যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য হলো-i) রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার; ii) ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা; iii) এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা; উপরের কোনটি সঠিক?
A
i
B
i ও ii
C
i ও iii
D
i, ii ও iii
উত্তরের বিবরণ
যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ব্যবস্থা হলো একটি রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা (Presidential System), যেখানে রাষ্ট্রপতি একই সঙ্গে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই ব্যবস্থায় ক্ষমতা তিনটি স্বতন্ত্র অঙ্গের মধ্যে বিভক্ত— আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ— যাতে একে অপরের ওপর নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য বজায় থাকে।
• রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত সরকার হিসেবে আইনসভা থেকে স্বাধীনভাবে কার্যকর হন; অর্থাৎ তিনি আইন প্রণেতা নন, বরং আইন বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রধান।
• যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণের নীতি (Principle of Separation of Powers) কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে, যার ফলে তিন অঙ্গ— আইনসভা, নির্বাহী ও বিচার বিভাগ— পরস্পর স্বাধীনভাবে কাজ করে, কিন্তু একে অপরকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভারসাম্য রক্ষা করে।
• যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা (Legislature) দ্বিকক্ষবিশিষ্ট, যার দুটি অংশ হলো:
-
হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস (House of Representatives)
-
সিনেট (Senate)
• হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে এবং এর সদস্য সংখ্যা রাজ্যভিত্তিক জনসংখ্যার অনুপাতে নির্ধারিত হয়।
• সিনেট প্রতিটি রাজ্যের সমান প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে; প্রতিটি রাজ্য থেকে দুইজন সিনেটর নির্বাচিত হয়।
• যুক্তরাষ্ট্রের এই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা (Bicameral Legislature) ব্যবস্থা আইন প্রণয়নে ভারসাম্য ও বিশ্লেষণ নিশ্চিত করে, যাতে কোনো একক গোষ্ঠী অতিরিক্ত প্রভাব বিস্তার করতে না পারে।
• এভাবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থায় ক্ষমতার ভারসাম্য, জবাবদিহিতা ও গণতান্ত্রিক কার্যকারিতা বজায় থাকে।

0
Updated: 23 hours ago
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোন্ খাতে সবচেয়ে বেশী বিনিয়োগ করছে?
Created: 23 hours ago
A
কৃষি
B
প্রতিরক্ষা
C
জ্বালানী ও গ্যাস
D
শিক্ষা
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের শক্তি ও জ্বালানি খাতে সর্বাধিক বিনিয়োগকারী দেশ, যা দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই বিনিয়োগ বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
• যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের মোট প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের প্রায় ৫৫% সরবরাহ করছে, যা দেশের শিল্প, বিদ্যুৎ ও গৃহস্থালি ব্যবহারে জ্বালানির মূল উৎস হিসেবে কাজ করছে।
• বাংলাদেশের গ্যাস-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর প্রায় ৮০% টারবাইন যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত, যা দেশটির প্রযুক্তিগত নির্ভরতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাতে অগ্রগণ্য অবস্থান নির্দেশ করে।
• ২০২৫ সালে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি আর্জেন্ট এলএনজি (Argent LNG) বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার আওতায় প্রতি বছর ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি (Liquefied Natural Gas) সরবরাহ করা হবে, যা দেশের জ্বালানি আমদানিতে স্থিতিশীলতা আনবে।
• যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (USAID) বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ করছে, তবে এই বিনিয়োগের পরিমাণ শক্তি ও জ্বালানি খাতের তুলনায় কম।
• কৃষি খাতেও USAID জলবায়ু-স্মার্ট কৃষি উন্নয়ন, টেকসই উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পে কাজ করছে, কিন্তু এই বিনিয়োগও তুলনামূলকভাবে সীমিত।
• যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাতে প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম ও সহযোগিতা প্রদান করে, তবে এ খাতের অর্থনৈতিক বিনিয়োগ শক্তি খাতের তুলনায় অনেক কম।
• সার্বিকভাবে বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে প্রযুক্তি, অবকাঠামো ও জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে প্রধান ভূমিকা রাখছে, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের শক্তি নির্ভরতা হ্রাস ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হবে।

0
Updated: 23 hours ago
পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র সংবিধান কোন্ দেশের?
Created: 8 hours ago
A
কানাডা
B
ফ্রান্স
C
জার্মানি
D
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট লিখিত সংবিধান হলো যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান, যার মোট শব্দসংখ্যা মাত্র ৪,৫৪৩ এবং এটি মাত্র চারটি পৃষ্ঠায় সীমাবদ্ধ। ১৭৮৭ সালে গৃহীত এই সংবিধান তার সংক্ষিপ্ততা, সহজবোধ্য ভাষা এবং সংশোধনযোগ্য কাঠামোর কারণে এখনো কার্যকর ও প্রাসঙ্গিক। এটি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতার ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে।
-
সংবিধানটি ১৭৮৭ সালের ফিলাডেলফিয়া কনভেনশনে রচিত ও গৃহীত হয়।
-
এতে ৭টি মূল অনুচ্ছেদ রয়েছে, যা রাষ্ট্রের কাঠামো, ক্ষমতার বিভাজন ও শাসনব্যবস্থা নির্ধারণ করে।
-
পরবর্তীতে ২৭টি সংশোধনী যুক্ত করা হয়, যার মাধ্যমে সময় ও সমাজের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়েছে।
-
এর সংক্ষিপ্ত ও স্পষ্ট ভাষা নাগরিক ও প্রশাসনের জন্য সহজবোধ্য করেছে।
-
সংবিধানটি যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার ভারসাম্য ও নাগরিক অধিকার রক্ষার মূল ভিত্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
-
এটি এমনভাবে রচিত যে নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে সহজে অভিযোজিত হতে পারে।
-
এই সংবিধান বিশ্বে একটি দৃষ্টান্তমূলক নথি, যা দেখায় কীভাবে সংক্ষিপ্ত অথচ কার্যকর একটি দলিল শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে একটি জাতিকে পরিচালিত করতে পারে।

0
Updated: 8 hours ago
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ব্যবস্থার নাম কোনটি?
Created: 23 hours ago
A
Proportional Representation
B
First past the post
C
Run-off System
D
Preferential Voting
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনী ব্যবস্থা মূলত First-Past-The-Post (FPTP) বা সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থী বিজয়ী পদ্ধতি-এর উপর ভিত্তি করে গঠিত। এই পদ্ধতিতে প্রতিটি নির্বাচনী অঞ্চল থেকে যে প্রার্থী সর্বাধিক ভোট পায়, তাকেই নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। এতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের প্রয়োজন নেই, শুধু অন্য প্রার্থীদের চেয়ে বেশি ভোট পেলেই বিজয়ী হওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (ইলেকটোরাল কলেজের মাধ্যমে) ও কংগ্রেস নির্বাচনে এই পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
• সহজ ও দ্রুত ফলাফল: FPTP পদ্ধতিতে ভোট গণনা তুলনামূলকভাবে সহজ এবং দ্রুত ফলাফল ঘোষণা করা যায়, কারণ কেবল সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থীকে বিজয়ী ধরা হয়।
• দ্বিদলীয় ব্যবস্থা সমর্থন: এই পদ্ধতি যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিদলীয় (Two-party) ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছে, যেখানে সাধারণত ডেমোক্রেটিক পার্টি ও রিপাবলিকান পার্টি দুইটি প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল হিসেবে থাকে।
• Proportional Representation (অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব): এই পদ্ধতিতে দলের মোট ভোটের শতকরা হারে সংসদীয় আসন বরাদ্দ করা হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রে এই পদ্ধতি প্রযোজ্য নয়; এটি সাধারণত ইউরোপের কিছু দেশে ব্যবহৃত হয়।
• Run-off System (দ্বিতীয় দফা ভোট): কিছু অঙ্গরাজ্যে বা স্থানীয় নির্বাচনে ব্যবহৃত হলেও যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস বা ফেডারেল নির্বাচনে এটি প্রযোজ্য নয়। যদি কোনো প্রার্থী প্রথম রাউন্ডে নির্দিষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারেন, তখন দ্বিতীয় রাউন্ডে শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটগ্রহণ হয়।
• Preferential Voting (পছন্দক্রমভিত্তিক ভোট): এতে ভোটাররা প্রার্থীদের পছন্দের ক্রম অনুযায়ী ভোট দেন (যেমন ১ম, ২য়, ৩য় পছন্দ ইত্যাদি)। এই পদ্ধতি যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত নয়, যদিও অস্ট্রেলিয়া ও কিছু ইউরোপীয় দেশে এটি ব্যবহৃত হয়।
• ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য: যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী পদ্ধতি সরল, দ্রুত ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক কাঠামো বজায় রাখে, তবে এতে ছোট দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে, যা দ্বিদলীয় আধিপত্যকে আরও শক্তিশালী করে।

0
Updated: 23 hours ago