বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি কে ছিলেন?
A
শেখ মুজিবুর রহমান
B
জেনারেল আতাউল গণি ওসমানি
C
তাজউদ্দিন আহমেদ
D
ক্যাপটেন মনসুর আলী
উত্তরের বিবরণ
জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী
জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সশস্ত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি।
-
১৯৭০ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
-
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকার গঠনের পর, তাকে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
-
স্বাধীনতা লাভের পর, ২৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তিনি "জেনারেল" পদে উন্নীত হন, যা কার্যকর ধরা হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে।
অন্যদিকে:
-
মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
-
উপ-সেনাপতির দায়িত্বে ছিলেন এ কে খন্দকার।
-
আর মুক্তিযুদ্ধের সময় চিফ অব স্টাফ ছিলেন কর্নেল এম এ রব।
তথ্যসূত্র:বাংলাপিডিয়া, জাতীয় তথ্য বাতায়ন।
0
Updated: 3 months ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় কয়টি ব্রিগেড ফোর্স গঠন করা হয়?
Created: 1 month ago
A
৩টি
B
৪টি
C
৬টি
D
১১টি
মুজিবনগর সরকার পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১৯৭১ সালের ১১ জুলাই মুক্তিবাহিনী গঠন করে, যেখানে সামরিক ও বেসামরিক সকল জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মুক্তিবাহিনী দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল: নিয়মিত বাহিনী এবং অনিয়মিত বাহিনী, যাকে গণবাহিনী নামে পরিচিত করা হয়।
-
গণবাহিনীর সদস্যরা ছিলেন ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক ও রাজনৈতিক কর্মী, যারা প্রাথমিক প্রশিক্ষণের পর বিভিন্ন সেক্টরে নিয়োগপ্রাপ্ত হতেন।
-
গণবাহিনীর মূল কাজ ছিল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শত্রুর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করা।
-
নিয়মিত বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের সৈন্যরা, যারা প্রথাগত যুদ্ধে নিয়োজিত থাকতেন।
-
১৪ এপ্রিল ১৯৭১ কর্নেল এম. এ. জি. ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করা হয়।
-
বাংলাদেশ বাহিনীর হেডকোয়ার্টার কোলকাতার ৮ নম্বর থিয়েটার রোডে স্থাপিত হয়।
মে ও জুন মাসে মুক্তিবাহিনীকে তিনটি ব্রিগেড ফোর্সে বিভক্ত করা হয়:
-
‘কে’ ফোর্স: অধিনায়ক মেজর খালেদ মোশাররফ
-
‘এস’ ফোর্স: অধিনায়ক মেজর কে. এম সফিউল্লাহ
-
‘জেড’ ফোর্স: অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান
0
Updated: 1 month ago
অপারেশন জ্যাকপট কী ধরনের অভিযান ছিল?
Created: 2 months ago
A
স্থল
B
বিমান
C
নৌ
D
কোনটি নয়
-
অপারেশন জ্যাকপট
-
অপারেশন জ্যাকপট ছিল একটি নৌ-কমান্ডো পরিচালিত নৌ-অভিযান, যেখানে জলপথে পাকিস্তানি বাহিনীকে আঘাত করা হয়।
-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশি নৌ-কমান্ডোরা বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে অল্প সময়ে যুদ্ধের গতি সম্পর্কে বিশ্বকে ধারণা দিতে সক্ষম হয়।
-
প্রথম অভিযান: ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট নৌ-কমান্ডো বাহিনী একযোগে মংলা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ বন্দর আক্রমণ করে।
-
এ অভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর ২৬টি পণ্য ও সমরাস্ত্রবাহী জাহাজ এবং গানবোট ডুবিয়ে দেয়া হয়।
-
মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাঞ্চলকে যে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়, তার মধ্যে ১০নং সেক্টরের অধীনে ছিল নৌ-কমান্ডো।
-
মূলত এই সেক্টরটি সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা, নদী ও সমুদ্র বন্দরসহ বাংলাদেশের সমগ্র জলপথ অন্তর্ভুক্ত করত।
-
সূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ কোথায় সংঘটিত হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
ঢাকা
B
গাজীপুর
C
চট্টগ্রাম
D
রাজশাহী
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ সংঘটিত হয় ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ গাজীপুরের জয়দেবপুরে, যখন স্থানীয় জনগণ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়।
-
১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ, ঢাকা ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার থেকে আকস্মিকভাবে পাকিস্তানি রেজিমেন্ট জয়দেবপুরে পৌঁছে। এই বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার জাহান জেব।
-
রেজিমেন্টের উদ্দেশ্য ছিল দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করা।
-
খবরটি জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ জনতা জয়দেবপুরে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
-
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জনতার ওপর সশস্ত্র গুলিবর্ষণ করলে অনেকেই শহীদ হন।
-
এ ঘটনার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের ইতিহাস গড়ে ওঠে।
0
Updated: 1 month ago