মিথ ও পুরাণের পার্থক্য কী?
A
দুটো একই- একটি আরেকটির পরিভাষা
B
মিথে ধর্মীয় বিশ্বাস নাও থাকতে পারে,কিন্তু পুরাণ ধর্মীয় বিশ্বাসজাত আখ্যান
C
মিথের একমাত্র বিষয় দেব-দেবীর সৌন্দর্য, পুরাণের একমাত্র বিষয় দেব-দেবীর বীরত্ব
D
মিথ মহা বৈশ্বিক, পুরাণ স্থানিক
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর হলো: খ) মিথে ধর্মীয় বিশ্বাস নাও থাকতে পারে, কিন্তু পুরাণ ধর্মীয় বিশ্বাসজাত আখ্যান।
মিথ হলো এমন এক প্রাচীন আখ্যান যা কোনো সমাজের সংস্কৃতি, বিশ্বাস, বা বিশ্বের উৎপত্তি সম্পর্কে ধারণা দেয়। সাধারণত এটি মানুষের জীবন, প্রকৃতির রহস্য, কিংবা মহাবিশ্বের সৃষ্টির ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য গঠিত হয়। তবে মিথের গল্পগুলো ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে যুক্ত নাও হতে পারে।
মিথ (Myth):
-
এটি এক ধরনের ঐতিহ্যগত বা প্রতীকী আখ্যান।
-
কোনো সমাজের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ, বিশ্বাস বা ঐতিহ্যের ভিত্তিতে গঠিত।
-
প্রায়শই মানুষের অস্তিত্ব, প্রাকৃতিক ঘটনা বা পৃথিবীর উৎপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করে।
-
আধুনিক যুগে এসব গল্পকে প্রতীকী বা রূপক অর্থে দেখা হয়, ধর্মীয় সত্য হিসেবে নয়।
-
উদাহরণ: গ্রিক মিথোলজির জিউস বা হারকিউলিসের গল্প, যা সংস্কৃতির অংশ হলেও আধুনিক গ্রিকরা তা ধর্মীয়ভাবে বিশ্বাস করে না।
পুরাণ (Purana):
-
পুরাণ হলো ধর্মীয় বিশ্বাসভিত্তিক আখ্যান, যেখানে দেব-দেবী, ঐতিহাসিক কিংবদন্তি এবং ধর্মীয় শিক্ষা বর্ণিত হয়।
-
এটি সাধারণত ধর্মীয় গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত এবং ভক্তদের জন্য আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
-
পুরাণে ঈশ্বরের কর্ম, সৃষ্টি ও ধ্বংসের বিবরণসহ নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রকাশ পায়।
মিথ ও পুরাণের পার্থক্য:
-
ধর্মীয় বিশ্বাস: মিথে ধর্মীয় বিশ্বাস থাকতে পারে বা নাও থাকতে পারে; এটি প্রায়ই সাংস্কৃতিক বা প্রতীকী গল্প হিসেবে বিবেচিত হয়। অপরদিকে, পুরাণ সর্বদা ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত এবং ধর্মগ্রন্থের অংশ হিসেবে স্বীকৃত।
-
উদ্দেশ্য: মিথ সাধারণত মানুষের কৌতূহল মেটানো ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ব্যাখ্যা করার জন্য রচিত; পুরাণ রচিত হয় ধর্মীয় শিক্ষা ও আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রচারের জন্য।

0
Updated: 20 hours ago
বাংলার মর্সিয়া সাহিত্য হচ্ছে
Created: 4 hours ago
A
ব্যক্তিগত দুঃখের কাহিনী কাব্য
B
কারবালার কাহিনি নিয়ে রচিত কাব্য
C
মধ্যযুগের শেষ পর্যায়ের কবিদের কলমযুদ্ধ
D
মসুয়া সম্প্রদায়ের সাহিত্য
মর্সিয়া সাহিত্য মূলত কারবালা যুদ্ধ ও ইসলামি বিয়োগান্তক কাহিনি অবলম্বনে রচিত এক ধরনের শোকগাথা সাহিত্য। এতে ইমাম হোসেন ও তাঁর অনুগামীদের ত্যাগ, বীরত্ব ও শহিদত্বের করুণ চিত্র তুলে ধরা হয়। এই সাহিত্যধারা প্রধানত মুসলমান লেখকদের সৃষ্টি, যা শোক, ধর্মীয় অনুভূতি ও মানবিক বেদনার গভীর প্রকাশ বহন করে।

0
Updated: 4 hours ago