Solow Growth Model অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য কিসের উপর জোর দেয়?
A
শ্রমবৃদ্ধি
B
মূলধন বৃদ্ধি
C
প্রযুক্তিগত অগ্রগতি
D
সরকারের কর্মকান্ড
উত্তরের বিবরণ
Solow Growth Model (রবার্ট সোলো, ১৯৫৬) হলো একটি ক্লাসিক্যাল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মডেল যা একটি দেশের দীর্ঘমেয়াদী আয় ও উৎপাদন বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করে। এই মডেল অনুযায়ী, কোনো অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নির্ভর করে মূলধন, শ্রম এবং প্রযুক্তি — এই তিনটি উপাদানের উপর।
-
Capital Accumulation (মূলধন সঞ্চয় ও বিনিয়োগ):
বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ে এবং আয় বৃদ্ধি পায়। তবে শুধুমাত্র মূলধনের পরিমাণ বাড়ালেই স্থায়ী প্রবৃদ্ধি সম্ভব নয়; কারণ একটি সময়ে এটি কম ফলন (diminishing returns) অবস্থায় পৌঁছে যায়। -
Labor Growth (শ্রম বৃদ্ধি):
শ্রমশক্তির বৃদ্ধি সামগ্রিক উৎপাদন ও আয় বাড়াতে সাহায্য করে, কিন্তু প্রতি শ্রমিকের আয় সীমিত হারে বৃদ্ধি পায়। -
Technological Progress (প্রযুক্তি উন্নয়ন):
এটি দীর্ঘমেয়াদে আয়ের মূল চালিকা শক্তি। প্রযুক্তির উন্নয়ন না হলে অর্থনীতি একটি নির্দিষ্ট অবস্থায় পৌঁছে যায়, যাকে বলা হয় steady state—যেখানে মূলধন ও উৎপাদন আর বাড়ে না। -
বৈশিষ্ট্য:
-
মডেলটি দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (long-run growth) এবং প্রতি মাথাপিছু আয়ের সমতা (per capita income convergence) ব্যাখ্যা করে।
-
শুধুমাত্র মূলধন বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধি সম্ভব নয়; প্রযুক্তি উন্নয়ন অপরিহার্য।
-
তাই যখন বিকল্পগুলোর মধ্যে “মূলধন বৃদ্ধি” উল্লেখ থাকে, তাত্ত্বিকভাবে সঠিক উত্তর হবে “প্রযুক্তির উন্নয়ন”, কারণ এটি স্থায়ী প্রবৃদ্ধির প্রধান ভিত্তি।
-

0
Updated: 23 hours ago
Effective demand বলতে বুঝানো হয়-
Created: 1 day ago
A
AD=AS
B
Md=Ms
C
Saving =Investment
D
Investment > Saving
Effective Demand হলো এমন একটি চাহিদা, যা শুধু পণ্যের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে না, বরং সেই চাহিদা বাস্তব ক্রয়ক্ষমতা দ্বারা সমর্থিত। অর্থাৎ, এটি বাজারে ক্রয়যোগ্য বা বাস্তবায়নযোগ্য মোট চাহিদাকে নির্দেশ করে।
১. Keynesian অর্থনীতি অনুসারে, অর্থনৈতিক ভারসাম্য তখনই প্রতিষ্ঠিত হয় যখন সামগ্রিক চাহিদা (Aggregate Demand) এবং সামগ্রিক যোগান (Aggregate Supply) একে অপরের সমান হয়।
২. যখন Aggregate Demand, Aggregate Supply-এর সমান হয়, তখন উৎপাদকরা যত পণ্য সরবরাহ করেন, ভোক্তারা ততই ক্রয় করেন — অর্থাৎ বাজারে চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
৩. Effective Demand সেই ভারসাম্য বিন্দুকেই নির্দেশ করে, যেখানে অর্থনীতির উৎপাদন, আয় ও কর্মসংস্থানের স্তর নির্ধারিত হয়।
অতএব, সংক্ষেপে বলা যায় — Effective Demand হলো বাস্তব ক্রয়ক্ষমতা সম্পন্ন মোট চাহিদা, যা Aggregate Demand ও Aggregate Supply-এর সমতা দ্বারা অর্থনীতির ভারসাম্য নির্ধারণ করে।

0
Updated: 1 day ago
পরিবারের ন্যূনতম চাহিদা মেটানো উৎপাদনকারী ফার্ম-
Created: 1 day ago
A
Commercial farm
B
Ideal farm
C
Subsistence farm
D
Specialized farm
পরিবারের ন্যূনতম চাহিদা মেটানোর উদ্দেশ্যে উৎপাদন করা ফার্মকে Subsistence Farm (স্বাবলম্বী কৃষি ফার্ম) বলা হয়।
-
Subsistence Farm: প্রধান লক্ষ্য হলো পরিবারের খাদ্য ও মৌলিক চাহিদা পূরণ করা।
-
এখানে অতিরিক্ত উৎপাদন সাধারণত বাজারে বিক্রি হয় না বা খুব সীমিত মাত্রায় বিক্রি হয়।
-
Specialized Farm: নির্দিষ্ট পণ্য উৎপাদন করে, বিশেষ উদ্দেশ্য পূরণের জন্য।
-
Commercial Farm: লাভের জন্য বড় পরিসরে উৎপাদন করা হয়।
-
Ideal Farm: তত্ত্বগত ধারণা, যা সাধারণ বাস্তব ফার্মের প্রতিফলন নয়।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কত সাল থেকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির যাত্রা শুরু করে?
Created: 1 day ago
A
২০০৫
B
২০০৯
C
২০১১
D
২০১৭
Bangladesh-এর NFIS (National Financial Inclusion Strategy) গড়ে উঠেছে দেশের দীর্ঘদিনের আর্থিক সম্প্রসারণের ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে।
-
মাইক্রোফাইন্যান্স: বাংলাদেশ আধুনিক মাইক্রোক্রেডিটের জন্মস্থান, যা ১৯৭০-৮০ দশকে শুরু হয়েছিল। এটি প্রমাণ করেছে যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে আর্থিক সেবার চাহিদা রয়েছে এবং অসেবা প্রাপ্ত জনগোষ্ঠীকে পৌঁছানোর পথ স্থাপন করেছে।
-
সেন্ট্রাল ব্যাংকের উদ্যোগ: ২০১০-এর দশকের শুরু থেকে Bangladesh Bank বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা পরে NFIS-এর মূল উপাদান হয়ে ওঠে:
-
মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (MFS): ২০১১ সালে চালু হয়, যা গ্রামীণ এলাকার কোটি কোটি মানুষকে পেমেন্ট ও স্থানান্তর সেবায় সংযুক্ত করে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে।
-
এজেন্ট ব্যাংকিং: ২০১৩ সালে বিধি প্রণয়ন করা হয় যাতে ব্যাংকগুলো এজেন্ট ব্যবহার করে দূরবর্তী এলাকায় সেবা পৌঁছে দিতে পারে, যেখানে শাখা খোলা সম্ভব নয়।
-
-
বর্তমানে NFIS হলো একটি মাস্টার প্ল্যান, যা সমস্ত আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রক ও সরকারি সংস্থার কার্যক্রম সমন্বয় করে। এর মূল লক্ষ্য হলো ২০২৬ সালের মধ্যে ১০০% আর্থিক অন্তর্ভুক্তি অর্জন এবং ক্যাশ-লাইট সমাজে রূপান্তর।

0
Updated: 1 day ago