হিউমের মতে জ্ঞানের উৎস কী?
A
স্বজ্ঞা
B
প্রত্যাদেশ
C
প্রাধিকার
D
অভিজ্ঞতা
উত্তরের বিবরণ
অভিজ্ঞতাবাদী দার্শনিক ডেভিড হিউম জ্ঞানতত্ত্বে এমন এক মতবাদ উপস্থাপন করেন যেখানে অভিজ্ঞতাকেই জ্ঞানের একমাত্র উৎস বলা হয়েছে। তাঁর মতে, মানুষের মস্তিষ্কে জন্মগত কোনো ধারণা বা জ্ঞান থাকে না; বরং সব জ্ঞানই আসে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য অভিজ্ঞতা থেকে।
হিউম মানুষের মানসিক উপাদানকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন—
-
Impressions (প্রতিভাস): সরাসরি ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত তীব্র অনুভূতি বা অভিজ্ঞতা, যেমন দেখা, শোনা, স্পর্শ ইত্যাদি।
-
Ideas (ধারণা): এই অভিজ্ঞতার মৃদু বা পুনঃস্মরণিত রূপ, যা চিন্তা বা কল্পনা হিসেবে প্রকাশ পায়।
তাঁর মতে, ধারণা কখনোই অভিজ্ঞতার বাইরে থেকে আসে না, বরং সব ধারণাই ইন্দ্রিয়ানুভূতির ভিত্তিতে গঠিত। তাই হিউমের অভিজ্ঞতাবাদে বলা হয়— “জ্ঞানের উৎস হলো অভিজ্ঞতা।”

0
Updated: 22 hours ago
দর্শন কোন ধরণের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে?
Created: 22 hours ago
A
জগৎ সংক্রান্ত মৌলিক সমস্যা
B
জগৎ ও জীবনের সাধারণ সমস্যা
C
জগৎ ও জীবনের সকল ধরণের সমস্যা
D
জগৎ ও জীবনের মৌলিক সমস্যা
জগৎ ও জীবনের মৌলিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা ও তার যৌক্তিক সমাধান দেওয়াই দর্শনের কাজ।

0
Updated: 22 hours ago
সৃষ্টিতত্ত্ব কী?
Created: 1 day ago
A
বিজ্ঞান ভিত্তিক মতবাদ
B
ক্রম-পরিবর্তনবাদ
C
জাগতিকবাদ
D
ধর্মভিত্তিক দার্শনিক মতবাদ
সৃষ্টি তত্ত্ব (The Theory of Creation) অনুসারে, আদিতে একমাত্র ঈশ্বর ব্যতীত অন্য কোনো কিছুর অস্তিত্ব ছিল না। এক নির্দিষ্ট সময়ে ঈশ্বর নিজের ইচ্ছায় এই জগতের সৃষ্টি করেন। সৃষ্টির পর থেকে জগতের সব বস্তু তাদের মূল রূপে অপরিবর্তিত রয়েছে; অর্থাৎ সৃষ্টিকালের মতোই আজও তাদের অবস্থান বিদ্যমান। এই মতবাদে জগতের উৎপত্তি ও বিন্যাসকে ঈশ্বরের ইচ্ছা ও ক্ষমতার ফল হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। তাই সৃষ্টি তত্ত্ব মূলত একটি ঈশ্বরনির্ভর ও ধর্মভিত্তিক দার্শনিক মতবাদ, যেখানে জগতের কারণ হিসেবে কোনো প্রাকৃতিক বা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার পরিবর্তে ঈশ্বরের সৃজনশক্তিকেই প্রধান বলা হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
নৈতিক অশুভ এর কারণ কী?
Created: 5 hours ago
A
মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা
B
প্রকৃতিক নিয়ম
C
ঈশ্বরের ইচ্ছা
D
নিয়তি
প্রাকৃতিক অনিষ্ট ও নৈতিক অনিষ্ট (natural evil and moral evil) : যে সকল ক্রিয়া মানুষের কল্যাণ প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দেয় তাকে অনিষ্ট বা অকল্যাণ বলা হয়। অনিষ্ট দুই শ্রেণীতে বিভক্ত, যথা- প্রাকৃতিক অনিষ্ট এবং নৈতিক অনিষ্ট। প্রাকৃতিক অনিষ্ট প্রাকৃতিক শক্তির ধ্বংসাত্মক ক্রিয়া, এটা প্রাকৃতিক নিয়মের ওপর নির্ভরশীল। ভূমিকম্প, ঘূর্ণিবাত্যা, ঝটিকা, দুর্ভিক্ষ, বন্যা, মহামারী, কীটপতঙ্গের উপদ্রব প্রভৃতি প্রাকৃতিক অনিষ্ট।
পক্ষান্তরে, নৈতিক অনিষ্ট বা অশুভ (moral evil) মানুষের ইচ্ছা নির্ভর। মানুষের ইচ্ছাকৃত নৈতিক নিয়ম লঙ্ঘন থেকে নৈতিক অনিষ্টের উত্তর হয়ে থাকে। নৈতিক অনিষ্ট মানুষের ইচ্ছানির্ভর এবং এটা নৈতিক বিচারের অধীন।

0
Updated: 5 hours ago