পেশাগত দুর্নীতি দূরীকরণে দার্শনিক দৃষ্টিকোন থেকে কোন গুণের বিকাশ জরুরী?
A
দক্ষতা
B
উদ্ভাবনী ক্ষমতা
C
সততা ও জবাবদিহিতা
D
সময়নুবর্তিতা
উত্তরের বিবরণ
সততা ও জবাবদিহিতা পেশাগত নৈতিকতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কোনো প্রতিষ্ঠান বা কর্মক্ষেত্রে দুর্নীতি রোধ করতে হলে শুধু আইনগত পদক্ষেপ নয়, ব্যক্তিগত নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধের বিকাশও প্রয়োজন।
-
সততা কর্মীকে সঠিক পথে পরিচালিত করে এবং অন্যায় সুবিধা বা অনৈতিক লাভের আকাঙ্ক্ষা থেকে বিরত রাখে।
-
জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে যে, প্রত্যেক ব্যক্তি তার কাজ ও সিদ্ধান্তের জন্য দায় স্বীকার করবে এবং এর ফলাফলের জন্য উত্তরদায়ী থাকবে।
-
এই দুই গুণের চর্চা কর্মক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, আস্থা ও ন্যায়বোধ প্রতিষ্ঠা করে, যা দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
অতএব, বলা যায় যে, সততা ও জবাবদিহিতার নিয়মিত চর্চার মাধ্যমেই পেশাগত দুর্নীতি দূর করা সম্ভব, এবং এর মাধ্যমে একটি ন্যায়নিষ্ঠ ও সুশাসিত সমাজ গঠন করা যায়।

0
Updated: 23 hours ago
কোনটি আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান নয়?
Created: 23 hours ago
A
যুক্তিবিদ্যা
B
নীতিবিদ্যা
C
মনোবিজ্ঞান
D
নন্দন তত্ত্ব
যুক্তিবিদ্যা, নীতিবিদ্যা ও নন্দনতত্ত্ব— এই তিনটি বিদ্যা মানবচেতনা, চিন্তা ও মূল্যবোধ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। এদের লক্ষ্য হলো কীভাবে মানুষ ভাবনা, নীতি ও সৌন্দর্যের আদর্শ অনুধাবন ও প্রতিষ্ঠা করতে পারে, তা নির্ধারণ করা। এই কারণেই এগুলোকে আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান (Normative Sciences) বলা হয়।
-
যুক্তিবিদ্যা নির্ধারণ করে সঠিক চিন্তা বা যুক্তির আদর্শ।
-
নীতিবিদ্যা নির্দেশ করে নৈতিক আচরণ ও সৎ জীবনের আদর্শ।
-
নন্দনতত্ত্ব নির্ধারণ করে সৌন্দর্যের উপলব্ধি ও রুচির আদর্শ।
অন্যদিকে, মনোবিজ্ঞান মানুষের মানসিক প্রক্রিয়া, আচরণ ও অভিজ্ঞতাকে পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও পরীক্ষার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করে। এটি কোনো আদর্শ নির্ধারণ করে না; বরং বাস্তব ঘটনার ভিত্তিতে মানসিক প্রক্রিয়ার কারণ ও ফল বিশ্লেষণ করে। এজন্য একে বলা হয় বস্তুনিষ্ঠ বিজ্ঞান (Positive or Empirical Science)।
অতএব, প্রথম তিনটি বিজ্ঞান মানবচিন্তার আদর্শ নির্ধারণে নিয়োজিত, আর মনোবিজ্ঞান বাস্তব পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতানির্ভর বিশ্লেষণে ভিত্তিক।

0
Updated: 23 hours ago
মূল্য কত প্রকার?
Created: 1 day ago
A
দুই
B
তিন
C
চার
D
পাঁচ
মূল্যতত্ত্বে সমস্ত প্রকার মূল্যে সাধারণভাবে দুটি ভাগে বিভক্ত করা যায়— স্বতঃমূল্য এবং পরতঃমূল্য (Intrinsic and Extrinsic Values)। জাগতিক জীবনে আমরা যে বস্তুগুলোর মূল্য নির্ধারণ করি, তা প্রায়ই এই দুই ধরনের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকে।
পরতঃমূল্য (Extrinsic Value):
যেসব বস্তুর নিজস্ব কোনো মূল্য নেই, কিন্তু অন্য কোনো মূল্যবান জিনিস অর্জনে সহায়ক হওয়ায় আমরা সেগুলোকে মূল্যবান মনে করি, সেগুলোকে পরতঃমূল্য বলা হয়।
-
অর্থ বা টাকা-পয়সা এর একটি উদাহরণ; এর নিজস্ব কোনো মূল্য নেই, কিন্তু এটি জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্জনে সহায়তা করে বলে আমরা এর মূল্য স্বীকার করি।
-
একইভাবে ব্যায়াম বা শরীরচর্চা-ও পরতঃমূল্যবান, কারণ এটি আমাদের দৈহিক সুস্থতা ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
-
তদ্রূপ সামাজিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্ব অন্য সুফল অর্জনের সহায়ক হওয়ায় এগুলোও পরতঃমূল্যের অন্তর্ভুক্ত।
স্বতঃমূল্য (Intrinsic Value):
যেসব কিছুর মূল্য অন্য কিছুর ওপর নির্ভরশীল নয়, বরং নিজস্ব গুণেই মূল্যবান, তাদের স্বতঃমূল্য বলা হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ, বিদ্যা অর্থের মতো নয়; এর মূল্য নিজস্ব জ্ঞানগত ও মানসিক উৎকর্ষে নিহিত।
-
ভাববাদী চিন্তাধারায় সত্য, মঙ্গল (শিব) ও সুন্দর-কে স্বতঃমূল্যবান হিসেবে গণ্য করা হয়।
-
এই তিনটি আদর্শ মানব জীবনের পরম লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত, কারণ তারা নিজ গুণেই শ্রদ্ধা ও সাধনার যোগ্য।
অতএব, স্বতঃমূল্য মানুষের আত্মিক ও নৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত, আর পরতঃমূল্য বস্তুগত বা উপযোগমূলক জীবনের প্রয়োজনে নির্ভরশীল।

0
Updated: 1 day ago
একজন ব্যক্তি যখন মিথ্যা কথা বলে, তখন সে অন্য মানুষের প্রতি কোন মৌলিক কর্তব্য লঙ্ঘন করে?
Created: 23 hours ago
A
সহানুভুতি
B
স্বাধীনতা
C
নিরাপত্তা
D
সততা
সত্য বলা হলো সততার অন্যতম প্রধান লক্ষণ। সততা এমন একটি নৈতিক গুণ, যা মানুষের চিন্তা, বাক্য ও কর্মের মধ্যে সামঞ্জস্য ও সত্যনিষ্ঠা বজায় রাখে। যখন একজন ব্যক্তি সত্য কথা বলে, তখন সে অন্যের প্রতি আস্থা ও সম্মানের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
কিন্তু মিথ্যা বলা এই নৈতিক ভিত্তিকে ভেঙে দেয়। কারণ মিথ্যা কথার মাধ্যমে ব্যক্তি শুধু অন্যকে প্রতারিতই করে না, বরং সততার মৌলিক কর্তব্যও লঙ্ঘন করে। এতে পারস্পরিক বিশ্বাস নষ্ট হয় এবং সামাজিক সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়ে।
অতএব, সত্য ভাষণই সততার প্রকাশ, আর মিথ্যা বলা মানে সেই নৈতিক দায়িত্ব ও সততার মূল চর্চা থেকে বিচ্যুত হওয়া।

0
Updated: 23 hours ago