একজন ব্যক্তি যখন মিথ্যা কথা বলে, তখন সে অন্য মানুষের প্রতি কোন মৌলিক কর্তব্য লঙ্ঘন করে?
A
সহানুভুতি
B
স্বাধীনতা
C
নিরাপত্তা
D
সততা
উত্তরের বিবরণ
সত্য বলা হলো সততার অন্যতম প্রধান লক্ষণ। সততা এমন একটি নৈতিক গুণ, যা মানুষের চিন্তা, বাক্য ও কর্মের মধ্যে সামঞ্জস্য ও সত্যনিষ্ঠা বজায় রাখে। যখন একজন ব্যক্তি সত্য কথা বলে, তখন সে অন্যের প্রতি আস্থা ও সম্মানের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
কিন্তু মিথ্যা বলা এই নৈতিক ভিত্তিকে ভেঙে দেয়। কারণ মিথ্যা কথার মাধ্যমে ব্যক্তি শুধু অন্যকে প্রতারিতই করে না, বরং সততার মৌলিক কর্তব্যও লঙ্ঘন করে। এতে পারস্পরিক বিশ্বাস নষ্ট হয় এবং সামাজিক সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়ে।
অতএব, সত্য ভাষণই সততার প্রকাশ, আর মিথ্যা বলা মানে সেই নৈতিক দায়িত্ব ও সততার মূল চর্চা থেকে বিচ্যুত হওয়া।

0
Updated: 23 hours ago
কোনটি আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান নয়?
Created: 23 hours ago
A
যুক্তিবিদ্যা
B
নীতিবিদ্যা
C
মনোবিজ্ঞান
D
নন্দন তত্ত্ব
যুক্তিবিদ্যা, নীতিবিদ্যা ও নন্দনতত্ত্ব— এই তিনটি বিদ্যা মানবচেতনা, চিন্তা ও মূল্যবোধ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। এদের লক্ষ্য হলো কীভাবে মানুষ ভাবনা, নীতি ও সৌন্দর্যের আদর্শ অনুধাবন ও প্রতিষ্ঠা করতে পারে, তা নির্ধারণ করা। এই কারণেই এগুলোকে আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান (Normative Sciences) বলা হয়।
-
যুক্তিবিদ্যা নির্ধারণ করে সঠিক চিন্তা বা যুক্তির আদর্শ।
-
নীতিবিদ্যা নির্দেশ করে নৈতিক আচরণ ও সৎ জীবনের আদর্শ।
-
নন্দনতত্ত্ব নির্ধারণ করে সৌন্দর্যের উপলব্ধি ও রুচির আদর্শ।
অন্যদিকে, মনোবিজ্ঞান মানুষের মানসিক প্রক্রিয়া, আচরণ ও অভিজ্ঞতাকে পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও পরীক্ষার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করে। এটি কোনো আদর্শ নির্ধারণ করে না; বরং বাস্তব ঘটনার ভিত্তিতে মানসিক প্রক্রিয়ার কারণ ও ফল বিশ্লেষণ করে। এজন্য একে বলা হয় বস্তুনিষ্ঠ বিজ্ঞান (Positive or Empirical Science)।
অতএব, প্রথম তিনটি বিজ্ঞান মানবচিন্তার আদর্শ নির্ধারণে নিয়োজিত, আর মনোবিজ্ঞান বাস্তব পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতানির্ভর বিশ্লেষণে ভিত্তিক।

0
Updated: 23 hours ago
বাংলাদেশের কোন দর্শনের সাথে মরমী চিন্তাধারার সংশ্লেষ্ট রয়েছে?
Created: 6 hours ago
A
বৈষ্ণববাদ
B
বাউলবাদ
C
ফারাইজি দর্শন
D
চর্যাপদ
বাংলাদেশে বাউলবাদ হলো মরমী ধারার দর্শন এরা মূলত সাধন-ভজন গোষ্ঠী দেহ-সাধনা করে। এই মতবাদ সুফিবাদ ও সহজিয়া সাধনার মিশ্রণ, যেখানে মানবদেহকেই সব সত্যের কেন্দ্র বলে মনে করা হয়।

0
Updated: 6 hours ago
যান্ত্রিক বিবর্তনবাদের প্রবক্তা হলেন-
Created: 5 hours ago
A
হার্বাট স্পেন্সার
B
চালর্স ডারউইন
C
ডাল্টন
D
লামার্ক
যান্ত্রিক বিবর্তনবাদ একটি কার্যকারণভিত্তিক মতবাদ, যা বিবর্তনে উদ্দেশ্য বা আদর্শের কোনো ভূমিকা স্বীকার করে না। এটি মনে করে, জড় পদার্থ থেকে আকস্মিকভাবে বিবর্তন শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে প্রাণ, মন ইত্যাদি স্তর অতিক্রম করে বর্তমান অবস্থায় পৌঁছায়।
হার্বার্ট স্পেন্সার এই মতের প্রবর্তক, এবং পরে ডারউইন ও ল্যাপ্লাস তা আরও প্রসারিত করেন।
অন্যদিকে, ল্যামার্ক ছিলেন জৈবিক বিবর্তনবাদের প্রবক্তা, যিনি প্রাণীর শারীরিক পরিবর্তনের মাধ্যমে বিবর্তনের ব্যাখ্যা দেন।

0
Updated: 5 hours ago