দল সমাজকর্মের উপাদান নয় কোনটি?
A
দল সমাজকর্মী
B
দলীয় প্রক্রিয়া
C
দলের আর্থিক সামর্থ্য
D
দল সমাজকর্ম এজেন্সী
উত্তরের বিবরণ
দল সমাজকর্মের মৌলিক উপাদান হলো সেই প্রধান উপাদানসমূহ, যেগুলোর সমন্বয়ে দল সমাজকর্ম কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়। দল সমাজকর্মের উদ্দেশ্য হলো দলগত কার্যক্রমের মাধ্যমে সদস্যদের পারস্পরিক সম্পর্ক গঠন, সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিকাশে সহায়তা করা। নিচে এর চারটি মৌলিক উপাদান উল্লেখ করা হলো—
১) সামাজিক দল: এটি দল সমাজকর্মের মূল কেন্দ্রবিন্দু। একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত এই দল সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সমবায়মূলক আচরণ বিকাশে সহায়তা করে।
২) দল সমাজকর্ম প্রতিষ্ঠান: এটি হলো সেই সংগঠন বা সংস্থা যেখানে দল সমাজকর্ম কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা, সম্পদ ও কাঠামোগত সহায়তা প্রদান করে।
৩) দল সমাজকর্মী: সমাজকর্মী এখানে নির্দেশক, সহায়ক ও পরিচালকের ভূমিকা পালন করেন। তিনি দলের সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন, সম্পর্ক গঠন ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য পেশাগত দক্ষতা প্রয়োগ করেন।
৪) দল সমাজকর্ম প্রক্রিয়া: এটি একটি ধাপে ধাপে পরিচালিত পদ্ধতি, যার মাধ্যমে দল গঠন, পরিকল্পনা, কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং ফলাফল মূল্যায়ন করা হয়।

0
Updated: 18 hours ago
লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কী?
Created: 18 hours ago
A
প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রিতা
B
প্রশাসনিক দুর্নীতি
C
প্রশাসনিক স্থবিরতা
D
কর্মকর্তাদের অদক্ষতা
লাল ফিতার দৌরাত্ম্য (Red Tapism) হলো প্রশাসনিক ও আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার একটি নেতিবাচক দিক, যেখানে কোনো কাজ বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আনুষ্ঠানিকতা, জটিল নিয়মকানুন ও অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব দেখা যায়। এটি মূলত সেই পরিস্থিতিকে বোঝায়, যখন সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মীরা নিয়ম ও প্রক্রিয়ার প্রতি এতটাই অন্ধভাবে অনুগত থাকে যে, কাজের গতি বাধাগ্রস্ত হয় এবং দক্ষতা নষ্ট হয়।
এই প্রক্রিয়ায় নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো লক্ষ্য করা যায়—
১) অতিরিক্ত কাগজপত্র ও আনুষ্ঠানিকতা: প্রতিটি সিদ্ধান্ত বা অনুমোদনের জন্য অগণিত নথিপত্র ও সই-সাক্ষরের প্রয়োজন হয়।
২) অহেতুক বিলম্ব: সহজ কাজও বিভিন্ন ধাপে অনুমোদনের কারণে অপ্রয়োজনীয়ভাবে দীর্ঘ সময় নেয়।
৩) প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রিতা: সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব ও দায়িত্ব এড়ানোর প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
৪) আমলাতান্ত্রিক জটিলতা: কর্মকর্তারা নিয়মের ব্যাখ্যায় অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে বাস্তব কাজের পরিবর্তে প্রক্রিয়াকেই প্রাধান্য দেন।
৫) অর্থনৈতিক ও সময়গত ক্ষতি: এই অকার্যকর পদ্ধতির ফলে সম্পদ, সময় ও জনআস্থার অপচয় ঘটে।
লাল ফিতার দৌরাত্ম্য শব্দটি এসেছে সেই সময় থেকে, যখন সরকারি দপ্তরে নথিপত্র লাল ফিতা দিয়ে বাঁধা থাকত। সময়ের সঙ্গে এই প্রতীকটি প্রশাসনিক জটিলতা ও দেরির প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।

0
Updated: 18 hours ago
বিদ্যালয় সমাজকর্ম চালু হয় কত সালে?
Created: 18 hours ago
A
১৯৬৯ সালে
B
১৯৭০ সালে
C
১৯৭৯ সালে
D
১৯৮০ সালে
বিদ্যালয় সমাজকর্মের ইতিহাস অনুযায়ী, এর সূচনা ঘটে ১৯০৬–০৭ শিক্ষাবর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, যেখানে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা সমাধানের জন্য সমাজকর্ম পদ্ধতি ব্যবহার শুরু হয়। পরবর্তীতে এই ধারণা অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ে এবং বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক ও সামাজিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে ওঠে।
বাংলাদেশে ১৯৬৯ সালে বিদ্যালয় সমাজকর্ম কার্যক্রম চালু হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা, অনুপস্থিতি, পারিবারিক সমস্যা, এবং সামাজিক অনুকূল পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা। তবে ১৯৮৪ সালে এই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, যদিও এর গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা আজও বিদ্যমান।
প্রশ্নে একটি অস্পষ্টতা রয়েছে, কারণ এখানে কোন দেশের বিদ্যালয় সমাজকর্মের কথা বলা হয়েছে তা নির্দিষ্ট নয়। তবে প্রদত্ত অপশনগুলো বাংলাদেশের বিদ্যালয় সমাজকর্ম চালুর প্রসঙ্গের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তাই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে উত্তর হবে অপশন “a”।

0
Updated: 18 hours ago
সমাজকর্মের বিভিন্ন দিকগুলো (aspects) হলো-
Created: 18 hours ago
A
Curative,Preventive, Developmental, Rehabilitative
B
Curative, Suggestive, Regulative, Preventive
C
Occupational, Counseling, Rational, Understandable
D
Regulative, Rationalitive, Curative, Preventive.
সমাজকর্মের কার্যক্রম মূলত মানুষের কল্যাণ ও সমাজে ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। এর প্রধান দিকগুলো হলো নিরাময়মূলক (Curative), প্রতিরোধমূলক (Preventive), উন্নয়নমূলক (Developmental) এবং পুনর্বাসনমূলক (Rehabilitative)। এই চারটি দিক সমাজকর্মের মৌলিক ভিত্তি গঠন করে এবং ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের সর্বাঙ্গীন কল্যাণে সমন্বিত ভূমিকা পালন করে।
প্রধান দিকসমূহের ব্যাখ্যা—
১) নিরাময়মূলক (Curative): এই দিকের লক্ষ্য হলো ইতিমধ্যে বিদ্যমান সামাজিক, মানসিক বা অর্থনৈতিক সমস্যাগুলির সমাধান করা। উদাহরণস্বরূপ— অসুস্থ, অসচ্ছল বা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করা, তাদের সমস্যা নির্ণয় ও নিরসনে সমাজকর্মী সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
২) প্রতিরোধমূলক (Preventive): এই দিকটি ভবিষ্যতে সম্ভাব্য সমস্যাগুলিকে আগে থেকেই প্রতিরোধ করার ওপর গুরুত্ব দেয়। যেমন— দারিদ্র্য, অপরাধ, বাল্যবিবাহ বা মাদকাসক্তি প্রতিরোধের জন্য সচেতনতামূলক ও প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা।
৩) উন্নয়নমূলক (Developmental): সমাজকর্মের এই দিকের উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তি ও সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন সাধন করা। যেমন— শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করা।
৪) পুনর্বাসনমূলক (Rehabilitative): এটি এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সমস্যাগ্রস্ত, বিপর্যস্ত বা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিকে পুনরায় সমাজে একীভূত করা হয়। উদাহরণস্বরূপ— আসক্ত, বন্দি, শারীরিক প্রতিবন্ধী বা দুর্যোগপীড়িত ব্যক্তিদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ও সমাজে পুনরায় স্থান করে নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা।

0
Updated: 18 hours ago