ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্য কোথায়?

A

লেখার ধরনে

B

উচ্চারনের বিশিষ্টতায়

C

সংখ্যাগত পরিমানে

D

ইন্দ্রিয় গ্রাহ্যে

উত্তরের বিবরণ

img

ধ্বনি ও বর্ণ বাংলা ব্যাকরণে দুটি স্বতন্ত্র ধারণা, যাদের মূল পার্থক্য তাদের প্রকৃতি এবং ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতার মধ্যে নিহিত। ধ্বনি শ্রুতিগ্রাহ্য, আর বর্ণ দৃষ্টিগ্রাহ্য। নিচে এই পার্থক্য স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।

ধ্বনি:

  • এটি মুখ থেকে উচ্চারিত শব্দ বা কথনের একক।

  • কান দিয়ে শোনা যায়, অর্থাৎ এটি শ্রুতিগ্রাহ্য।

  • ভাষার মৌখিক রূপের অংশ এবং উচ্চারণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

  • উদাহরণ: ‘ক’ বা ‘আ’ ধ্বনি উচ্চারণের সময় শ্রুতিগোচর হয়।

  • ভাষাভেদে ধ্বনির সংখ্যা ও প্রকৃতি ভিন্ন হতে পারে।

বর্ণ:

  • এটি ধ্বনির লিখিত প্রতীক বা চিহ্ন

  • চোখ দিয়ে দেখা যায়, অর্থাৎ এটি দৃষ্টিগ্রাহ্য।

  • বাংলা বর্ণমালায় স্বরবর্ণ (অ, আ, ই) ও ব্যঞ্জনবর্ণ (ক, খ, গ) উভয়ই রয়েছে, যা ধ্বনিকে লিখিত রূপে প্রকাশ করে।

  • উদাহরণ: আমরা যখন ‘ক’ উচ্চারণ করি, তখন তা ধ্বনি; কিন্তু লিখলে ‘ক’ তখন তা বর্ণ।

এই বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায়, ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্যের মূল ভিত্তি হলো ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতা, অর্থাৎ একটির উৎস শ্রবণেন্দ্রিয় আর অন্যটির দৃষ্টিেন্দ্রিয়।

Unfavorite

0

Updated: 22 hours ago

Related MCQ

২১) নাসিক্য বর্ণ কোনটি?

Created: 1 month ago

A

B

C

D

Unfavorite

0

Updated: 1 month ago

২৯) বাংলা বর্ণমালায় মৌলিক ব্যঞ্জনধ্বনির সংখ্যা কয়টি?

Created: 1 month ago

A

৩২টি

B


৩০টি

C

৩৭টি

D

২৫টি

Unfavorite

0

Updated: 1 month ago

শুনিয়া > শুনে' - কোন ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?

Created: 1 month ago

A

অভিশ্রুতি

B

অপিনিহিতি

C

স্বরভক্তি

D

অন্তর্হতি

Unfavorite

0

Updated: 1 month ago

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD