"A person with a problem comes to a place where a professional representative helps him by a given process"-
ব্যক্তি সমাজকর্মের উপাদান সম্পর্কে এই উক্তিটি কার?
A
H.H Perlmen
B
Mary Richmond
C
Jane Adams
D
Laura Reynolds
উত্তরের বিবরণ
সমাজকর্মী এইচ. এইচ. পার্লম্যান (H. H. Perlman) প্রদত্ত উক্তি— “A person with a problem comes to a place where a professional representative helps him by a given process” — ব্যক্তি সমাজকর্মের মৌলিক কাঠামো ও কার্যপ্রণালীকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে। পার্লম্যান এই উক্তির মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন, একজন ব্যক্তি যখন কোনো সামাজিক বা ব্যক্তিগত সমস্যার মুখোমুখি হন, তখন তিনি এমন একটি প্রতিষ্ঠানে আসেন যেখানে একজন প্রশিক্ষিত সমাজকর্মী পেশাগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে সমস্যার সমাধানের পথে পরিচালিত করেন। এই ধারণাটি ব্যক্তি সমাজকর্মের কেন্দ্রীয় ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত।
উক্তিটির ব্যাখ্যা অনুযায়ী, সমাজকর্ম প্রক্রিয়াটি কেবল সাহায্য নয়, বরং ব্যক্তিকে সক্ষম করে তোলা, যাতে তিনি নিজের সমস্যা বোঝতে পারেন এবং সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারেন। সমাজকর্মী এখানে নির্দেশক, সহায়ক ও সমর্থনদাতা হিসেবে কাজ করেন।
এই উক্তিটি ব্যক্তি সমাজকর্মের পাঁচটি অপরিহার্য উপাদান স্পষ্টভাবে তুলে ধরে—
১) সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি (The Person): যিনি কোনো ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক বা মানসিক সমস্যায় জর্জরিত।
২) সমস্যা (The Problem): যে কারণ বা পরিস্থিতি ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও মানসিক স্থিতি ব্যাহত করে।
৩) স্থান (The Place): সেই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা যেখানে সমাজকর্মের পেশাগত সেবা প্রদান করা হয়, যেমন হাসপাতাল, স্কুল বা সমাজসেবা কেন্দ্র।
৪) পেশাদার সমাজকর্মী (The Professional Representative): প্রশিক্ষিত ও দক্ষ সমাজকর্মী, যিনি পেশাগত জ্ঞান, দক্ষতা ও নীতির আলোকে ক্লায়েন্টকে সহায়তা করেন।
৫) একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া (The Process): সমাজকর্মের ধাপে ধাপে পরিচালিত কার্যক্রম— যেমন সম্পর্ক স্থাপন, সমস্যা নির্ণয়, পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন— যার মাধ্যমে সেবাদান সম্পন্ন হয়।
অতএব, পার্লম্যানের এই উক্তি ব্যক্তি সমাজকর্মের কাঠামো, লক্ষ্য ও প্রক্রিয়াকে সংক্ষেপে উপস্থাপন করে, যা সমাজকর্ম পেশার ভিত্তিমূল ধারণা হিসেবে সর্বাধিক স্বীকৃত।

0
Updated: 18 hours ago
দল সমাজকর্মের উপাদান নয় কোনটি?
Created: 17 hours ago
A
দল সমাজকর্মী
B
দলীয় প্রক্রিয়া
C
দলের আর্থিক সামর্থ্য
D
দল সমাজকর্ম এজেন্সী
দল সমাজকর্মের মৌলিক উপাদান হলো সেই প্রধান উপাদানসমূহ, যেগুলোর সমন্বয়ে দল সমাজকর্ম কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়। দল সমাজকর্মের উদ্দেশ্য হলো দলগত কার্যক্রমের মাধ্যমে সদস্যদের পারস্পরিক সম্পর্ক গঠন, সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিকাশে সহায়তা করা। নিচে এর চারটি মৌলিক উপাদান উল্লেখ করা হলো—
১) সামাজিক দল: এটি দল সমাজকর্মের মূল কেন্দ্রবিন্দু। একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত এই দল সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সমবায়মূলক আচরণ বিকাশে সহায়তা করে।
২) দল সমাজকর্ম প্রতিষ্ঠান: এটি হলো সেই সংগঠন বা সংস্থা যেখানে দল সমাজকর্ম কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা, সম্পদ ও কাঠামোগত সহায়তা প্রদান করে।
৩) দল সমাজকর্মী: সমাজকর্মী এখানে নির্দেশক, সহায়ক ও পরিচালকের ভূমিকা পালন করেন। তিনি দলের সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন, সম্পর্ক গঠন ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য পেশাগত দক্ষতা প্রয়োগ করেন।
৪) দল সমাজকর্ম প্রক্রিয়া: এটি একটি ধাপে ধাপে পরিচালিত পদ্ধতি, যার মাধ্যমে দল গঠন, পরিকল্পনা, কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং ফলাফল মূল্যায়ন করা হয়।

0
Updated: 17 hours ago
প্রবেশন হলো-
Created: 17 hours ago
A
অপরাধীকে পুনরায় সাজা দেওয়া
B
নির্দিষ্ট শর্তে জেলে রাখা
C
অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়া
D
নির্দিষ্ট শর্তে শাস্তি স্থগিত রেখে অপরাধীকে সমাজে পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া
প্রবেশন হলো একটি বিচারিক ও সমাজসেবামূলক পুনর্বাসন প্রক্রিয়া, যেখানে আদালত অপরাধীকে কারাদণ্ড প্রদান না করে, তাকে নির্দিষ্ট শর্ত ও তত্ত্বাবধানের অধীনে সমাজে স্বাভাবিকভাবে বসবাসের সুযোগ দেয়। এর মাধ্যমে অপরাধীকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন না করে, বরং তার আচরণ সংশোধনের সুযোগ প্রদান করা হয়, যাতে সে আইনসম্মত ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে পুনরায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
এই প্রক্রিয়ায় অপরাধীকে একজন প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। অফিসার তার আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন, পরামর্শ দেন এবং তাকে পুনর্বাসনের পথে পরিচালিত করেন। অপরাধীকে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়—যেমন অপরাধমূলক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা, নিয়মিত রিপোর্ট প্রদান করা এবং সমাজকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ করা।
প্রবেশনের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো:
১) অপরাধীর মানসিক ও সামাজিক পুনর্গঠন করা।
২) সমাজে পুনঃএকীভূত করার মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা হ্রাস করা।
৩) কারাগারের ভিড় ও রাষ্ট্রীয় ব্যয় কমানো।
৪) অপরাধীর আত্মসম্মান রক্ষা করে তাকে ইতিবাচক জীবনযাপনে উৎসাহিত করা।
প্রবেশন মূলত প্রযোজ্য হয়:
-
লঘু অপরাধী, যারা গুরুতর অপরাধে জড়িত নয়।
-
প্রথম অপরাধী, যাদের পুনরায় অপরাধে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
-
অল্পবয়সী অপরাধী, যাদের মানসিক বিকাশ ও সমাজে পুনর্বাসনের সম্ভাবনা বেশি।

0
Updated: 17 hours ago
বিভারিজ রিপোর্ট অনুসারে পঞ্চদৈত্যগুলো হলো-
Created: 18 hours ago
A
অজ্ঞতা, অদক্ষতা, অসচেতনতা, অবহেলা, অসমতা
B
রোগ, দুর্ভিক্ষ, অভাব, প্রতিযোগিতা, অলসতা
C
অভাব, রোগ, অদক্ষতা,নিরুৎসাহ, অলসতা
D
অভাব, রোগ, অজ্ঞতা, মলিনতা, অলসতা
অভাবযুক্ত ইংল্যান্ডের সমাজজীবনকে অর্থনীতিবিদ উইলিয়াম বিভারিজ ‘পঞ্চদৈত্য (Five Giants)’ নামে পরিচিত পাঁচটি ভয়াবহ সামাজিক সমস্যার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন, যা অক্টোপাসের মতো সমাজকে জড়িয়ে রেখেছিল। তিনি মনে করতেন, এই পাঁচটি দৈত্যই মানবসমাজের অগ্রগতির প্রধান অন্তরায় এবং সামাজিক উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিভারিজ রিপোর্ট, যা ১৯৪২ সালে প্রকাশিত একটি ব্রিটিশ সরকারি প্রতিবেদন, যুক্তরাজ্যে আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র (Welfare State) প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপন করে। এই প্রতিবেদনে সমাজকল্যাণ, অর্থনীতি ও সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য একটি বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়।
বিভারিজের নির্ধারিত “পঞ্চদৈত্য” ছিল—
১) অভাব (Want): দারিদ্র্য ও আর্থিক অনটন দূরীকরণের আহ্বান।
২) রোগ (Disease): সবার জন্য কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার প্রস্তাব।
৩) অজ্ঞতা (Ignorance): শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করে জনগণকে জ্ঞানসমৃদ্ধ করা।
৪) মলিনতা (Squalor): বসবাসযোগ্য পরিবেশ ও উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করা।
৫) অলসতা (Idleness): কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্ব হ্রাস করা।
বিভারিজ এই প্রতিবেদনকে ভিত্তি করে প্রস্তাব দেন একটি “দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত” (From Cradle to Grave) একীভূত সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা (Social Security System) প্রতিষ্ঠার, যাতে প্রত্যেক নাগরিক জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা পেতে পারে।
এই রিপোর্ট পরবর্তীতে ব্রিটিশ সমাজে কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তি স্থাপন করে এবং সমাজকর্ম ও সামাজিক নীতিনির্ধারণে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনে।

0
Updated: 18 hours ago