'হানিফা-কয়রা পরী কোন জাতীয় রচনা?
A
রূপকথা
B
নীতিশাস্ত্র
C
যুদ্ধ উপজীব্য রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান
D
সামাজিক প্রেমকাহিনি
উত্তরের বিবরণ
‘হানিফা কয়রাপরী’ একটি জঙ্গনামা জাতীয় যুদ্ধকাব্য, তবে এতে প্রেমকাহিনির সংযোজন থাকায় এটি রোম্যান্টিক প্রণয়োপাখ্যান হিসেবেও বিবেচিত হয়। কাব্যটি সম্পূর্ণ আকারে পাওয়া যায়নি, ফলে এর নাম ও রচয়িতা সম্পর্কে কিছু মতভেদ রয়েছে। সাধারণভাবে কাব্যের রচয়িতা হিসেবে সাবিরিদ খান (অথবা শাহ বারিদ খান) এর নামই স্বীকৃত।
-
‘হানিফা কয়রাপরী’ মূলত একটি যুদ্ধকাব্য, কিন্তু এর প্রেমঘন কাহিনি একে রোমান্টিক আখ্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
-
কাব্যটি খণ্ডিত আকারে পাওয়া গেছে, যার ফলে কাব্যের নাম ও রচয়িতা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
-
কাব্যটি আরব-ইরানীয় উৎসের গল্প অবলম্বনে রচিত বলে ধারণা করা হয়।
-
এতে যুদ্ধ, প্রেম এবং বীরত্ব—এই তিনটি উপাদানের সমন্বয় ঘটেছে, যা মধ্যযুগীয় বাংলা আখ্যান সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বহন করে।
সাবিরিদ খান সম্পর্কে:
-
তিনি ছিলেন মধ্যযুগের আখ্যানকবি, যিনি কাহিনি ও যুদ্ধবিষয়ক কাব্য রচনায় পারদর্শী ছিলেন।
-
তাঁর রচিত প্রধান তিনটি আখ্যানমূলক কাব্য হলো ‘বিদ্যাসুন্দর’, ‘রসুল বিজয়’ এবং ‘হানিফা-কয়রাপরী’।
-
কাব্যগুলির পাণ্ডুলিপি খণ্ডিত, ফলে কবির ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না।
-
ভনিতার সূত্রে জানা যায়, তিনি চট্টগ্রামের নানুপুরের অধিবাসী ছিলেন।
-
তিনি ভারতীয় উৎস থেকে বিদ্যাসুন্দর এবং আরব-ইরানীয় উৎস থেকে রসুল বিজয় ও হানিফা-কয়রাপরী কাব্য রচনা করেন।
-
বিদ্যাসুন্দর ও হানিফা-কয়রাপরী কাব্য রোমান্সধর্মী প্রণয়কাব্য, আর রসুল বিজয় কাব্য ইসলামের গৌরবগাথা।
-
হানিফা-কয়রাপরী ও রসুল বিজয় কাব্যে যুদ্ধ ও সংগ্রামের প্রাধান্য থাকায় এগুলোকে জঙ্গনামা শ্রেণীর কাব্য হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়।

0
Updated: 19 hours ago