সমস্যাগ্রস্থ ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে বুঝানো হয়-
A
ব্যক্তির মূল্যবোধের বিকাশ
B
ব্যক্তির সততার বিকাশ
C
ব্যক্তির পারিপার্শ্বিক বিকাশ
D
ব্যক্তির সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ
উত্তরের বিবরণ
সমাজকর্মে সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে বোঝানো হয় সেই সকল নিজস্ব ক্ষমতা, দক্ষতা, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও মানসিক দৃঢ়তা, যা একজন ব্যক্তি নিজের সমস্যা মোকাবিলায় ব্যবহার করতে পারে। সমাজকর্মের অন্যতম মূল ধারণা হলো—প্রত্যেক মানুষের ভেতরেই কিছু না কিছু সুপ্ত সামর্থ্য ও ইতিবাচক শক্তি থাকে, যা সঠিক দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে বিকশিত করা সম্ভব।
এই অন্তর্নিহিত শক্তি ব্যক্তি সমাজকর্মের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত, কারণ সমাজকর্মের লক্ষ্য কেবল সাহায্য প্রদান নয়, বরং ব্যক্তিকে নিজের সমস্যার সমাধানে সক্ষম করে তোলা।
ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তির মূল দিকগুলো হলো—
১) ব্যক্তিগত দক্ষতা ও সামর্থ্য: যেমন আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা।
২) মানসিক ও আবেগিক দৃঢ়তা: চাপ, দুঃখ বা ব্যর্থতা মোকাবিলার মানসিক প্রস্তুতি ও ইতিবাচক মনোভাব।
৩) সামাজিক ও পারিবারিক সমর্থন: পরিবার, বন্ধু, সমাজ বা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা, যা ব্যক্তির পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
৪) অভ্যন্তরীণ প্রেরণা ও লক্ষ্য সচেতনতা: নিজের জীবনে পরিবর্তন আনার ইচ্ছাশক্তি ও লক্ষ্যের প্রতি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।
৫) সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতা: নিজের চারপাশের সহায়ক উপকরণ ও সুযোগগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর কার্যকর ব্যবহার।
সমাজকর্মী এই অন্তর্নিহিত শক্তিগুলো শনাক্ত করে ব্যক্তিকে নিজের সামর্থ্য কাজে লাগাতে উদ্বুদ্ধ করেন, যাতে সে আত্মনির্ভর ও সমাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে।

0
Updated: 18 hours ago
মানব উন্নয়ন সূচক কোন্ তিনটি বিষয়কে নির্দেশ করে?
Created: 18 hours ago
A
শিক্ষা, আয় ও জীবন প্রত্যাশা
B
স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও শিক্ষা
C
শিক্ষা, আয় ও প্রযুক্তি
D
স্বাস্থ্য, পরিবেশ, ও আয়
মানব উন্নয়ন সূচক (HDI) হলো একটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড, যার মাধ্যমে একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের মাত্রা পরিমাপ করা হয়। এটি কেবল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর নির্ভর করে না, বরং মানুষের জীবনমান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ মানবকল্যাণের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে। এই সূচকটি জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP) প্রণয়ন করে।
HDI মূলত তিনটি মৌলিক উপাদানের ওপর ভিত্তি করে গঠিত—
১) দীর্ঘ ও স্বাস্থ্যকর জীবন: এটি পরিমাপ করা হয় জন্মের সময় প্রত্যাশিত গড় আয়ু (Life Expectancy at Birth) দ্বারা।
২) জ্ঞান বা শিক্ষা স্তর: এটি নির্ধারণ করা হয় গড় শিক্ষাবর্ষ (Mean Years of Schooling) এবং প্রত্যাশিত শিক্ষাবর্ষ (Expected Years of Schooling) — এই দুই সূচকের সমন্বয়ে।
৩) শালীন জীবনযাত্রার মান: এটি নির্ণয় করা হয় প্রতি ব্যক্তির মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় (GNI per capita) দিয়ে, যা ক্রয়ক্ষমতা সমতা (PPP) অনুযায়ী গণনা করা হয়।
এই তিনটি সূচকের গড় নির্ণয় করে একটি দেশের মানব উন্নয়ন সূচক (HDI) নির্ধারণ করা হয়। সূচকটি ০ থেকে ১-এর মধ্যে মান পায়— যেখানে ১-এর কাছাকাছি মান নির্দেশ করে উচ্চ মানব উন্নয়ন এবং ০-এর কাছাকাছি মান নির্দেশ করে নিম্ন মানব উন্নয়ন।
অতএব, মানব উন্নয়নের প্রকৃত লক্ষ্য হলো মানুষের সক্ষমতা, সুযোগ ও জীবনমান বৃদ্ধি করা, শুধুমাত্র অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নয়।

0
Updated: 18 hours ago
সামাজিক গবেষনায় তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি কোনটি-
Created: 18 hours ago
A
পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি
B
গুণবাচক পদ্ধতি
C
সংখ্যাবাচক পদ্ধতি
D
ম্যাট্রিক পদ্ধতি
সামাজিক গবেষণায় তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি হলো গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যার মাধ্যমে বাস্তবমুখী ও নির্ভরযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই পদ্ধতিগুলো গবেষককে সমাজ, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর আচরণ, মনোভাব ও সামাজিক বাস্তবতা সম্পর্কে গভীর ধারণা পেতে সহায়তা করে। নিচে প্রধান তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতিগুলো উল্লেখ করা হলো:
১) সাক্ষাৎকার পদ্ধতি: গবেষক সরাসরি ব্যক্তি বা অংশগ্রহণকারীর সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করেন। এটি কাঠামোবদ্ধ, আধা-কাঠামোবদ্ধ বা মুক্ত সাক্ষাৎকার হতে পারে।
২) জরিপ বা প্রশ্নাবলী পদ্ধতি: নির্দিষ্ট প্রশ্নের একটি সেট বা প্রশ্নাবলী ব্যবহার করে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে পরিমাণগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
৩) পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি: গবেষক নিজে কোনো ঘটনা, কার্যকলাপ বা আচরণ সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে তথ্য সংগ্রহ করেন। এটি প্রাকৃতিক বা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে সম্পন্ন হতে পারে।
৪) দস্তাবেজ পদ্ধতি: বিদ্যমান নথিপত্র যেমন বই, জার্নাল, প্রতিবেদন, সংবাদপত্র বা অন্য প্রকাশনা বিশ্লেষণ করে তথ্য সংগৃহীত হয়।
উল্লেখ্য, এই পদ্ধতিগুলোই সামাজিক গবেষণার তথ্য সংগ্রহের উপায়, অন্যদিকে প্রশ্নে উল্লিখিত বাকি অপশনগুলো মূলত সামাজিক গবেষণার পদ্ধতি, তথ্য সংগ্রহের নয়।
সুতরাং উত্তর হবে অপশন "A"।

0
Updated: 18 hours ago
সমাজকর্মের বিভিন্ন দিকগুলো (aspects) হলো-
Created: 17 hours ago
A
Curative,Preventive, Developmental, Rehabilitative
B
Curative, Suggestive, Regulative, Preventive
C
Occupational, Counseling, Rational, Understandable
D
Regulative, Rationalitive, Curative, Preventive.
সমাজকর্মের কার্যক্রম মূলত মানুষের কল্যাণ ও সমাজে ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। এর প্রধান দিকগুলো হলো নিরাময়মূলক (Curative), প্রতিরোধমূলক (Preventive), উন্নয়নমূলক (Developmental) এবং পুনর্বাসনমূলক (Rehabilitative)। এই চারটি দিক সমাজকর্মের মৌলিক ভিত্তি গঠন করে এবং ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের সর্বাঙ্গীন কল্যাণে সমন্বিত ভূমিকা পালন করে।
প্রধান দিকসমূহের ব্যাখ্যা—
১) নিরাময়মূলক (Curative): এই দিকের লক্ষ্য হলো ইতিমধ্যে বিদ্যমান সামাজিক, মানসিক বা অর্থনৈতিক সমস্যাগুলির সমাধান করা। উদাহরণস্বরূপ— অসুস্থ, অসচ্ছল বা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করা, তাদের সমস্যা নির্ণয় ও নিরসনে সমাজকর্মী সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
২) প্রতিরোধমূলক (Preventive): এই দিকটি ভবিষ্যতে সম্ভাব্য সমস্যাগুলিকে আগে থেকেই প্রতিরোধ করার ওপর গুরুত্ব দেয়। যেমন— দারিদ্র্য, অপরাধ, বাল্যবিবাহ বা মাদকাসক্তি প্রতিরোধের জন্য সচেতনতামূলক ও প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা।
৩) উন্নয়নমূলক (Developmental): সমাজকর্মের এই দিকের উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তি ও সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন সাধন করা। যেমন— শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করা।
৪) পুনর্বাসনমূলক (Rehabilitative): এটি এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সমস্যাগ্রস্ত, বিপর্যস্ত বা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিকে পুনরায় সমাজে একীভূত করা হয়। উদাহরণস্বরূপ— আসক্ত, বন্দি, শারীরিক প্রতিবন্ধী বা দুর্যোগপীড়িত ব্যক্তিদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ও সমাজে পুনরায় স্থান করে নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা।

0
Updated: 17 hours ago