Rapport' শব্দটি সমাজকর্মে ব্যবহৃত হয় কী বোঝাতে-
A
ব্যক্তিগত মর্যাদা
B
প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব
C
অর্থগত সম্পর্ক
D
পেশাগত সম্পর্ক
উত্তরের বিবরণ
সমাজকর্মে ‘Rapport’ বলতে বোঝানো হয় সমাজকর্মী এবং সাহায্যপ্রার্থীর (ক্লায়েন্ট) মধ্যে গড়ে ওঠা বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে গঠিত ঘনিষ্ঠ কিন্তু পেশাগত সম্পর্ক। এটি সমাজকর্ম প্রক্রিয়ার প্রাথমিক ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, কারণ কার্যকর সহায়তা প্রদান এবং সমস্যা সমাধানের ভিত্তি এই সম্পর্কের উপর নির্ভর করে।
এই সম্পর্কের মাধ্যমে ক্লায়েন্ট নিজের সমস্যা, অনুভূতি ও উদ্বেগ সম্পর্কে খোলামেলা ও নিরাপদভাবে কথা বলতে পারেন। অন্যদিকে, সমাজকর্মী ক্লায়েন্টের পরিস্থিতি গভীরভাবে বোঝার সুযোগ পান এবং তার প্রয়োজন অনুযায়ী উপযুক্ত সহায়তা পরিকল্পনা করতে পারেন।
‘Rapport’-এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
১) পারস্পরিক বিশ্বাস (Mutual Trust): ক্লায়েন্ট সমাজকর্মীর প্রতি আস্থা রাখেন যে তিনি তার সমস্যা গোপন রাখবেন ও সদর্থকভাবে সাহায্য করবেন।
২) শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি (Respect and Empathy): সমাজকর্মী ক্লায়েন্টের অনুভূতি, মতামত ও অভিজ্ঞতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।
৩) বোঝাপড়া ও গ্রহণযোগ্যতা (Understanding and Acceptance): সমাজকর্মী ক্লায়েন্টকে বিচার না করে তার দৃষ্টিভঙ্গি ও অবস্থানকে বুঝতে চেষ্টা করেন।
৪) খোলামেলা যোগাযোগ (Open Communication): ক্লায়েন্ট ও সমাজকর্মীর মধ্যে আন্তরিক ও অবাধ সংলাপ স্থাপিত হয়।
৫) সহযোগিতার মনোভাব (Cooperation): উভয়েই সমস্যার সমাধানে একসাথে কাজ করেন, যা পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে ফলপ্রসূ হয়।

0
Updated: 17 hours ago
সমস্যাগ্রস্থ ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে বুঝানো হয়-
Created: 18 hours ago
A
ব্যক্তির মূল্যবোধের বিকাশ
B
ব্যক্তির সততার বিকাশ
C
ব্যক্তির পারিপার্শ্বিক বিকাশ
D
ব্যক্তির সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ
সমাজকর্মে সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে বোঝানো হয় সেই সকল নিজস্ব ক্ষমতা, দক্ষতা, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও মানসিক দৃঢ়তা, যা একজন ব্যক্তি নিজের সমস্যা মোকাবিলায় ব্যবহার করতে পারে। সমাজকর্মের অন্যতম মূল ধারণা হলো—প্রত্যেক মানুষের ভেতরেই কিছু না কিছু সুপ্ত সামর্থ্য ও ইতিবাচক শক্তি থাকে, যা সঠিক দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে বিকশিত করা সম্ভব।
এই অন্তর্নিহিত শক্তি ব্যক্তি সমাজকর্মের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত, কারণ সমাজকর্মের লক্ষ্য কেবল সাহায্য প্রদান নয়, বরং ব্যক্তিকে নিজের সমস্যার সমাধানে সক্ষম করে তোলা।
ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তির মূল দিকগুলো হলো—
১) ব্যক্তিগত দক্ষতা ও সামর্থ্য: যেমন আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা।
২) মানসিক ও আবেগিক দৃঢ়তা: চাপ, দুঃখ বা ব্যর্থতা মোকাবিলার মানসিক প্রস্তুতি ও ইতিবাচক মনোভাব।
৩) সামাজিক ও পারিবারিক সমর্থন: পরিবার, বন্ধু, সমাজ বা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা, যা ব্যক্তির পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
৪) অভ্যন্তরীণ প্রেরণা ও লক্ষ্য সচেতনতা: নিজের জীবনে পরিবর্তন আনার ইচ্ছাশক্তি ও লক্ষ্যের প্রতি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।
৫) সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতা: নিজের চারপাশের সহায়ক উপকরণ ও সুযোগগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর কার্যকর ব্যবহার।
সমাজকর্মী এই অন্তর্নিহিত শক্তিগুলো শনাক্ত করে ব্যক্তিকে নিজের সামর্থ্য কাজে লাগাতে উদ্বুদ্ধ করেন, যাতে সে আত্মনির্ভর ও সমাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে।

0
Updated: 18 hours ago
নির্ভরতার তত্ত্বে অনুমিত ধারনা কোনটি?
Created: 18 hours ago
A
উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলো উন্নত রাষ্ট্রের উপর নিরভরশীল
B
রাষ্ট্রের উন্নয়ন আন্তর্জাতিক বাজার ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল
C
রাষ্ট্রের উন্নয়ন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নীতির উপর নির্ভরশীল
D
ব্যক্তি, সমাজ, ও রাষ্ট্র পরস্পর নির্ভরশীল
নির্ভরতা তত্ত্ব (Dependency Theory) হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ সমাজ-অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, যা অর্থনৈতিক অনুন্নয়নকে বোঝার একটি বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। এই তত্ত্বের মূল ধারণা হলো—বিশ্বব্যাপী বিদ্যমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো এমনভাবে গঠিত, যা উন্নত দেশগুলিকে লাভবান করে এবং অনুন্নত দেশগুলিকে নির্ভরশীল অবস্থায় আবদ্ধ রাখে।
এই তত্ত্বটি প্রথম প্রস্তাব করেন আর্জেন্টিনার অর্থনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক রাউল প্রেবিশ ১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে। পরবর্তীতে ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে এই তত্ত্বটি লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ার অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে বিশেষ গুরুত্ব লাভ করে।
নির্ভরতা তত্ত্বের মূল ধারণাগুলো হলো:
১) বিশ্ব অর্থনীতিতে কেন্দ্র ও প্রান্তের বিভাজন: বিশ্ব অর্থনীতি দুটি ভাগে বিভক্ত — ধনী কেন্দ্র (Core) এবং দরিদ্র প্রান্ত (Periphery)। কেন্দ্রের দেশগুলো প্রযুক্তি, শিল্প এবং মূলধন নিয়ন্ত্রণ করে, আর প্রান্তের দেশগুলো কাঁচামাল ও সস্তা শ্রম সরবরাহ করে।
২) অসাম্য বিনিময়: অনুন্নত দেশগুলো বিশ্ববাজারে সস্তা কাঁচামাল ও শ্রম বিক্রি করে, কিন্তু উন্নত দেশগুলো সেই উপকরণ ব্যবহার করে উচ্চমূল্যের প্রস্তুত পণ্য তৈরি করে আবার অনুন্নত দেশগুলোকেই বিক্রি করে।
৩) অর্থনৈতিক শোষণ ও পুঁজি হ্রাস: এই প্রক্রিয়ায় অনুন্নত দেশগুলোর মূলধন ও উৎপাদনশীল ক্ষমতা ক্রমশ হ্রাস পায়, যা তাদের স্থায়ীভাবে নির্ভরশীল অবস্থায় রাখে।
৪) উন্নয়নের সীমাবদ্ধতা: নির্ভরতা তত্ত্ব অনুযায়ী, এই বৈশ্বিক কাঠামোর মধ্যে প্রকৃত উন্নয়ন প্রায় অসম্ভব, কারণ প্রান্তের দেশগুলো সবসময় কেন্দ্রের অর্থনৈতিক স্বার্থের অধীন থাকে।
বিভিন্ন তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি:
-
ফার্নান্দো হেনরিক কার্ডোসো (ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি, ১৯৯৫–২০০৩) যুক্তি দেন যে, নির্ভরতার মধ্যেও কিছু মাত্রার উন্নয়ন সম্ভব, যদি দেশগুলো নিজেদের অভ্যন্তরীণ নীতি ও শিল্প উন্নয়নে মনোযোগ দেয়।
-
অন্যদিকে, আন্দ্রে গুন্ডার ফ্রাঙ্ক, একজন জার্মান-আমেরিকান অর্থনৈতিক ইতিহাসবিদ, মত দেন যে এই নির্ভরতা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হলো অ-পুঁজিবাদী (সমাজতান্ত্রিক) অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
অতএব, নির্ভরতা তত্ত্ব বিশ্ব অর্থনীতির বৈষম্য ও অনুন্নয়নের কারণ ব্যাখ্যা করে দেখায় যে, বৈশ্বিক উন্নয়নের প্রক্রিয়া মূলত একপাক্ষিক, যেখানে উন্নত দেশগুলোর সমৃদ্ধি অনুন্নত দেশগুলোর ওপর নির্ভর করে।

0
Updated: 18 hours ago
বেগম রোকেয়া কেন বিখ্যাত?
Created: 18 hours ago
A
নারী উন্নয়নের জন্য
B
নারী জাগরণের জন্য
C
বই লেখার জন্য
D
পুরুষ-বিদ্বেষের জন্য
বেগম রোকেয়া বিখ্যাত কারণ তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারীবাদী, নারী জাগরণের অগ্রদূত এবং একজন বিশিষ্ট লেখক ও সমাজকর্মী। তিনি নারী শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা ও সমাজে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তাঁর সাহিত্যকর্ম যেমন সুলতানার স্বপ্ন ও অবরোধবাসিনী নারীর মুক্তি, শিক্ষার গুরুত্ব এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান প্রকাশ করে।
তিনি সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করেন এবং মুসলিম নারী শিক্ষার প্রসারে বেথুন স্কুলের আদলে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা তাঁর নারী জাগরণে বাস্তব অবদানের প্রমাণ।
যদিও অপশন a ও c-তে আংশিকভাবে সঠিক তথ্য রয়েছে, তবুও সম্পূর্ণ ও সঠিক উত্তর হিসেবে সবচেয়ে উপযুক্ত অপশন b।

0
Updated: 18 hours ago