সমাজকর্মের বিভিন্ন দিকগুলো (aspects) হলো-
A
Curative,Preventive, Developmental, Rehabilitative
B
Curative, Suggestive, Regulative, Preventive
C
Occupational, Counseling, Rational, Understandable
D
Regulative, Rationalitive, Curative, Preventive.
উত্তরের বিবরণ
সমাজকর্মের কার্যক্রম মূলত মানুষের কল্যাণ ও সমাজে ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। এর প্রধান দিকগুলো হলো নিরাময়মূলক (Curative), প্রতিরোধমূলক (Preventive), উন্নয়নমূলক (Developmental) এবং পুনর্বাসনমূলক (Rehabilitative)। এই চারটি দিক সমাজকর্মের মৌলিক ভিত্তি গঠন করে এবং ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের সর্বাঙ্গীন কল্যাণে সমন্বিত ভূমিকা পালন করে।
প্রধান দিকসমূহের ব্যাখ্যা—
১) নিরাময়মূলক (Curative): এই দিকের লক্ষ্য হলো ইতিমধ্যে বিদ্যমান সামাজিক, মানসিক বা অর্থনৈতিক সমস্যাগুলির সমাধান করা। উদাহরণস্বরূপ— অসুস্থ, অসচ্ছল বা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করা, তাদের সমস্যা নির্ণয় ও নিরসনে সমাজকর্মী সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
২) প্রতিরোধমূলক (Preventive): এই দিকটি ভবিষ্যতে সম্ভাব্য সমস্যাগুলিকে আগে থেকেই প্রতিরোধ করার ওপর গুরুত্ব দেয়। যেমন— দারিদ্র্য, অপরাধ, বাল্যবিবাহ বা মাদকাসক্তি প্রতিরোধের জন্য সচেতনতামূলক ও প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা।
৩) উন্নয়নমূলক (Developmental): সমাজকর্মের এই দিকের উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তি ও সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন সাধন করা। যেমন— শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করা।
৪) পুনর্বাসনমূলক (Rehabilitative): এটি এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সমস্যাগ্রস্ত, বিপর্যস্ত বা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিকে পুনরায় সমাজে একীভূত করা হয়। উদাহরণস্বরূপ— আসক্ত, বন্দি, শারীরিক প্রতিবন্ধী বা দুর্যোগপীড়িত ব্যক্তিদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ও সমাজে পুনরায় স্থান করে নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা।

0
Updated: 17 hours ago
সমাজকর্ম পেশার ধর্ম হলো-
Created: 18 hours ago
A
সক্ষমকারী ও সাহায্যকারী পেশা
B
দাতব্য পেশা
C
পরনির্ভরশীল পেশা
D
যৌগিক পেশা
সমাজকর্ম পেশার মূল ভিত্তি হলো মানবসেবা, যার মাধ্যমে ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং সম্প্রদায়ের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করা হয়। এই পেশার উদ্দেশ্য কেবল সাহায্য প্রদান নয়, বরং মানুষকে নিজেদের সমস্যা মোকাবিলায় সক্ষম করে তোলা। সমাজকর্ম এমন একটি সক্ষমকারী ও সাহায্যকারী পেশা, যা মানবমর্যাদা, ন্যায়বিচার ও সমান সুযোগের নীতিতে বিশ্বাস করে।
সমাজকর্মের প্রধান লক্ষ্যগুলো হলো—
-
ব্যক্তিগত ও সামাজিক সমস্যার কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করা।
-
দুর্বল, সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার ও সুযোগ সুরক্ষা করা।
-
ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে স্বনির্ভর করে তোলা এবং সামাজিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা।
-
সমাজে সামগ্রিক কল্যাণ, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতা প্রতিষ্ঠা করা।
অতএব, সমাজকর্ম পেশা মানবকল্যাণমুখী এক সেবা কার্যক্রম, যার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন ও ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়ন সাধিত হয়।

0
Updated: 18 hours ago
ভারতবর্ষে সমাজকর্ম পাঠদানকারী প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-
Created: 18 hours ago
A
টাটা ইন্সটিটিউট
B
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
C
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
D
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়
ভারতবর্ষে সমাজকর্ম শিক্ষা প্রবর্তনের ক্ষেত্রে পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান হলো টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস (TISS)। এটি ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় স্যার দোরাবজি টাটা গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ সোশ্যাল ওয়ার্ক নামে, যা পরবর্তীতে বর্তমান নাম লাভ করে। প্রতিষ্ঠানটি সমাজকর্ম শিক্ষা ও গবেষণাকে পেশাগত কাঠামোয় রূপ দিয়ে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ায় সমাজকর্মের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এই প্রতিষ্ঠানটির বিশেষ অবদান হলো—
১) এটি ছিল ভারতের প্রথম সমাজকর্ম পাঠদানকারী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে সমাজকর্মকে একটি স্বতন্ত্র পেশাগত শিক্ষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
২) প্রায় এক দশক ধরে এটি ভারতে সমাজকর্মে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদানকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত ছিল।
৩) সমাজকর্ম শিক্ষা, সমাজনীতি, সম্প্রদায় উন্নয়ন, শ্রমনীতি, নারী ও শিশু কল্যাণ, এবং সামাজিক গবেষণার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ও গবেষণামূলক অবদান রাখে।
৪) পরবর্তীতে এটি আন্তর্জাতিক মানের সমাজকর্ম শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে, যা ভারতের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশেও সমাজকর্ম শিক্ষার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

0
Updated: 18 hours ago
মানব উন্নয়ন সূচক কোন্ তিনটি বিষয়কে নির্দেশ করে?
Created: 18 hours ago
A
শিক্ষা, আয় ও জীবন প্রত্যাশা
B
স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও শিক্ষা
C
শিক্ষা, আয় ও প্রযুক্তি
D
স্বাস্থ্য, পরিবেশ, ও আয়
মানব উন্নয়ন সূচক (HDI) হলো একটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড, যার মাধ্যমে একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের মাত্রা পরিমাপ করা হয়। এটি কেবল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে না, বরং মানুষের জীবনমান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ মানবকল্যাণের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে। এই সূচকটি জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP) প্রণয়ন করে।
HDI মূলত তিনটি মৌলিক উপাদানের ওপর ভিত্তি করে গঠিত—
১) দীর্ঘ ও স্বাস্থ্যকর জীবন: এটি পরিমাপ করা হয় জন্মের সময় প্রত্যাশিত গড় আয়ু (Life Expectancy at Birth) দ্বারা।
২) জ্ঞান বা শিক্ষা স্তর: এটি নির্ধারণ করা হয় গড় শিক্ষাবর্ষ (Mean Years of Schooling) এবং প্রত্যাশিত শিক্ষাবর্ষ (Expected Years of Schooling) — এই দুই সূচকের সমন্বয়ে।
৩) শালীন জীবনযাত্রার মান: এটি নির্ণয় করা হয় প্রতি ব্যক্তির মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় (GNI per capita) দিয়ে, যা ক্রয়ক্ষমতা সমতা (PPP) অনুযায়ী গণনা করা হয়।
এই তিনটি সূচকের গড় নির্ণয় করে একটি দেশের মানব উন্নয়ন সূচক (HDI) নির্ধারণ করা হয়। সূচকটি ০ থেকে ১-এর মধ্যে মান পায়— যেখানে ১-এর কাছাকাছি মান নির্দেশ করে উচ্চ মানব উন্নয়ন এবং ০-এর কাছাকাছি মান নির্দেশ করে নিম্ন মানব উন্নয়ন।
অতএব, মানব উন্নয়নের প্রকৃত লক্ষ্য হলো মানুষের সক্ষমতা, সুযোগ ও জীবনমান বৃদ্ধি করা, শুধুমাত্র অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নয়।

0
Updated: 18 hours ago