বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির বৈশিষ্ঠ্য হচ্ছে- i) জনগনের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সার্বভৌমত্ত রক্ষা; ii) বিশ্ব শান্তি রক্ষায় অংশগ্রহন করা; iii) সামরিক জোটে অংশগ্রহণ করা;


A

i


B

i ও ii 


C

ii ও iii


D

i, ii ও iii


উত্তরের বিবরণ

img

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূল লক্ষ্য হলো দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শান্তি, সহযোগিতা ও উন্নয়নের পরিবেশ সৃষ্টি করা। সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদে এই নীতির মৌলিক দিকনির্দেশনা নির্ধারিত আছে, যা “সকল জাতির সাথে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বিদ্বেষ নয়” এই মূলমন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত।

  • জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা: বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হলো দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা অক্ষুণ্ণ রাখা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচালনায় বাংলাদেশের নিজস্ব অবস্থান ও সিদ্ধান্তের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়।

  • জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন: বৈদেশিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন সহযোগিতা ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন করাই এই নীতির অন্যতম উদ্দেশ্য।

  • সাম্প্রদায়িক ও আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষা: বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে।

  • সাংবাদিক ও কূটনৈতিক নীতিতে নিরপেক্ষতা: বৈদেশিক সম্পর্ক পরিচালনায় বাংলাদেশ নিরপেক্ষ ও ভারসাম্যপূর্ণ কূটনৈতিক অবস্থান বজায় রাখে, যাতে কোনো রাষ্ট্র বা জোটের প্রতি পক্ষপাতিত্ব না ঘটে।

  • সামরিক জোটে অংশগ্রহণ না করা: বাংলাদেশ সাধারণত কোনো সামরিক বা শক্তিশালী রাজনৈতিক জোটে যোগ দেয় না, কারণ এটি বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতির সাথে সাংঘর্ষিক।

  • আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি: বাংলাদেশ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক), বিমসটেক ও ওআইসি’র মতো সংগঠনের মাধ্যমে আঞ্চলিক ঐক্য ও সহযোগিতা জোরদার করে।

  • বিশ্ব শান্তি ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতি: বাংলাদেশ সর্বদা মানবাধিকার, গণতন্ত্র, আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নীতিতে বিশ্বাসী।

Unfavorite

0

Updated: 1 day ago

Related MCQ

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD