বাংলাদেশের সংবিধানের কোন্ অনুচ্ছেদে পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতি উল্লেখ রয়েছে
A
২৪ অনুচ্ছেদে
B
২৫ অনুচ্ছেদে
C
২৬ অনুচ্ছেদে
D
২৭ অনুচ্ছেদে
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধানের এই ধারাগুলো রাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক দায়িত্ব, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আইনি কাঠামো ও নাগরিক অধিকারের মৌলিক ভিত্তি নির্ধারণ করে। এগুলো রাষ্ট্র পরিচালনা ও নাগরিক জীবনের ন্যায়বিচার, মর্যাদা ও সংহতি প্রতিষ্ঠার দিকনির্দেশনা হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
অনুচ্ছেদ ২৪: রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো জাতীয় স্মৃতিসৌধ, ঐতিহাসিক নিদর্শন, স্থান ও বস্তু সংরক্ষণ করা। এর মাধ্যমে দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাস রক্ষা নিশ্চিত করা হয়। এটি রাষ্ট্রকে সাংস্কৃতিক পরিচয় সংরক্ষণের দায়িত্ব প্রদান করে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অতীত ঐতিহ্যের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে।
-
অনুচ্ছেদ ২৫: রাষ্ট্রের অন্যতম নীতি হলো আন্তর্জাতিক শান্তি, সহযোগিতা ও সংহতি বৃদ্ধি করা। বাংলাদেশ জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় অবদান রাখবে এবং ন্যায়, মানবাধিকার ও পারস্পরিক সম্মানবোধের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বজায় রাখবে। এটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির নৈতিক ভিত্তি গঠন করে।
-
অনুচ্ছেদ ২৬: এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সংবিধানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ কোনো আইন বাতিল বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ সংবিধানই সর্বোচ্চ আইন এবং তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন কার্যকর হতে পারে না। এটি সংবিধানের সর্বোচ্চতা ও আইনের শাসন নীতিকে নিশ্চিত করে।
-
অনুচ্ছেদ ২৭: এতে বলা হয়েছে, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারী। এটি সংবিধানের অন্যতম মৌলিক অধিকার, যা রাষ্ট্রে বৈষম্যহীন ন্যায়বিচার ও সমতা প্রতিষ্ঠার নিশ্চয়তা দেয়।
-
এই ধারাগুলো একত্রে রাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ, আন্তর্জাতিক নীতি, আইনি সর্বোচ্চতা ও নাগরিক সমতা—এই চারটি মূল স্তম্ভকে প্রতিনিধিত্ব করে।
-
সংবিধানের এই বিধানগুলো বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পথে পরিচালিত করে।
-
এই অনুচ্ছেদগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হলে জাতীয় ঐক্য, আইনের শাসন ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা আরও সুসংহত হয়।

0
Updated: 23 hours ago