মুসলিম সাহিত্য সমাজের সদস্য ছিলেন না কে?
A
মুহম্মদ আব্দুর রশীদ
B
আবুল ফজল
C
গোলাম মোস্তফা
D
কাজী মোতাহার হোসেন
উত্তরের বিবরণ
গোলাম মোস্তফা ‘মুসলিম সাহিত্য-সমাজ’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। যদিও তিনি একই সময়ে সক্রিয় সাহিত্যচর্চা করছিলেন, তবুও এই সংগঠনের আদর্শিক ও বৌদ্ধিক কার্যক্রমে তাঁর প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা ছিল না।
মুসলিম সাহিত্য-সমাজ ছিল একটি যুক্তিবাদী, প্রগতিশীল ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, যা মূলত মুসলিম সমাজের সাহিত্যচর্চায় নতুন দিশা আনতে গঠিত হয়েছিল। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৬ সালের ১৯ জানুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হল ইউনিয়ন কক্ষে, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে।
-
এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্র।
-
সংগঠনের পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক আবুল হুসেন, ছাত্র এ.এফ.এম. আবদুল হক এবং আবদুল কাদির প্রমুখ।
-
নেপথ্যে থেকে দিকনির্দেশনা দিতেন কাজী আবদুল ওদুদ (বাংলা বিভাগের অধ্যাপক) এবং কাজী আনোয়ারুল কাদীর (যুক্তিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক)।
-
সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল মুসলিম সমাজে যুক্তিবাদ, আধুনিক চিন্তা, ও সাহিত্যবোধের প্রসার ঘটানো।
সংগঠনটির মুখপত্র ছিল ‘শিখা’, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৩৩ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসে।
-
‘শিখা’-র মোট পাঁচটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়।
-
সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন যথাক্রমে:
-
প্রথম সংখ্যা: আবুল হুসেন
-
দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংখ্যা: কাজী মোতাহার হোসেন
-
চতুর্থ সংখ্যা: মোহাম্মদ আবদুর রশিদ
-
পঞ্চম সংখ্যা: আবুল ফজল
-
-
‘শিখা’-র মুখবাণী ছিল: “জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।”
প্রধান লেখকবৃন্দ ছিলেন—
-
আবুল হুসেন
-
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
-
কাজী আবদুল ওদুদ
-
আবদুল কাদির
-
আবুল ফজল
-
কাজী আনোয়ারুল কাদীর
এদের লেখনিতে প্রতিফলিত হয়েছে ধর্মীয় সংকীর্ণতা থেকে মুক্তি, মানবতাবাদ, যুক্তিবোধ ও প্রগতিশীল চিন্তার প্রচার।

0
Updated: 19 hours ago
'বিশ্বনবী' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 2 days ago
A
কায়কোবাদ
B
গোলাম মোস্তফা
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
কাজী মোতাহার হোসেন
‘বিশ্বনবী’ বাংলা সাহিত্যের এক প্রভাবশালী ধর্মীয় গ্রন্থ, যার রচয়িতা গোলাম মোস্তফা। এটি মূলত একটি গদ্যগ্রন্থ, যেখানে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন, চরিত্র, দাওয়াতি কার্যক্রম ও মানবকল্যাণে তাঁর অবদান বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
-
‘বিশ্বনবী’ গ্রন্থটি ১৯৪২ সালে প্রকাশিত হয়।
-
এতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন, আদর্শ ও শিক্ষার আলোকে মানবতার দিশা তুলে ধরা হয়েছে।
-
লেখক এতে নবীর জীবনের বিভিন্ন পর্যায়—জন্ম, নবুয়তপ্রাপ্তি, মক্কার দাওয়াত, হিজরত, মদিনায় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও শেষ জীবনের বাণী—অত্যন্ত শ্রদ্ধাভরে উপস্থাপন করেছেন।
-
‘বিশ্বনবী’ শুধু ধর্মীয় জীবনী নয়; এটি একাধারে নৈতিক, সামাজিক ও ঐতিহাসিক দলিল, যা বাংলা ভাষায় ইসলামী ভাবধারার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
বইটি প্রকাশের পর ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায় এবং গোলাম মোস্তফাকে বাংলা সাহিত্যে একজন ইসলামধর্মী চিন্তক ও সাহিত্যিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
গোলাম মোস্তফা সম্পর্কিত তথ্য:
-
জন্ম: ১৮৯৭ সালে, যশোর জেলার শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে।
-
মৃত্যু: ১৯৬৪ সালে, ঢাকায়।
-
তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত কবি, গদ্যকার ও প্রাবন্ধিক।
-
১৯৪৯ সালে পূর্ববঙ্গ সরকারের ভাষা সংস্কার কমিটির সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
তিনি পাকিস্তানি আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন এবং ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে উর্দুর পক্ষে অবস্থান নেন।
-
গদ্য ও পদ্য উভয় রচনায় তাঁর দক্ষতা ছিল সমান, তবে তিনি মূলত কবি হিসেবে বেশি পরিচিত।
-
সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন:
-
‘কাব্য সুধাকর’ উপাধি (যশোর সংঘ কর্তৃক, ১৯৫২)
-
‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’ খেতাব (পাকিস্তান সরকার কর্তৃক, ১৯৬০)
-
কাব্যগ্রন্থসমূহ:
১. রক্তরাগ
২. খোশরোজ
৩. কাব্যকাহিনী
৪. গীতি সঞ্চয়ন
৫. সাহারা
৬. হাসনাহেনা
৭. বুলবুলিস্তান
৮. বনি আদম
গদ্যগ্রন্থসমূহ:
১. বিশ্বনবী
২. ইসলাম ও জেহাদ
৩. ইসলাম ও কমিউনিজম
৪. আমার চিন্তাধারা
গোলাম মোস্তফার ‘বিশ্বনবী’ শুধু ইসলামী জীবনীগ্রন্থ নয়, বরং এটি বাংলা গদ্যসাহিত্যে ধর্ম, মানবতা ও আদর্শচিন্তার এক অনবদ্য সংযোজন, যা আজও পাঠকের মধ্যে নৈতিক অনুপ্রেরণা জাগিয়ে রাখে।

0
Updated: 2 days ago
'কাব্য সুধাকর' কার উপাধি?
Created: 1 month ago
A
কায়কোবাদ
B
ফররুখ আহমদ
C
গোলাম মোস্তফা
D
আহসান হাবীব
গোলাম মোস্তফা
-
জন্ম: ১৮৯৭, মনোহরপুর, শৈলকুপা, যশোর (বর্তমান ঝিনাইদহ)
-
পেশা: লেখক ও কবি
-
ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত কার্যক্রম: ১৯৪৯ সালে পূর্ববঙ্গ সরকারের ভাষা সংস্কার কমিটির সচিব। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় উর্দুর প্রতি সমর্থন প্রকাশ।
-
পুরস্কার ও স্বীকৃতি:
-
যশোর সংঘ কর্তৃক ‘কাব্য সুধাকর’ (১৯৫২)
-
পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’ (১৯৬০)
-
রচিত কাব্যগ্রন্থ
-
রক্তরাগ
-
খোশরোজ
-
কাব্যকাহিনী
-
গীতি সঞ্চয়ন
-
সাহারা
-
হাসনাহেনা
-
বুলবুলিস্তান
-
বনি আদম ইত্যাদি
রচিত গদ্যগ্রন্থ
-
বিশ্বনবী
-
ইসলাম ও জেহাদ
-
ইসলাম ও কমিউনিজম
-
আমার চিন্তাধারা
অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য
-
কাজেম আল কোরায়েশী / কায়কোবাদ উপাধি: কাব্যভূষণ
-
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক উপাধি: কাব্য কন্ঠ
উৎস: বাংলাপিডিয়া এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 1 month ago
’খোশরোজ’ কাব্যগ্রন্থের লেখক কে?
Created: 2 weeks ago
A
আল মাহমুদ
B
গোলাম মোস্তফা
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
ফররুখ আহমেদ
গোলাম মোস্তফা বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত কবি ও লেখক। তিনি ১৮৯৭ সালে যশোর (বর্তমান ঝিনাইদহ) জেলার শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৯ সালে গঠিত পূর্ববঙ্গ সরকারের ভাষা সংস্কার কমিটির সচিব হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। পাকিস্তানি আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন এবং ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় উর্দুর প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন। গদ্য ও পদ্য উভয় ক্ষেত্রে সমান দক্ষ ছিলেন, তবে কবি হিসেবেই তাঁর মুখ্য পরিচয়। সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি যশোর সংঘ কর্তৃক ‘কাব্য সুধাকর’ (১৯৫২) এবং পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’ (১৯৬০) উপাধি লাভ করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
কাব্যগ্রন্থ:
-
রক্তরাগ
-
খোশরোজ
-
কাব্যকাহিনী
-
গীতি সঞ্চয়ন
-
সাহারা
-
হাসনাহেনা
-
বুলবুলিস্তান
-
বনি আদম
অনুবাদকাব্য:
-
মুসাদ্দাস-ই-হালী
-
কালামে ইকবাল
-
শিকওয়া ও জওয়াব-ই-শিকওয়া (১৯৬০)
গদ্যগ্রন্থ:
-
বিশ্বনবী
-
ইসলাম ও জেহাদ
-
ইসলাম ও কমিউনিজম
-
আমার চিন্তাধারা
-
গোলাম মোস্তফার কবিতা ও রচনা সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বিষয়বস্তু সমৃদ্ধ।
-
তাঁর সাহিত্যকর্মে পাকিস্তানি আদর্শ, ইসলাম ও ধর্মীয় চেতনা প্রকাশিত হয়েছে।
-
অনুবাদকাব্যের মাধ্যমে তিনি সংস্কৃত ও উর্দু সাহিত্যকে বাংলাভাষীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।

0
Updated: 2 weeks ago