'দর্শন' হিসেবে সর্ব প্রথম দর্শনের কোন শাখাটি বিবেচিত হয়?
A
জ্ঞানবিদ্যা
B
অধিবিদ্যা
C
মূল্যবিদ্যা
D
বিশ্বতত্ত্ব
উত্তরের বিবরণ
থেলিস প্রাচীন গ্রীসের এক প্রখ্যাত দার্শনিক, যিনি দর্শনের জনক হিসেবে পরিচিত। তিনি প্রথম প্রশ্ন তোলেন— “এই জগতের আদি বা মূল সত্তা কী?” তাঁর মতে, সমগ্র জগতের মূল উপাদান বা আদিমতম সত্তা হলো “পানি”। তিনি বিশ্বাস করতেন, পৃথিবীর সবকিছুই পানির থেকেই সৃষ্টি হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত পানিতেই বিলীন হবে। এইভাবে জগতের মূল সত্তা নিয়ে অনুসন্ধানের মধ্য দিয়েই দর্শনের সূচনা হয়।
এই অনুসন্ধানই মূলত তত্ত্ববিদ্যার (Ontology) অন্তর্ভুক্ত।
তত্ত্ববিদ্যা (Ontology):
তত্ত্ববিদ্যাকে বলা হয় দর্শনের প্রাণস্পন্দন, কারণ এটি জগতের সর্বমৌলিক প্রশ্ন—“অস্তিত্ব কী?” বা “সত্তা কী?”—এর উত্তর অনুসন্ধান করে।
-
‘Ontology’ শব্দের অর্থ হলো সত্তাসম্পর্কীয় বিজ্ঞান (Science of Being)।
-
এটি মূলত অধিবিদ্যার (Metaphysics) একটি শাখা, যা জগতের প্রকৃত অস্তিত্ব, বাস্তবতার প্রকৃতি এবং সত্তার গঠন নিয়ে আলোচনা করে।
-
অ্যারিস্টটল একে বলেছেন “First Philosophy”, কারণ এটি সমস্ত জ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে বাস্তবতার মূল রূপ নিয়ে আলোচনা করে।
তত্ত্ববিদ্যায় আলোচনা করা হয়—
-
জগতের আদি বা মৌলিক সত্তা কী,
-
বস্তু ও আত্মার সম্পর্ক কেমন,
-
বাস্তবতা এক না বহু,
-
জগতের উৎপত্তি ও পরিবর্তনের প্রকৃতি কী।
অতএব, থেলিসের পানিকে জগতের মূল সত্তা ঘোষণা করা তত্ত্ববিদ্যারই সূচনা, যেখানে দর্শন প্রথমবারের মতো অস্তিত্ব ও বাস্তবতার মৌলিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করে।

0
Updated: 22 hours ago
সৃষ্টিতত্ত্ব কী?
Created: 1 day ago
A
বিজ্ঞান ভিত্তিক মতবাদ
B
ক্রম-পরিবর্তনবাদ
C
জাগতিকবাদ
D
ধর্মভিত্তিক দার্শনিক মতবাদ
সৃষ্টি তত্ত্ব (The Theory of Creation) অনুসারে, আদিতে একমাত্র ঈশ্বর ব্যতীত অন্য কোনো কিছুর অস্তিত্ব ছিল না। এক নির্দিষ্ট সময়ে ঈশ্বর নিজের ইচ্ছায় এই জগতের সৃষ্টি করেন। সৃষ্টির পর থেকে জগতের সব বস্তু তাদের মূল রূপে অপরিবর্তিত রয়েছে; অর্থাৎ সৃষ্টিকালের মতোই আজও তাদের অবস্থান বিদ্যমান। এই মতবাদে জগতের উৎপত্তি ও বিন্যাসকে ঈশ্বরের ইচ্ছা ও ক্ষমতার ফল হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। তাই সৃষ্টি তত্ত্ব মূলত একটি ঈশ্বরনির্ভর ও ধর্মভিত্তিক দার্শনিক মতবাদ, যেখানে জগতের কারণ হিসেবে কোনো প্রাকৃতিক বা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার পরিবর্তে ঈশ্বরের সৃজনশক্তিকেই প্রধান বলা হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
নৈতিক অশুভ এর কারণ কী?
Created: 5 hours ago
A
মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা
B
প্রকৃতিক নিয়ম
C
ঈশ্বরের ইচ্ছা
D
নিয়তি
প্রাকৃতিক অনিষ্ট ও নৈতিক অনিষ্ট (natural evil and moral evil) : যে সকল ক্রিয়া মানুষের কল্যাণ প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দেয় তাকে অনিষ্ট বা অকল্যাণ বলা হয়। অনিষ্ট দুই শ্রেণীতে বিভক্ত, যথা- প্রাকৃতিক অনিষ্ট এবং নৈতিক অনিষ্ট। প্রাকৃতিক অনিষ্ট প্রাকৃতিক শক্তির ধ্বংসাত্মক ক্রিয়া, এটা প্রাকৃতিক নিয়মের ওপর নির্ভরশীল। ভূমিকম্প, ঘূর্ণিবাত্যা, ঝটিকা, দুর্ভিক্ষ, বন্যা, মহামারী, কীটপতঙ্গের উপদ্রব প্রভৃতি প্রাকৃতিক অনিষ্ট।
পক্ষান্তরে, নৈতিক অনিষ্ট বা অশুভ (moral evil) মানুষের ইচ্ছা নির্ভর। মানুষের ইচ্ছাকৃত নৈতিক নিয়ম লঙ্ঘন থেকে নৈতিক অনিষ্টের উত্তর হয়ে থাকে। নৈতিক অনিষ্ট মানুষের ইচ্ছানির্ভর এবং এটা নৈতিক বিচারের অধীন।

0
Updated: 5 hours ago
পরানীতিবিদ্যা কোন ধরণের দর্শন?
Created: 5 hours ago
A
আদর্শমূলক
B
সংশয়বাদী
C
সুখবাদী
D
বিশ্লেষণমূলক
নীতিবিদ্যার গতানুগতিক ধারণায় পরিবর্তন আনতেই জন্ম নেয় পরনীতিবিদ্যা (Metaethics), যাকে বিশ্লেষণী নীতিবিদ্যাও বলা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো নৈতিক ধারণা ও ভাষার বিশ্লেষণ করে তাদের প্রকৃত অর্থ স্পষ্ট করা।
এই ধারার পেছনে জি. ই. ম্যুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি নৈতিক শব্দ ও ধারণা যেমন “ভালো”–এর অর্থ বিশ্লেষণ করে দেখাতে চান যে, এগুলোকে সরাসরি সংজ্ঞায়িত করা যায় না।
এই ধারার মাধ্যমে নীতিবিদ্যায় উঠে আসে বিভিন্ন মতবাদ যেমন:
-
প্রকৃতিবাদ
-
অপ্রকৃতিবাদ
-
আবেগবাদ
-
নির্দেশবাদ
-
বর্ণনাবাদ
এসব মতবাদ নৈতিক অবধারণার স্বরূপ ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করে।

0
Updated: 5 hours ago