রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আকাশবাণী কোলকাতা কেন্দ্রে নজরুল স্বকন্ঠে তার কোন স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন?
A
মৃত্যুহীন রবীন্দ্রনাথ
B
মৃত্যুহীন রবীন্দ্রনাথ
C
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাস
D
অশ্রু পুষ্পাঞ্জলি
উত্তরের বিবরণ
কাজী নজরুল ইসলামের ‘নতুনচাঁদ’ কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত ‘অশ্রু-পুষ্পাঞ্জলি’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি এক গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রকাশ। কবি এখানে তাঁর প্রিয় গুরু ও অনুপ্রেরণার উৎস রবীন্দ্রনাথকে উদ্দেশ্য করে ভক্তি ও কৃতজ্ঞতার অর্ঘ্য নিবেদন করেছেন। কবিতাটি রচিত হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের আশীতম (৮০তম) জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে, যেখানে নজরুল এক ভক্ত কবির মতো প্রণাম জানিয়েছেন কবিগুরুকে।
-
কবিতার শুরুতেই নজরুল বলেন, “চরণারবিন্দে লহ অশ্রু-পুষ্পাঞ্জলি, হে রবীন্দ্র, তব দীন ভক্ত এ কবির”— এখানে তিনি রবীন্দ্রনাথকে দেবতার আসনে বসিয়ে তাঁর পদতলে অশ্রুরূপে শ্রদ্ধার পুষ্প নিবেদন করেছেন।
-
“অশীতি-বার্ষিকী তব জনম-উৎসবে আসিয়াছি নিবেদিতে নীরব প্রণাম”—এই চরণে রবীন্দ্রনাথের ৮০তম জন্মোৎসবের প্রেক্ষাপট স্পষ্ট হয়েছে, যেখানে নজরুলের কণ্ঠে উঠে এসেছে নির্ভেজাল শ্রদ্ধা ও আবেগপূর্ণ ভক্তি।
-
কবিতায় নজরুলের ভাষা ও ভাবভঙ্গিতে দেখা যায়, তিনি রবীন্দ্রনাথকে কেবল একজন কবি নয়, বরং একজন ঋষি, দ্রষ্টা ও আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক হিসেবে দেখেছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুর পর নজরুল গভীর শোকাহত হয়ে রচনা করেন তাঁর বিখ্যাত শোকগাথা ‘সালাম অস্ত রবি’ কবিতাটি, যেখানে তিনি বলেন—
“কাব্যগীতির শ্রেষ্ঠ স্রষ্টা, দ্রষ্টা, ঋষি ও ধ্যানী
মহাকবি রবি অস্ত গিয়াছে!”
এই চরণে নজরুল কবিগুরুর মৃত্যুকে এক মহাজাগতিক সূর্যাস্তের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যা তাঁর হৃদয়ে গভীর বেদনা ও শ্রদ্ধার প্রতিফলন ঘটায়।

0
Updated: 19 hours ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম তারিখ কত?
Created: 6 days ago
A
২১ বৈশাখ
B
২২ শ্রাবণ
C
১১ জ্যেষ্ঠ
D
২৫ বৈশাখ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন এক বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ব্যক্তি, যিনি বাংলা সাহিত্য, সংগীত ও সংস্কৃতিকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক ছিলেন। ১৯১৩ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, যা তাঁকে এশিয়ার প্রথম নোবেল বিজয়ী হিসেবে বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠিত করে। তাঁর জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ), কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে। পিতা ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। তিনি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চতুর্দশ সন্তান ছিলেন। জীবনের বিভিন্ন সময়ে তিনি বাংলাদেশের শাহজাদপুর, পতিসর, কালিগ্রাম ও শিলাইদহে অবস্থান করেছেন। ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) তিনি জোড়াসাঁকোর বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
-
তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে গীতাঞ্জলি, গীতিমাল্য, সোনার তরী, চিত্রা প্রভৃতি।
-
‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্যই তিনি নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
-
তাঁর রচিত ‘আমার সোনার বাংলা’ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে স্বীকৃত।
-
তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন শান্তিনিকেতনে, যা আজও বিশ্বখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
-
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বঙ্গীয় নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ।
-
তিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে নাইট উপাধি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে।
-
তাঁর সাহিত্যকর্মে মানবতা, প্রকৃতি, প্রেম, সমাজচেতনা ও আত্মিক মুক্তির গভীর প্রতিফলন দেখা যায়।

0
Updated: 6 days ago
নিচের কোনটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'শাস্তি' ছোটগল্পের বিখ্যাত চরিত্র?
Created: 1 week ago
A
চন্দরা, ছিদাম
B
রুপলেখা, অনন্ত
C
অনুরাধা, শ্রীবিলাস
D
অপর্ণা, সুরঞ্জিত
‘শাস্তি’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি বিখ্যাত ছোটগল্প, যেখানে গ্রামীণ জীবনের কঠোর বাস্তবতা এবং মানবিক সম্পর্কের টানাপোড়েন অত্যন্ত নিপুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে। গল্পটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো দুই ভাই দুখিরাম ও ছিদাম এবং তাদের স্ত্রী চন্দরা ও রাধা।
গল্পে দেখা যায়, দারিদ্র্য ও অভাবের তাড়নায় জর্জরিত এই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ক্রমে জন্ম নেয় সন্দেহ, অবিশ্বাস এবং মানসিক টানাপোড়েন। এক পর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের জটিলতা এমন এক চরম অবস্থায় পৌঁছে যায়, যার ফলস্বরূপ ঘটে মর্মান্তিক পরিণতি। গল্পের মূল ভাব হলো— পারিবারিক সম্পর্কের টানাপোড়েন, মানবিক দুর্বলতা এবং সামাজিক বাস্তবতার নির্মম প্রকাশ।
মূল চরিত্র
-
চন্দরা
-
ছিদাম
-
দুখিরাম
-
রাধা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তাঁকে বাংলা ছোটগল্পের জনক বলা হয়। তিনি মোট ১১৯টি ছোটগল্প রচনা করেছেন, যেখানে সমাজ, মনুষ্যজীবন ও আবেগের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ দেখা যায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উল্লেখযোগ্য ছোটগল্পসমূহ
-
ভিখারিণী
-
দেনা পাওনা
-
মনিহারা
-
পোস্টমাস্টার
-
এক রাত্রি
-
ক্ষুধিত পাষাণ
-
স্ত্রীর পত্র
-
নষ্টনীড়
-
কাবুলিওয়ালা
-
হৈমন্তী
-
মুসলমানীর গল্প

0
Updated: 1 week ago
'রমেশ ও কমলা' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কোন উপন্যাসের চরিত্র?
Created: 1 month ago
A
যোগাযোগ
B
চার অধ্যায়
C
নৌকাডুবি
D
চতুরঙ্গ
‘নৌকাডুবি’ উপন্যাস
-
লেখক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
ধরণ: সামাজিক উপন্যাস
-
প্রকাশ: ১৩১০-১১ বঙ্গাব্দে বঙ্গদর্শন পত্রিকায়
-
মূল বিষয়: জটিল পারিবারিক সমস্যা
-
প্রধান চরিত্র: রমেশ, হেমনলিনী, কমলা, নলিনাক্ষ, অন্নদাবাবু
অন্য উল্লেখযোগ্য রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস ও চরিত্র:
-
যোগাযোগ: কেন্দ্রীয় চরিত্র – নায়িকা কুমুদিনী, নায়ক মধুসূদন
-
চার অধ্যায়: উল্লেখযোগ্য চরিত্র – অতীন, এলা, ইন্দ্রনাথ
-
চতুরঙ্গ: উল্লেখযোগ্য চরিত্র – শচীশ, দামিনী, শ্রীবিলাস
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা; বাংলাপিডিয়া; বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 month ago