টি এইচ মার্শালের (T.H.Marshall) মতে কোনটি সামাজিক নীতির উদ্দেশ্য নয়?
A
দারিদ্র্য দূরীকরণ
B
সর্বাধিক কল্যাণ
C
সমতা নিশ্চিতকরণ
D
সম্পদের বন্টন
উত্তরের বিবরণ
টি. এইচ. মার্শালের মতে, সামাজিক নীতির মূল লক্ষ্য কেবল সম্পদের বণ্টন নয়, বরং সমাজে দারিদ্র্য দূরীকরণ, সর্বাধিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণ এবং সমতা প্রতিষ্ঠা করা। তিনি সামাজিক নীতিকে এমন এক প্রক্রিয়া হিসেবে দেখেছেন, যা নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার পাশাপাশি সমাজে ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে।
মার্শাল তাঁর নাগরিকত্ব তত্ত্বে (Theory of Citizenship) সামাজিক নীতির উদ্দেশ্যকে তিনটি স্তরে ব্যাখ্যা করেছেন—
১) নাগরিক অধিকার (Civil Rights): ব্যক্তি স্বাধীনতা, মত প্রকাশ, আইনগত সুরক্ষা এবং ন্যায়বিচারের অধিকার।
২) রাজনৈতিক অধিকার (Political Rights): রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকার, যেমন ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ।
৩) সামাজিক অধিকার (Social Rights): শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক নিরাপত্তা এবং ন্যূনতম জীবনমান নিশ্চিত করার অধিকার।
মার্শালের মতে, প্রকৃত নাগরিকত্ব তখনই প্রতিষ্ঠিত হয় যখন এই তিনটি অধিকার সমানভাবে সুরক্ষিত হয়। তিনি বিশ্বাস করতেন যে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো কেবল নাগরিকদের আইনি সুরক্ষা দেওয়া নয়, বরং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।

0
Updated: 18 hours ago
সমাজকর্ম পেশার ধর্ম হলো-
Created: 18 hours ago
A
সক্ষমকারী ও সাহায্যকারী পেশা
B
দাতব্য পেশা
C
পরনির্ভরশীল পেশা
D
যৌগিক পেশা
সমাজকর্ম পেশার মূল ভিত্তি হলো মানবসেবা, যার মাধ্যমে ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং সম্প্রদায়ের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করা হয়। এই পেশার উদ্দেশ্য কেবল সাহায্য প্রদান নয়, বরং মানুষকে নিজেদের সমস্যা মোকাবিলায় সক্ষম করে তোলা। সমাজকর্ম এমন একটি সক্ষমকারী ও সাহায্যকারী পেশা, যা মানবমর্যাদা, ন্যায়বিচার ও সমান সুযোগের নীতিতে বিশ্বাস করে।
সমাজকর্মের প্রধান লক্ষ্যগুলো হলো—
-
ব্যক্তিগত ও সামাজিক সমস্যার কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করা।
-
দুর্বল, সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার ও সুযোগ সুরক্ষা করা।
-
ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে স্বনির্ভর করে তোলা এবং সামাজিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা।
-
সমাজে সামগ্রিক কল্যাণ, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতা প্রতিষ্ঠা করা।
অতএব, সমাজকর্ম পেশা মানবকল্যাণমুখী এক সেবা কার্যক্রম, যার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন ও ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়ন সাধিত হয়।

0
Updated: 18 hours ago
"A person with a problem comes to a place where a professional representative helps him by a given process"-
ব্যক্তি সমাজকর্মের উপাদান সম্পর্কে এই উক্তিটি কার?
Created: 18 hours ago
A
H.H Perlmen
B
Mary Richmond
C
Jane Adams
D
Laura Reynolds
সমাজকর্মী এইচ. এইচ. পার্লম্যান (H. H. Perlman) প্রদত্ত উক্তি— “A person with a problem comes to a place where a professional representative helps him by a given process” — ব্যক্তি সমাজকর্মের মৌলিক কাঠামো ও কার্যপ্রণালীকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে। পার্লম্যান এই উক্তির মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন, একজন ব্যক্তি যখন কোনো সামাজিক বা ব্যক্তিগত সমস্যার মুখোমুখি হন, তখন তিনি এমন একটি প্রতিষ্ঠানে আসেন যেখানে একজন প্রশিক্ষিত সমাজকর্মী পেশাগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে সমস্যার সমাধানের পথে পরিচালিত করেন। এই ধারণাটি ব্যক্তি সমাজকর্মের কেন্দ্রীয় ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত।
উক্তিটির ব্যাখ্যা অনুযায়ী, সমাজকর্ম প্রক্রিয়াটি কেবল সাহায্য নয়, বরং ব্যক্তিকে সক্ষম করে তোলা, যাতে তিনি নিজের সমস্যা বোঝতে পারেন এবং সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারেন। সমাজকর্মী এখানে নির্দেশক, সহায়ক ও সমর্থনদাতা হিসেবে কাজ করেন।
এই উক্তিটি ব্যক্তি সমাজকর্মের পাঁচটি অপরিহার্য উপাদান স্পষ্টভাবে তুলে ধরে—
১) সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি (The Person): যিনি কোনো ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক বা মানসিক সমস্যায় জর্জরিত।
২) সমস্যা (The Problem): যে কারণ বা পরিস্থিতি ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও মানসিক স্থিতি ব্যাহত করে।
৩) স্থান (The Place): সেই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা যেখানে সমাজকর্মের পেশাগত সেবা প্রদান করা হয়, যেমন হাসপাতাল, স্কুল বা সমাজসেবা কেন্দ্র।
৪) পেশাদার সমাজকর্মী (The Professional Representative): প্রশিক্ষিত ও দক্ষ সমাজকর্মী, যিনি পেশাগত জ্ঞান, দক্ষতা ও নীতির আলোকে ক্লায়েন্টকে সহায়তা করেন।
৫) একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া (The Process): সমাজকর্মের ধাপে ধাপে পরিচালিত কার্যক্রম— যেমন সম্পর্ক স্থাপন, সমস্যা নির্ণয়, পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন— যার মাধ্যমে সেবাদান সম্পন্ন হয়।
অতএব, পার্লম্যানের এই উক্তি ব্যক্তি সমাজকর্মের কাঠামো, লক্ষ্য ও প্রক্রিয়াকে সংক্ষেপে উপস্থাপন করে, যা সমাজকর্ম পেশার ভিত্তিমূল ধারণা হিসেবে সর্বাধিক স্বীকৃত।

0
Updated: 18 hours ago
কোনটি সামাজিক গবেষনার পদ্ধতি নয়?
Created: 18 hours ago
A
সাক্ষাৎকার পদ্ধতি
B
সামাজিক জরিপ পদ্ধতি
C
পরীক্ষা মূলক পদ্ধতি
D
ঐতিহাসিক পদ্ধতি
সামাজিক গবেষণার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, যার মাধ্যমে সমাজ, মানুষ ও সামাজিক ঘটনার বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করা হয়। প্রধান পদ্ধতিগুলোর মধ্যে রয়েছে গুণগত ও পরিমাণগত গবেষণা, জরিপ, কেস স্টাডি, নৃবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, পরীক্ষণ পদ্ধতি ইত্যাদি। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলো:
১) তুলনামূলক পদ্ধতি: দুটি বা ততোধিক সমাজ বা সম্প্রদায়ের মধ্যে তুলনা করে তাদের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নির্ধারণ করা হয়। এটি সমাজের কাঠামোগত ও সাংস্কৃতিক পার্থক্য বিশ্লেষণে সহায়ক।
২) জরিপ পদ্ধতি: এটি সবচেয়ে প্রচলিত গবেষণা পদ্ধতি, যেখানে একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত প্রশ্নপত্র বা সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে পরিসংখ্যানভিত্তিক তথ্য সংগৃহীত হয়।
৩) কেস স্টাডি (Case Study): কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান বা ঘটনার গভীর ও বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হয়, যাতে বিষয়টির প্রকৃতি ও প্রভাব স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।
৪) নৃবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি: গবেষক সরাসরি সমাজে মিশে গিয়ে মানুষের আচরণ, সংস্কৃতি ও জীবনধারা পর্যবেক্ষণ করেন। এটি সমাজের অন্তর্নিহিত সংস্কৃতি ও সম্পর্কের ধরন বোঝার জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।
৫) গুণগত ও পরিমাণগত গবেষণা:
-
গুণগত গবেষণা: মানুষের আচরণ, মনোভাব, অভিজ্ঞতা ও সামাজিক ঘটনার গভীরতা বিশ্লেষণ করে।
-
পরিমাণগত গবেষণা: পরিসংখ্যান, সংখ্যা ও পরিমাপযোগ্য তথ্যের মাধ্যমে সমাজ সম্পর্কিত ধারণা তৈরি করে।
৬) পরীক্ষণ পদ্ধতি বা পরীক্ষামূলক পদ্ধতি: নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে কোনো ঘটনার কারণ ও ফলাফল নির্ধারণের জন্য পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়।
৭) ঐতিহাসিক পদ্ধতি: অতীতের ঘটনা, দলিল ও ঐতিহাসিক নথি বিশ্লেষণ করে বর্তমান সমাজের বিকাশ ও কাঠামো বোঝা হয়।
উল্লেখ্য, সাক্ষাৎকার পদ্ধতি সামাজিক গবেষণার মূল পদ্ধতি নয়; এটি কেবল একটি তথ্য সংগ্রহের উপায় (Data Collection Method) হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সুতরাং উত্তর হবে অপশন "a"।

0
Updated: 18 hours ago