বেগম রোকেয়া কেন বিখ্যাত?
A
নারী উন্নয়নের জন্য
B
নারী জাগরণের জন্য
C
বই লেখার জন্য
D
পুরুষ-বিদ্বেষের জন্য
উত্তরের বিবরণ
বেগম রোকেয়া বিখ্যাত কারণ তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারীবাদী, নারী জাগরণের অগ্রদূত এবং একজন বিশিষ্ট লেখক ও সমাজকর্মী। তিনি নারী শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা ও সমাজে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তাঁর সাহিত্যকর্ম যেমন সুলতানার স্বপ্ন ও অবরোধবাসিনী নারীর মুক্তি, শিক্ষার গুরুত্ব এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান প্রকাশ করে।
তিনি সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করেন এবং মুসলিম নারী শিক্ষার প্রসারে বেথুন স্কুলের আদলে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা তাঁর নারী জাগরণে বাস্তব অবদানের প্রমাণ।
যদিও অপশন a ও c-তে আংশিকভাবে সঠিক তথ্য রয়েছে, তবুও সম্পূর্ণ ও সঠিক উত্তর হিসেবে সবচেয়ে উপযুক্ত অপশন b।

0
Updated: 18 hours ago
প্রবেশন হলো-
Created: 17 hours ago
A
অপরাধীকে পুনরায় সাজা দেওয়া
B
নির্দিষ্ট শর্তে জেলে রাখা
C
অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়া
D
নির্দিষ্ট শর্তে শাস্তি স্থগিত রেখে অপরাধীকে সমাজে পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া
প্রবেশন হলো একটি বিচারিক ও সমাজসেবামূলক পুনর্বাসন প্রক্রিয়া, যেখানে আদালত অপরাধীকে কারাদণ্ড প্রদান না করে, তাকে নির্দিষ্ট শর্ত ও তত্ত্বাবধানের অধীনে সমাজে স্বাভাবিকভাবে বসবাসের সুযোগ দেয়। এর মাধ্যমে অপরাধীকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন না করে, বরং তার আচরণ সংশোধনের সুযোগ প্রদান করা হয়, যাতে সে আইনসম্মত ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে পুনরায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
এই প্রক্রিয়ায় অপরাধীকে একজন প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। অফিসার তার আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন, পরামর্শ দেন এবং তাকে পুনর্বাসনের পথে পরিচালিত করেন। অপরাধীকে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়—যেমন অপরাধমূলক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা, নিয়মিত রিপোর্ট প্রদান করা এবং সমাজকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ করা।
প্রবেশনের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো:
১) অপরাধীর মানসিক ও সামাজিক পুনর্গঠন করা।
২) সমাজে পুনঃএকীভূত করার মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা হ্রাস করা।
৩) কারাগারের ভিড় ও রাষ্ট্রীয় ব্যয় কমানো।
৪) অপরাধীর আত্মসম্মান রক্ষা করে তাকে ইতিবাচক জীবনযাপনে উৎসাহিত করা।
প্রবেশন মূলত প্রযোজ্য হয়:
-
লঘু অপরাধী, যারা গুরুতর অপরাধে জড়িত নয়।
-
প্রথম অপরাধী, যাদের পুনরায় অপরাধে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
-
অল্পবয়সী অপরাধী, যাদের মানসিক বিকাশ ও সমাজে পুনর্বাসনের সম্ভাবনা বেশি।

0
Updated: 17 hours ago
বিদ্যালয় সমাজকর্ম চালু হয় কত সালে?
Created: 17 hours ago
A
১৯৬৯ সালে
B
১৯৭০ সালে
C
১৯৭৯ সালে
D
১৯৮০ সালে
বিদ্যালয় সমাজকর্মের ইতিহাস অনুযায়ী, এর সূচনা ঘটে ১৯০৬–০৭ শিক্ষাবর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, যেখানে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যা সমাধানের জন্য সমাজকর্ম পদ্ধতি ব্যবহার শুরু হয়। পরবর্তীতে এই ধারণা অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ে এবং বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক ও সামাজিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে ওঠে।
বাংলাদেশে ১৯৬৯ সালে বিদ্যালয় সমাজকর্ম কার্যক্রম চালু হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা, অনুপস্থিতি, পারিবারিক সমস্যা, এবং সামাজিক অনুকূল পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা। তবে ১৯৮৪ সালে এই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, যদিও এর গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা আজও বিদ্যমান।
প্রশ্নে একটি অস্পষ্টতা রয়েছে, কারণ এখানে কোন দেশের বিদ্যালয় সমাজকর্মের কথা বলা হয়েছে তা নির্দিষ্ট নয়। তবে প্রদত্ত অপশনগুলো বাংলাদেশের বিদ্যালয় সমাজকর্ম চালুর প্রসঙ্গের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তাই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে উত্তর হবে অপশন “a”।

0
Updated: 17 hours ago
বিভারিজ রিপোর্ট অনুসারে পঞ্চদৈত্যগুলো হলো-
Created: 18 hours ago
A
অজ্ঞতা, অদক্ষতা, অসচেতনতা, অবহেলা, অসমতা
B
রোগ, দুর্ভিক্ষ, অভাব, প্রতিযোগিতা, অলসতা
C
অভাব, রোগ, অদক্ষতা,নিরুৎসাহ, অলসতা
D
অভাব, রোগ, অজ্ঞতা, মলিনতা, অলসতা
অভাবযুক্ত ইংল্যান্ডের সমাজজীবনকে অর্থনীতিবিদ উইলিয়াম বিভারিজ ‘পঞ্চদৈত্য (Five Giants)’ নামে পরিচিত পাঁচটি ভয়াবহ সামাজিক সমস্যার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন, যা অক্টোপাসের মতো সমাজকে জড়িয়ে রেখেছিল। তিনি মনে করতেন, এই পাঁচটি দৈত্যই মানবসমাজের অগ্রগতির প্রধান অন্তরায় এবং সামাজিক উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিভারিজ রিপোর্ট, যা ১৯৪২ সালে প্রকাশিত একটি ব্রিটিশ সরকারি প্রতিবেদন, যুক্তরাজ্যে আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র (Welfare State) প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপন করে। এই প্রতিবেদনে সমাজকল্যাণ, অর্থনীতি ও সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য একটি বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়।
বিভারিজের নির্ধারিত “পঞ্চদৈত্য” ছিল—
১) অভাব (Want): দারিদ্র্য ও আর্থিক অনটন দূরীকরণের আহ্বান।
২) রোগ (Disease): সবার জন্য কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার প্রস্তাব।
৩) অজ্ঞতা (Ignorance): শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করে জনগণকে জ্ঞানসমৃদ্ধ করা।
৪) মলিনতা (Squalor): বসবাসযোগ্য পরিবেশ ও উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করা।
৫) অলসতা (Idleness): কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্ব হ্রাস করা।
বিভারিজ এই প্রতিবেদনকে ভিত্তি করে প্রস্তাব দেন একটি “দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত” (From Cradle to Grave) একীভূত সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা (Social Security System) প্রতিষ্ঠার, যাতে প্রত্যেক নাগরিক জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা পেতে পারে।
এই রিপোর্ট পরবর্তীতে ব্রিটিশ সমাজে কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তি স্থাপন করে এবং সমাজকর্ম ও সামাজিক নীতিনির্ধারণে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনে।

0
Updated: 18 hours ago