বিভারিজ রিপোর্ট অনুসারে পঞ্চদৈত্যগুলো হলো-
A
অজ্ঞতা, অদক্ষতা, অসচেতনতা, অবহেলা, অসমতা
B
রোগ, দুর্ভিক্ষ, অভাব, প্রতিযোগিতা, অলসতা
C
অভাব, রোগ, অদক্ষতা,নিরুৎসাহ, অলসতা
D
অভাব, রোগ, অজ্ঞতা, মলিনতা, অলসতা
উত্তরের বিবরণ
অভাবযুক্ত ইংল্যান্ডের সমাজজীবনকে অর্থনীতিবিদ উইলিয়াম বিভারিজ ‘পঞ্চদৈত্য (Five Giants)’ নামে পরিচিত পাঁচটি ভয়াবহ সামাজিক সমস্যার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন, যা অক্টোপাসের মতো সমাজকে জড়িয়ে রেখেছিল। তিনি মনে করতেন, এই পাঁচটি দৈত্যই মানবসমাজের অগ্রগতির প্রধান অন্তরায় এবং সামাজিক উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিভারিজ রিপোর্ট, যা ১৯৪২ সালে প্রকাশিত একটি ব্রিটিশ সরকারি প্রতিবেদন, যুক্তরাজ্যে আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র (Welfare State) প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপন করে। এই প্রতিবেদনে সমাজকল্যাণ, অর্থনীতি ও সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য একটি বিস্তৃত কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়।
বিভারিজের নির্ধারিত “পঞ্চদৈত্য” ছিল—
১) অভাব (Want): দারিদ্র্য ও আর্থিক অনটন দূরীকরণের আহ্বান।
২) রোগ (Disease): সবার জন্য কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার প্রস্তাব।
৩) অজ্ঞতা (Ignorance): শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করে জনগণকে জ্ঞানসমৃদ্ধ করা।
৪) মলিনতা (Squalor): বসবাসযোগ্য পরিবেশ ও উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করা।
৫) অলসতা (Idleness): কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্ব হ্রাস করা।
বিভারিজ এই প্রতিবেদনকে ভিত্তি করে প্রস্তাব দেন একটি “দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত” (From Cradle to Grave) একীভূত সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা (Social Security System) প্রতিষ্ঠার, যাতে প্রত্যেক নাগরিক জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা পেতে পারে।
এই রিপোর্ট পরবর্তীতে ব্রিটিশ সমাজে কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তি স্থাপন করে এবং সমাজকর্ম ও সামাজিক নীতিনির্ধারণে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনে।

0
Updated: 18 hours ago
বেগম রোকেয়া কেন বিখ্যাত?
Created: 18 hours ago
A
নারী উন্নয়নের জন্য
B
নারী জাগরণের জন্য
C
বই লেখার জন্য
D
পুরুষ-বিদ্বেষের জন্য
বেগম রোকেয়া বিখ্যাত কারণ তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারীবাদী, নারী জাগরণের অগ্রদূত এবং একজন বিশিষ্ট লেখক ও সমাজকর্মী। তিনি নারী শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা ও সমাজে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তাঁর সাহিত্যকর্ম যেমন সুলতানার স্বপ্ন ও অবরোধবাসিনী নারীর মুক্তি, শিক্ষার গুরুত্ব এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান প্রকাশ করে।
তিনি সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করেন এবং মুসলিম নারী শিক্ষার প্রসারে বেথুন স্কুলের আদলে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যা তাঁর নারী জাগরণে বাস্তব অবদানের প্রমাণ।
যদিও অপশন a ও c-তে আংশিকভাবে সঠিক তথ্য রয়েছে, তবুও সম্পূর্ণ ও সঠিক উত্তর হিসেবে সবচেয়ে উপযুক্ত অপশন b।

0
Updated: 18 hours ago
কুমিল্লা মডেলের উদ্ভাবক হলেন-
Created: 18 hours ago
A
হেনরি ডুনান্ট
B
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইব্রাহিম
C
ড. আখতার হামিদ খান
D
ব্যাডেন পাওয়েল
কুমিল্লা মডেলের উদ্ভাবক ছিলেন আখতার হামিদ খান। তিনি ১৯৫৯ সালে কুমিল্লায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর প্রথম পরিচালক হিসেবে এই মডেলটি উদ্ভাবন করেন। কুমিল্লা মডেল বাংলাদেশের পল্লী উন্নয়নের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ধারণা হিসেবে পরিচিত।
এই মডেলের মূল লক্ষ্য ছিল—
-
তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
-
সমবায়ভিত্তিক উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণকে সংগঠিত করা।
-
কৃষি, শিক্ষা ও স্থানীয় নেতৃত্বের সমন্বয়ে একটি টেকসই পল্লী উন্নয়ন কাঠামো গঠন করা।
এই মডেল পরবর্তীতে শুধু বাংলাদেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পল্লী উন্নয়নের একটি সফল উদাহরণ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

0
Updated: 18 hours ago
সমাজকর্মের বিভিন্ন দিকগুলো (aspects) হলো-
Created: 17 hours ago
A
Curative,Preventive, Developmental, Rehabilitative
B
Curative, Suggestive, Regulative, Preventive
C
Occupational, Counseling, Rational, Understandable
D
Regulative, Rationalitive, Curative, Preventive.
সমাজকর্মের কার্যক্রম মূলত মানুষের কল্যাণ ও সমাজে ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। এর প্রধান দিকগুলো হলো নিরাময়মূলক (Curative), প্রতিরোধমূলক (Preventive), উন্নয়নমূলক (Developmental) এবং পুনর্বাসনমূলক (Rehabilitative)। এই চারটি দিক সমাজকর্মের মৌলিক ভিত্তি গঠন করে এবং ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের সর্বাঙ্গীন কল্যাণে সমন্বিত ভূমিকা পালন করে।
প্রধান দিকসমূহের ব্যাখ্যা—
১) নিরাময়মূলক (Curative): এই দিকের লক্ষ্য হলো ইতিমধ্যে বিদ্যমান সামাজিক, মানসিক বা অর্থনৈতিক সমস্যাগুলির সমাধান করা। উদাহরণস্বরূপ— অসুস্থ, অসচ্ছল বা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করা, তাদের সমস্যা নির্ণয় ও নিরসনে সমাজকর্মী সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
২) প্রতিরোধমূলক (Preventive): এই দিকটি ভবিষ্যতে সম্ভাব্য সমস্যাগুলিকে আগে থেকেই প্রতিরোধ করার ওপর গুরুত্ব দেয়। যেমন— দারিদ্র্য, অপরাধ, বাল্যবিবাহ বা মাদকাসক্তি প্রতিরোধের জন্য সচেতনতামূলক ও প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা।
৩) উন্নয়নমূলক (Developmental): সমাজকর্মের এই দিকের উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তি ও সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন সাধন করা। যেমন— শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করা।
৪) পুনর্বাসনমূলক (Rehabilitative): এটি এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সমস্যাগ্রস্ত, বিপর্যস্ত বা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিকে পুনরায় সমাজে একীভূত করা হয়। উদাহরণস্বরূপ— আসক্ত, বন্দি, শারীরিক প্রতিবন্ধী বা দুর্যোগপীড়িত ব্যক্তিদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ও সমাজে পুনরায় স্থান করে নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা।

0
Updated: 17 hours ago