'আচরণ সংশোধন' কৌশল কোন ক্ষেত্রে বেশী প্রয়োগ করা হয়?
A
দ্বন্দ্ব নিরসনে
B
সামাজিক নিয়ন্ত্রণে
C
আসক্তি নিরাময়ে
D
সমাজ সংস্কার আন্দোলনে
উত্তরের বিবরণ
আচরণ সংশোধন (Behavior Modification) হলো এমন একটি কৌশল, যা মূলত শিক্ষা, মনোবিজ্ঞান, থেরাপি এবং সমাজকর্মে ব্যবহৃত হয় মানুষের আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। এটি শিক্ষণ তত্ত্ব (Learning Theory), বিশেষ করে বি. এফ. স্কিনারের (B.F. Skinner) প্রবর্তিত অপারেন্ট কন্ডিশনিং (Operant Conditioning) নীতির ওপর ভিত্তি করে গঠিত। এই পদ্ধতিতে ব্যক্তির কাঙ্ক্ষিত আচরণকে উৎসাহিত করা হয় এবং অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ ধীরে ধীরে পরিবর্তনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
সমাজকর্মের ক্ষেত্রে আচরণ সংশোধন কৌশল বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি—
১) সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তির আচরণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যেমন রাগ, উদ্বেগ, হিংসা বা আত্মবিধ্বংসী প্রবণতা কমানো।
২) মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে ভূমিকা রাখে, যেমন আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, ইতিবাচক চিন্তা ও সামাজিক মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা বিকাশ।
৩) শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে, যেখানে ইতিবাচক আচরণকে উৎসাহিত করা হয় এবং কর্মপরিবেশে শৃঙ্খলা বজায় রাখা হয়।
৪) থেরাপি ও কাউন্সেলিংয়ে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে ব্যক্তির মানসিক বা আবেগীয় সমস্যাগুলো নিরসনে।
এক্ষেত্রে আসক্তি নিরাময়ে আচরণ সংশোধনের ব্যবহার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আসক্ত ব্যক্তিদের ধীরে ধীরে মাদক বা ক্ষতিকর অভ্যাস থেকে দূরে রাখতে ইতিবাচক প্রণোদনা, পর্যবেক্ষণ এবং বিকল্প আচরণ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নতুন অভ্যাস গঠনে সহায়তা করা হয়।

0
Updated: 17 hours ago
সমাজকর্ম পেশার ধর্ম হলো-
Created: 18 hours ago
A
সক্ষমকারী ও সাহায্যকারী পেশা
B
দাতব্য পেশা
C
পরনির্ভরশীল পেশা
D
যৌগিক পেশা
সমাজকর্ম পেশার মূল ভিত্তি হলো মানবসেবা, যার মাধ্যমে ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং সম্প্রদায়ের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করা হয়। এই পেশার উদ্দেশ্য কেবল সাহায্য প্রদান নয়, বরং মানুষকে নিজেদের সমস্যা মোকাবিলায় সক্ষম করে তোলা। সমাজকর্ম এমন একটি সক্ষমকারী ও সাহায্যকারী পেশা, যা মানবমর্যাদা, ন্যায়বিচার ও সমান সুযোগের নীতিতে বিশ্বাস করে।
সমাজকর্মের প্রধান লক্ষ্যগুলো হলো—
-
ব্যক্তিগত ও সামাজিক সমস্যার কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করা।
-
দুর্বল, সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার ও সুযোগ সুরক্ষা করা।
-
ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে স্বনির্ভর করে তোলা এবং সামাজিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা।
-
সমাজে সামগ্রিক কল্যাণ, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতা প্রতিষ্ঠা করা।
অতএব, সমাজকর্ম পেশা মানবকল্যাণমুখী এক সেবা কার্যক্রম, যার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন ও ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়ন সাধিত হয়।

0
Updated: 18 hours ago
Rapport' শব্দটি সমাজকর্মে ব্যবহৃত হয় কী বোঝাতে-
Created: 17 hours ago
A
ব্যক্তিগত মর্যাদা
B
প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব
C
অর্থগত সম্পর্ক
D
পেশাগত সম্পর্ক
সমাজকর্মে ‘Rapport’ বলতে বোঝানো হয় সমাজকর্মী এবং সাহায্যপ্রার্থীর (ক্লায়েন্ট) মধ্যে গড়ে ওঠা বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে গঠিত ঘনিষ্ঠ কিন্তু পেশাগত সম্পর্ক। এটি সমাজকর্ম প্রক্রিয়ার প্রাথমিক ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, কারণ কার্যকর সহায়তা প্রদান এবং সমস্যা সমাধানের ভিত্তি এই সম্পর্কের উপর নির্ভর করে।
এই সম্পর্কের মাধ্যমে ক্লায়েন্ট নিজের সমস্যা, অনুভূতি ও উদ্বেগ সম্পর্কে খোলামেলা ও নিরাপদভাবে কথা বলতে পারেন। অন্যদিকে, সমাজকর্মী ক্লায়েন্টের পরিস্থিতি গভীরভাবে বোঝার সুযোগ পান এবং তার প্রয়োজন অনুযায়ী উপযুক্ত সহায়তা পরিকল্পনা করতে পারেন।
‘Rapport’-এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
১) পারস্পরিক বিশ্বাস (Mutual Trust): ক্লায়েন্ট সমাজকর্মীর প্রতি আস্থা রাখেন যে তিনি তার সমস্যা গোপন রাখবেন ও সদর্থকভাবে সাহায্য করবেন।
২) শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি (Respect and Empathy): সমাজকর্মী ক্লায়েন্টের অনুভূতি, মতামত ও অভিজ্ঞতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।
৩) বোঝাপড়া ও গ্রহণযোগ্যতা (Understanding and Acceptance): সমাজকর্মী ক্লায়েন্টকে বিচার না করে তার দৃষ্টিভঙ্গি ও অবস্থানকে বুঝতে চেষ্টা করেন।
৪) খোলামেলা যোগাযোগ (Open Communication): ক্লায়েন্ট ও সমাজকর্মীর মধ্যে আন্তরিক ও অবাধ সংলাপ স্থাপিত হয়।
৫) সহযোগিতার মনোভাব (Cooperation): উভয়েই সমস্যার সমাধানে একসাথে কাজ করেন, যা পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে ফলপ্রসূ হয়।

0
Updated: 17 hours ago
বিদ্যালয় সমাজকর্ম চালু হয় কত সালে?
Created: 17 hours ago
A
১৯৬৯ সালে
B
১৯৭০ সালে
C
১৯৭৯ সালে
D
১৯৮০ সালে
বিদ্যালয় সমাজকর্মের ইতিহাস অনুযায়ী, এর সূচনা ঘটে ১৯০৬–০৭ শিক্ষাবর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, যেখানে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা সমাধানের জন্য সমাজকর্ম পদ্ধতি ব্যবহার শুরু হয়। পরবর্তীতে এই ধারণা অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ে এবং বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক ও সামাজিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে ওঠে।
বাংলাদেশে ১৯৬৯ সালে বিদ্যালয় সমাজকর্ম কার্যক্রম চালু হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা, অনুপস্থিতি, পারিবারিক সমস্যা, এবং সামাজিক অনুকূল পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা। তবে ১৯৮৪ সালে এই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, যদিও এর গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা আজও বিদ্যমান।
প্রশ্নে একটি অস্পষ্টতা রয়েছে, কারণ এখানে কোন দেশের বিদ্যালয় সমাজকর্মের কথা বলা হয়েছে তা নির্দিষ্ট নয়। তবে প্রদত্ত অপশনগুলো বাংলাদেশের বিদ্যালয় সমাজকর্ম চালুর প্রসঙ্গের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তাই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে উত্তর হবে অপশন “a”।

0
Updated: 17 hours ago