রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন কাব্যে প্রথম একজন কবির সাথে শিল্পীর যোগ হয়েছে?
A
গীতাঞ্জলী
B
মানসী
C
সোনারতরী
D
বলাকা
উত্তরের বিবরণ
এই উক্তিটি ড. সৌমিত্র শেখর রচিত ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ ‘মানসী’ সম্পর্কে মত প্রকাশ করা হয়েছে। এই কাব্যগ্রন্থে রবীন্দ্রনাথের কাব্যচর্চায় এক নতুন যুগের সূচনা লক্ষ্য করা যায়, যেখানে তিনি শুধু কবি নন, এক জন সম্পূর্ণ শিল্পী হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন।
-
‘মানসী’ কাব্যে রবীন্দ্রনাথের কবিত্বে ছন্দের বৈচিত্র্য ও সুরের অভিনবতা লক্ষ্য করা যায়।
-
এই কাব্যের মাধ্যমে কবি ভাব, রূপ ও ছন্দের সমন্বয় ঘটিয়ে এক নতুন কাব্যধারার সূচনা করেন।
-
এতে দেখা যায়, কবি শুধুমাত্র ভাবপ্রবণ নন, বরং তিনি একজন সচেতন শিল্পী, যিনি শব্দ, সুর ও ভাবের নিখুঁত মেলবন্ধন ঘটাতে সক্ষম।
-
ছন্দের নানা খেয়াল বা বৈচিত্র্য কবির কাব্যপ্রতিভাকে আরো শিল্পমণ্ডিত করেছে, যা তাকে পূর্ববর্তী রোমান্টিক ধারা থেকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।
-
অর্থাৎ, ‘মানসী’ থেকে রবীন্দ্রনাথের কবিতায় রূপ ও কারুকার্যের এক নন্দনধর্মী বিবর্তন শুরু হয়, যেখানে কবির সঙ্গে শিল্পীর সমন্বয় সম্পূর্ণতা পায়।

0
Updated: 20 hours ago
'চতুরঙ্গ' গ্রন্থটি কার রচিত?
Created: 3 weeks ago
A
নাটক
B
উপন্যাস
C
কাব্যগ্রন্থ
D
ভ্রমণকাহিনী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চতুরঙ্গ’ একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যা প্রকাশিত হয় ১৯১৬ সালে। এই উপন্যাসের নামকরণ করা হয়েছে সংস্কৃত শব্দ ‘চতুরঙ্গ’ থেকে, যার অর্থ ‘চারটি অংশ’ বা ‘চতুর্ভুজ’, কারণ উপন্যাসে চারটি অধ্যায় রয়েছে এবং প্রতিটি অধ্যায়ের নামকরণ করা হয়েছে প্রধান চরিত্রদের নামে। উপন্যাসের মূল চরিত্রগুলো হলো শচীশ, দামিনী এবং শ্রীবিলাস।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলো হলো:
-
ঘরে-বাইরে
-
চোখের বালি
-
শেষের কবিতা
-
যোগাযোগ
-
নৌকাডুবি
-
বউ ঠাকুরানীর হাট
-
দুই বোন
-
মালঞ্চ
-
চতুরঙ্গ
-
গোরা
-
রাজর্ষি
-
চার অধ্যায়
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শব্দের শুরুতে মাত্রাযুক্ত এ-কার ব্যবহার করতেন কেন?
Created: 1 day ago
A
এ-কার মাত্রা যুক্ত বলে
B
'এ' মাত্রাহীন বর্ণ বলে
C
'এ' উচ্চারণ বোঝাতে
D
'অ্যা' উচ্চারণ বোঝাতে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষার ‘এ’ ও ‘অ্যা’ ধ্বনির পার্থক্য বোঝাতে মুদ্রণে ‘এ’-কারের দুটি রূপ—মাত্রাযুক্ত ও মাত্রাহীন—ব্যবহার চালু করেন। এর মাধ্যমে শব্দে ধ্বনিগত পার্থক্য স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়।
মাত্রাহীন ‘এ’-কার থাকলে উচ্চারণ সংবৃত, অর্থাৎ স্বাভাবিক ‘এ’ ধ্বনি উচ্চারিত হয়। যেমন—‘মেলা’, ‘দেবী’, ‘সেরা’, ‘বেদনা’, ‘মেয়ে’, ‘গেলা’, ‘জেলা’ ইত্যাদি শব্দে স্বাভাবিক ‘এ’ ধ্বনি শোনা যায়।
-
মাত্রাযুক্ত ‘এ’-কার থাকলে উচ্চারণ বিবৃত, অর্থাৎ ‘অ্যা’ ধ্বনি প্রকাশ পায়। যেমন—‘মেলা’-র উচ্চারণ হয় ‘ম্যালা’, যা ‘ঠেলা’-র ধ্বনির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। তেমনি ‘কেমন’, ‘যেমন’, ‘যেন’, ‘ফেনা’ প্রভৃতি শব্দেও ‘অ্যা’ ধ্বনি শোনা যায়।
-
রবীন্দ্রনাথের এই প্রয়াস বাংলা ভাষার উচ্চারণে সূক্ষ্ম ধ্বনিগত পার্থক্য নির্ধারণে সহায়ক হয়েছে।
সঠিক উত্তর: ঘ) ‘অ্যা’ উচ্চারণ বোঝাতে।

0
Updated: 1 day ago
’বনফুল’ কাব্যগ্রন্থের লেখক কে?
Created: 4 weeks ago
A
নির্মলেন্দু গুন
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
D
আল মাহমুদ
বনফুল কাব্যগ্রন্থ
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ হলো বনফুল।
-
এটি জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব নামক দুটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ১৮৭৬ সালে।
-
কাব্যগ্রন্থটি সুকুমার সেন কাব্যোপন্যাস হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
জন্ম: ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ), কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
-
পিতা: মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর; মাতা: সারদা দেবী।
-
ঠাকুরবাড়ির অনুকূল পরিবেশে শৈশবেই কবি প্রতিভার উন্মেষ ঘটে।
-
১৯০১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়।
-
১৯১৩ সালে ইংরেজি গীতাঞ্জলি (১৯১১) কাব্যের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
রচিত উপন্যাসসমূহ:
-
চোখের বালি
-
গোরা
-
ঘরে বাইরে
-
যোগাযোগ
-
শেষের কবিতা
রচিত কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
প্রভাতসঙ্গীত
-
মানসী
-
সোনার তরী
-
চিত্র
-
চৈতালী
-
কল্পনা
-
ক্ষণিকা
-
গীতাঞ্জলি
-
বলাকা
-
পুনশ্চ

0
Updated: 4 weeks ago