ভারতবর্ষে সমাজকর্ম পাঠদানকারী প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-
A
টাটা ইন্সটিটিউট
B
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
C
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
D
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়
উত্তরের বিবরণ
ভারতবর্ষে সমাজকর্ম শিক্ষা প্রবর্তনের ক্ষেত্রে পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান হলো টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস (TISS)। এটি ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় স্যার দোরাবজি টাটা গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ সোশ্যাল ওয়ার্ক নামে, যা পরবর্তীতে বর্তমান নাম লাভ করে। প্রতিষ্ঠানটি সমাজকর্ম শিক্ষা ও গবেষণাকে পেশাগত কাঠামোয় রূপ দিয়ে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ায় সমাজকর্মের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এই প্রতিষ্ঠানটির বিশেষ অবদান হলো—
১) এটি ছিল ভারতের প্রথম সমাজকর্ম পাঠদানকারী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে সমাজকর্মকে একটি স্বতন্ত্র পেশাগত শিক্ষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
২) প্রায় এক দশক ধরে এটি ভারতে সমাজকর্মে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদানকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত ছিল।
৩) সমাজকর্ম শিক্ষা, সমাজনীতি, সম্প্রদায় উন্নয়ন, শ্রমনীতি, নারী ও শিশু কল্যাণ, এবং সামাজিক গবেষণার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ও গবেষণামূলক অবদান রাখে।
৪) পরবর্তীতে এটি আন্তর্জাতিক মানের সমাজকর্ম শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে, যা ভারতের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশেও সমাজকর্ম শিক্ষার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

0
Updated: 18 hours ago
'আচরণ সংশোধন' কৌশল কোন ক্ষেত্রে বেশী প্রয়োগ করা হয়?
Created: 17 hours ago
A
দ্বন্দ্ব নিরসনে
B
সামাজিক নিয়ন্ত্রণে
C
আসক্তি নিরাময়ে
D
সমাজ সংস্কার আন্দোলনে
আচরণ সংশোধন (Behavior Modification) হলো এমন একটি কৌশল, যা মূলত শিক্ষা, মনোবিজ্ঞান, থেরাপি এবং সমাজকর্মে ব্যবহৃত হয় মানুষের আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। এটি শিক্ষণ তত্ত্ব (Learning Theory), বিশেষ করে বি. এফ. স্কিনারের (B.F. Skinner) প্রবর্তিত অপারেন্ট কন্ডিশনিং (Operant Conditioning) নীতির ওপর ভিত্তি করে গঠিত। এই পদ্ধতিতে ব্যক্তির কাঙ্ক্ষিত আচরণকে উৎসাহিত করা হয় এবং অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ ধীরে ধীরে পরিবর্তনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
সমাজকর্মের ক্ষেত্রে আচরণ সংশোধন কৌশল বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি—
১) সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তির আচরণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যেমন রাগ, উদ্বেগ, হিংসা বা আত্মবিধ্বংসী প্রবণতা কমানো।
২) মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে ভূমিকা রাখে, যেমন আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, ইতিবাচক চিন্তা ও সামাজিক মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা বিকাশ।
৩) শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে, যেখানে ইতিবাচক আচরণকে উৎসাহিত করা হয় এবং কর্মপরিবেশে শৃঙ্খলা বজায় রাখা হয়।
৪) থেরাপি ও কাউন্সেলিংয়ে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে ব্যক্তির মানসিক বা আবেগীয় সমস্যাগুলো নিরসনে।
এক্ষেত্রে আসক্তি নিরাময়ে আচরণ সংশোধনের ব্যবহার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আসক্ত ব্যক্তিদের ধীরে ধীরে মাদক বা ক্ষতিকর অভ্যাস থেকে দূরে রাখতে ইতিবাচক প্রণোদনা, পর্যবেক্ষণ এবং বিকল্প আচরণ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নতুন অভ্যাস গঠনে সহায়তা করা হয়।

0
Updated: 17 hours ago
সমাজকর্ম পেশার ধর্ম হলো-
Created: 18 hours ago
A
সক্ষমকারী ও সাহায্যকারী পেশা
B
দাতব্য পেশা
C
পরনির্ভরশীল পেশা
D
যৌগিক পেশা
সমাজকর্ম পেশার মূল ভিত্তি হলো মানবসেবা, যার মাধ্যমে ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং সম্প্রদায়ের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করা হয়। এই পেশার উদ্দেশ্য কেবল সাহায্য প্রদান নয়, বরং মানুষকে নিজেদের সমস্যা মোকাবিলায় সক্ষম করে তোলা। সমাজকর্ম এমন একটি সক্ষমকারী ও সাহায্যকারী পেশা, যা মানবমর্যাদা, ন্যায়বিচার ও সমান সুযোগের নীতিতে বিশ্বাস করে।
সমাজকর্মের প্রধান লক্ষ্যগুলো হলো—
-
ব্যক্তিগত ও সামাজিক সমস্যার কার্যকর সমাধান নিশ্চিত করা।
-
দুর্বল, সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার ও সুযোগ সুরক্ষা করা।
-
ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে স্বনির্ভর করে তোলা এবং সামাজিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা।
-
সমাজে সামগ্রিক কল্যাণ, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতা প্রতিষ্ঠা করা।
অতএব, সমাজকর্ম পেশা মানবকল্যাণমুখী এক সেবা কার্যক্রম, যার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন ও ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়ন সাধিত হয়।

0
Updated: 18 hours ago
বাংলাদেশে সমাজকর্ম পেশা হিসাবে স্বীকৃতি না পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানতম প্রতিবন্ধকতা কী?
Created: 17 hours ago
A
দক্ষ সমাজকর্মীর অভাব
B
পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকা
C
সরকারের স্বীকৃতির অভাব
D
সাধারন মানুষ চায়না
বাংলাদেশে সমাজকর্ম এখনো একটি পূর্ণাঙ্গ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি, যার পেছনে একাধিক কাঠামোগত ও নীতিগত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। সমাজকর্ম দেশের সামাজিক উন্নয়ন ও মানবকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এটি এখনো পেশাগত মর্যাদা অর্জন করতে পারেনি।
প্রধান প্রতিবন্ধকতাগুলো হলো—
১) অপূর্ণাঙ্গ ও অসংগঠিত পেশাগত কাঠামো: সমাজকর্মের জন্য কোনো নির্দিষ্ট পেশাগত মান, দক্ষতা মূল্যায়ন ব্যবস্থা বা সুসংগঠিত প্রশাসনিক কাঠামো নেই। ফলে সমাজকর্মীরা তাদের কাজের পরিধি অনুযায়ী স্বীকৃতি পান না।
২) পেশাগত মূল্যবোধ ও নৈতিক মানদণ্ডের অভাব: সমাজকর্মে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নৈতিক মানদণ্ড থাকলেও দেশে তা পর্যাপ্তভাবে প্রয়োগ বা সংরক্ষণ করা হয় না।
৩) পেশাগত সংগঠনের অভাব: সমাজকর্মীদের জন্য একটি শক্তিশালী ও কার্যকর পেশাগত সংগঠন গঠিত না হওয়ায় তাদের অধিকার, স্বার্থ ও পেশাগত মর্যাদা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ দেখা যায় না।
৪) কর্মসংস্থানের সীমাবদ্ধতা: সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে সমাজকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পদ ও সুযোগের অভাব রয়েছে, ফলে দক্ষ পেশাজীবীরা অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হন।
তবে, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো সরকারের স্বীকৃতির অভাব। কারণ, যদি সরকার সমাজকর্মকে একটি আনুষ্ঠানিক পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিত, তবে উপরের সব সমস্যার সমাধান সহজ হতো। সরকারি স্বীকৃতি সমাজকর্মীদের জন্য পেশাগত কাঠামো, সংগঠন, মানদণ্ড এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে প্রধান ভূমিকা রাখত।

0
Updated: 17 hours ago