স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার কোন তারিখে শপথ গ্রহন করে?
A
২৭ মার্চ ১৯৭১
B
১০ এপ্রিল ১৯৭১
C
১৭ এপ্রিল ১৯৭১
D
২৭ এপ্রিল ১৯৭১
উত্তরের বিবরণ
স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলায় (বর্তমানে মুজিবনগর) অনুষ্ঠিত হয়, যা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীন প্রশাসনের সূচনা। এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানটি একটি আমবাগানে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে।
• শপথ বাক্য পাঠ করান অধ্যাপক এম. ইউসুফ আলী, যিনি অনুষ্ঠানের ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক দিক পরিচালনা করেন।
• অনুষ্ঠানে সৈয়দ নজরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে থেকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন।
• এই অনুষ্ঠানেই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত ও স্বীকৃত হয়, যা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামো নির্ধারণ করে।
• মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত এই সরকারই পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো গঠনের ভিত্তি স্থাপন করে।
• অনুষ্ঠানে দেশি ও বিদেশি ১২৭ জন সাংবাদিকসহ অসংখ্য গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবি প্রতিষ্ঠায় বড় ভূমিকা রাখে।
• এই শপথ অনুষ্ঠান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মাইলফলক, কারণ এর মাধ্যমেই একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও বৈধ সরকার গঠিত হয়, যা মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত রূপ দেয় এবং বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের অস্তিত্বকে স্বীকৃতি এনে দেয়।

0
Updated: 23 hours ago
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কয়টি বিকল্প রাখা হয়েছিল?
Created: 1 day ago
A
৩টি
B
৪টি
C
৫টি
D
৬টি
বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা সংবিধানের বিধান অনুযায়ী ধাপে ধাপে নির্ধারিত বিকল্পের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য এই সরকার দায়িত্ব পালন করে, যাতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়।
-
প্রথমে সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগের চেষ্টা করা হয়।
-
যদি তিনি অনুপলব্ধ বা অনিচ্ছুক থাকেন, তাহলে দ্বিতীয় সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে বিবেচনা করা হয়।
-
যদি এই দুইজনের কেউই দায়িত্ব নিতে না পারেন, তখন আপিল বিভাগের সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ থাকে।
-
প্রয়োজনে আপিল বিভাগের দ্বিতীয় সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে নিয়োগের বিষয়টি বিবেচিত হয়।
-
যদি উল্লিখিত চারজনের কেউই দায়িত্ব গ্রহণে অসমর্থ বা অনিচ্ছুক হন, তবে রাষ্ট্রপতি এমন যোগ্য ও নিরপেক্ষ কোনো বাংলাদেশি নাগরিককে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিতে পারেন।
-
সর্বশেষ বিকল্প হিসেবে, উপরোক্ত কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব না হলে রাষ্ট্রপতি নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
-
প্রধান উপদেষ্টার অবস্থান প্রধানমন্ত্রীর সমমর্যাদাসম্পন্ন এবং তিনি সরকারের নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করেন উপদেষ্টামণ্ডলীর সহায়তায়।
-
এই প্রক্রিয়ার লক্ষ্য হলো রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখা ও নির্বাচনকালীন প্রশাসনকে জনগণের আস্থাভাজন রাখা।

0
Updated: 1 day ago
কোন সরকার আইনসভার নিকট জবাবদিহি করতে বাধ্য নয়?
Created: 8 hours ago
A
সংসদীয় সরকার
B
প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকার
C
রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার
D
একনায়কতান্ত্রিক সরকার
সংসদীয় সরকার এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে সরকার সংসদের প্রতি সরাসরি জবাবদিহি করে এবং সংসদের আস্থা থাকা অপরিহার্য। সরকারের সকল কার্যক্রম সংসদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়, ফলে এটি জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে। এই ব্যবস্থায় সংসদ সরকারের ওপর আস্থা হারালে সরকারকে পদত্যাগ করতে হয়।
-
সংসদীয় সরকারে কার্যনির্বাহী বিভাগের বৈধতা সংসদের আস্থার ওপর নির্ভরশীল; তাই জবাবদিহিতা এখানে একটি মৌলিক শর্ত।
-
প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকারে, প্রধানমন্ত্রী সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থনে নির্বাচিত হন এবং সংসদের কাছে তার নীতি ও সিদ্ধান্তের জন্য জবাবদিহি করতে বাধ্য।
-
রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারে, রাষ্ট্রপতি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন এবং নির্বাহী ক্ষমতা স্বাধীনভাবে প্রয়োগ করেন; সাধারণত সংসদের কাছে সরাসরি জবাবদিহি করতে হয় না।
-
একনায়কতান্ত্রিক সরকারে, ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত থাকে এবং সরকার সংসদ বা জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহি প্রদান করে না, ফলে গণতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য অনুপস্থিত থাকে।

0
Updated: 8 hours ago