ জন
C
১৭৫ জন
D
৪২৬ জন
উত্তরের বিবরণ
বীরপ্রতীক উপাধি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য ৬৮ জন মুক্তিযোদ্ধাকে দেওয়া হয়েছিল। এটি ছিল বাংলাদেশ সরকারের তৃতীয় সর্বোচ্চ মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে, সারা দেশব্যাপী মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতা এবং ত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে এই উপাধি প্রদান করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার জন্য প্রধানত তিনটি উপাধি দেওয়া হয়েছিল:
বীরশ্রেষ্ঠ: সর্বোচ্চ সাহসিকতা ও অবদানের জন্য ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা এই উপাধি লাভ করেন।
বীরবিক্রম: দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা, যা ২৭০ জনকে দেওয়া হয়েছিল।
বীরপ্রতীক: তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা, যার জন্য ৬৮ জন মুক্তিযোদ্ধা নির্বাচিত হন।

0
Updated: 1 day ago
মুক্তিবাহিনীর প্রথম ব্রিগেডটি কী নামে পরিচিত?
Created: 2 weeks ago
A
এস ফোর্স
B
কে ফোর্স
C
এন ফোর্স
D
জেড ফোর্স
জেড ফোর্স, এস ফোর্স ও কে ফোর্স মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত প্রধান নিয়মিত ব্রিগেড।
-
জেড ফোর্স:
-
মুক্তিবাহিনীর প্রথম ব্রিগেড, জুলাই মাসে গঠিত।
-
কমান্ডার ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান, যার নামের ইংরেজি আদ্যক্ষর 'Z' অনুসারে ব্রিগেডের নামকরণ করা হয়েছে।
-
গঠিত হয় ১ম, ৩য় ও ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নিয়ে।
-
-
এস ফোর্স:
-
দ্বিতীয় নিয়মিত ব্রিগেড, অক্টোবর মাসে গঠিত।
-
গঠিত হয় দ্বিতীয় ও একাদশ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের নিয়ে।
-
অধিনায়ক ছিলেন সফিউল্লাহ।
-
-
কে ফোর্স:
-
গঠিত হয় ৭ই অক্টোবর।
-
গঠিত হয় ৪র্থ, ৯ম ও ১০ম ইস্ট বেঙ্গলের সদস্যদের নিয়ে।
-
অধিনায়ক ছিলেন খালেদ মোশাররফ, যার নামের ইংরেজি আদ্যক্ষর 'K' অনুসারে ব্রিগেডের নামকরণ করা হয়েছে।
-

0
Updated: 2 weeks ago
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কোথায় আত্মসমর্পণ করেন?
Created: 2 weeks ago
A
পল্টনে
B
টিএসসি
C
ঢাকা সেনানিবাসে
D
রেসকোর্স ময়দানে
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে। যৌথ বাহিনীর কঠোর আক্রমণের পর পাকিস্তানি সেনারা অবশেষে আত্মসমর্পণে সম্মত হন।
-
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডার প্রধান লে. জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ খান নিয়াজী ৯৩ হাজার সৈন্যসহ আত্মসমর্পণ করেন।
-
পাকিস্তানের পক্ষে নিয়াজী এবং যৌথ বাহিনীর পক্ষে লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা স্বাক্ষর করেন।
-
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ. কে. খন্দকার আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

0
Updated: 2 weeks ago
ঢাকার বাহিরে অপারেশন সার্চলাইটের দায়িত্বে ছিলেন কে?
Created: 5 months ago
A
রাও ফরমান আলী
B
টিক্কা খান
C
খাদিম হোসেন রাজা
D
মোহাম্মদ নিয়াজী
অপারেশন সার্চলাইটের পরিকল্পনা:
- পাকিস্তানি সেনারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পূর্ব পাকিস্তানে যে গণহত্যামূলক অভিযান চালিয়েছিল তার নাম দিয়েছিল ‘অপারেশন সার্চ লাইট’।
- পাকিস্তান বাহিনীর ১৪ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা এবং ৫৭ ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী খান ১৯৭১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি অপারেশন সার্চলাইট নামে একটি সামরিক অভিযানের বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছেন।
- ১৭ মার্চ চীফ অব স্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খানের নির্দেশে জেনারেল রাজা পরদিন ঢাকা সেনানিবাসে জিওসি অফিসে অপারেশন সার্চলাইট পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন।
- এই অপারেশন সার্চ লাইট অনুযায়ী ঢাকা শহরের গণহত্যার মূল দায়িত্ব দেওয়া হয় জেনারেল রাও ফরমান আলীকে।
- ঢাকার বাহিরে এ অপারেশনের দায়িত্ব পান জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা।
- এ পরিকল্পনার সার্বিক তত্ত্বাবধান অর্থাৎ মূল দায়িত্বে ছিলেন জেনারেল টিক্কা খান।
তথ্যসূত্র - বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি এবং বিবিসি।

0
Updated: 5 months ago