আমলাতন্ত্রের প্রধান কাজ কোনটি?
A
বিধি প্রণয়ন করা
B
রেগুলেশন প্রণয়ন করা
C
প্রবিধান প্রণয়ন করা
D
সরকার কর্তৃক প্রণীত আইন বাস্তবায়ন করা।
উত্তরের বিবরণ
আমলাতন্ত্র রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার মূল দায়িত্ব হলো সরকারের গৃহীত নীতি ও আইনসমূহ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা। এটি মূলত একটি সংগঠিত ও নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা, যেখানে কর্মকর্তারা নির্দিষ্ট নিয়ম, বিধি ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রশাসনিক কাজ সম্পাদন করেন।
• আমলাতন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারের নীতি বাস্তবায়ন, প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা এবং নাগরিকদের সেবা নিশ্চিত করা।
• আইন প্রণয়নের দায়িত্ব সংসদ বা আইন প্রণেতাদের—আমলাতন্ত্রের নয়।
• আমলাতন্ত্র প্রবিধান বা প্রশাসনিক নির্দেশনা প্রণয়ন করতে পারে, কিন্তু তা তাদের প্রধান দায়িত্ব নয়; এটি কেবল প্রশাসনিক কাজকে সহজ করার সহায়ক প্রক্রিয়া।
• নীতি নির্ধারণ ও আইন প্রণয়ন মূলত রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাজ; আমলাতন্ত্র কেবল সেই নীতি বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণ করে।
• আমলাতন্ত্রের প্রধান দায়িত্ব হলো সরকারের তৈরি আইন ও নীতিকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও নিয়মিতভাবে বাস্তবায়ন করা।
• কার্যকর আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বজায় থাকে এবং সরকারের কার্যক্রম জনগণের কাছে পৌঁছায়।
• এটি প্রশাসনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে এবং রাজনৈতিক পরিবর্তন হলেও রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।

0
Updated: 1 day ago
জনমত বলতে বোঝায়-
Created: 7 hours ago
A
জনগনের মত
B
চাপসৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর মত
C
জনগনের কল্যাণকামী মত
D
সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মত
জনমত হলো এমন এক সামাজিক ও রাজনৈতিক ধারণা, যা মানুষের সম্মিলিত চিন্তা, অনুভূতি ও মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটায়। এটি কোনো একটি জাতীয়, সামাজিক বা রাজনৈতিক প্রশ্নে সাধারণ মানুষের সংখ্যাগরিষ্ঠ বা প্রভাবশালী মতামতকে বোঝায়, যা সমাজ ও রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: জনমত একটি প্রাচীন ধারণা; গ্রিক ও রোমান যুগের আইন ব্যবস্থায় এবং মধ্যযুগেও জনমতের প্রভাব বিদ্যমান ছিল।
-
আক্ষরিক অর্থ: জনগণের কল্যাণ সাধনের উদ্দেশ্যে প্রকাশিত জনগণের মতামতই জনমত হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
সাধারণ অর্থ: এটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অভিমত বা মতপ্রকাশ, যা সমাজে একটি নির্দিষ্ট দিক নির্দেশ করে।
-
রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ: পৌরনীতি বা রাজনৈতিক চিন্তায় শুধু সেই মতামতকেই জনমত বলা হয়, যা প্রভাবশালী, যুক্তিসঙ্গত, সুস্পষ্ট এবং সমাজকল্যাণমূলক।
-
গঠনের প্রক্রিয়া: যখন কোনো জাতীয় ইস্যুতে বিভিন্ন শ্রেণি ও স্বার্থগোষ্ঠী ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করে, তখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কোনো একটি মত অন্যগুলোর তুলনায় অধিক প্রভাবশালী হয়ে ওঠে, সেটিই জনমত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
প্রধান বৈশিষ্ট্য: জনমত যুক্তিনির্ভর, স্পষ্ট, কল্যাণধর্মী ও বলিষ্ঠ; এটি সাধারণত সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকে।

0
Updated: 7 hours ago
প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র শুরু হয় কোথায়?
Created: 7 hours ago
A
রোম
B
এথেন্স
C
লন্ডন
D
প্যারিস
প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের সূচনা হয়েছিল প্রাচীন এথেন্সে, যেখানে নাগরিকরা নিজেরাই আইন প্রণয়ন ও রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সরাসরি অংশগ্রহণ করত। এই পদ্ধতিতে কোনো প্রতিনিধি ব্যবস্থার প্রয়োজন ছিল না; জনগণ সরাসরি রাষ্ট্রের শাসন ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকত। এটি ছিল নাগরিক অংশগ্রহণের একটি বাস্তব রূপ, যা আজকের প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
-
এথেন্সে নাগরিকরা নির্দিষ্ট সময় অন্তর এক্লেসিয়া (Ecclecsia) নামে পরিচিত সভায় মিলিত হয়ে আইন প্রণয়ন, কর্মকর্তা নিয়োগ, রাজস্ব নির্ধারণ ও রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে অংশ নিত।
-
রোমে অনুরূপ সভাকে বলা হতো “মিলিশিয়া” (Militia), যেখানে নাগরিকদের সরাসরি উপস্থিতি ও সিদ্ধান্তই ছিল শাসনের ভিত্তি।
-
এই ব্যবস্থায় প্রতিটি নাগরিক রাষ্ট্রের কার্যক্রমে সরাসরি অংশগ্রহণের অধিকার ভোগ করত, ফলে এটি ছিল জনগণের প্রত্যক্ষ শাসনব্যবস্থা।
-
প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রে জনগণই ছিল সর্বোচ্চ ক্ষমতার উৎস, এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাদের মতামতই ছিল চূড়ান্ত।
-
এ কারণে এই ব্যবস্থাকে অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র (Participatory Democracy) বলেও পরিচিত, কারণ এতে নাগরিকদের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত হয়।
-
আধুনিক যুগেও এর কিছু নিদর্শন দেখা যায়, যেমন সুইজারল্যান্ডের ছোট ছোট ক্যান্টনে (Canton) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু স্থানীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থায়, যেখানে গণভোট ও জনপরামর্শের মাধ্যমে নাগরিকেরা সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নেন।
-
প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র ইতিহাসে এমন এক শাসনব্যবস্থা, যা দেখিয়েছে জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণই গণতন্ত্রের প্রকৃত ভিত্তি।

0
Updated: 7 hours ago
'Division of Work' মূলত কীসের সাথে সম্পর্কিত?
Created: 23 hours ago
A
বিশেষীকরণ
B
সমন্নয়
C
বিকেন্দ্রীকরণ
D
নেতৃত্ব
Division of Work বা শ্রম বিভাজন হলো কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের কাজকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে বিভিন্ন ব্যক্তি বা দলের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করা। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিটি কর্মী নির্দিষ্ট একটি কাজে মনোনিবেশ করতে পারে, যা কাজের গতি ও মান উন্নত করে। শ্রম বিভাজনের মূল উদ্দেশ্য হলো বিশেষীকরণের মাধ্যমে দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা, যাতে প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ কার্যকারিতা অর্জন করতে পারে।
• বিশেষীকরণ (Specialization): শ্রম বিভাজনের মাধ্যমে কর্মীরা নির্দিষ্ট ধরনের কাজ বারবার সম্পাদন করে সেই ক্ষেত্রে পারদর্শী হয়ে ওঠে। এর ফলে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ভুল কমে এবং গতি বৃদ্ধি পায়।
• দক্ষতা ও উৎপাদন বৃদ্ধি: একক কাজের উপর দীর্ঘমেয়াদি অভিজ্ঞতা কর্মীর কার্যক্ষমতা বাড়ায়, যা প্রতিষ্ঠানকে কম সময়ে বেশি ফলাফল অর্জনে সহায়তা করে।
• সমন্বয়ের ভূমিকা: শ্রম বিভাজনের ফলে কাজের অংশগুলো আলাদা হলেও, সেগুলোকে সঠিকভাবে সমন্বয় করা প্রয়োজন যাতে সব কার্যক্রম একটি সাধারণ লক্ষ্য অর্জনের দিকে এগোয়। তবে সমন্বয় শ্রম বিভাজনের মূল উদ্দেশ্য নয়, বরং এর ফলাফল কার্যকর করতে একটি অপরিহার্য ধাপ।
• বিকেন্দ্রীকরণ: এটি মূলত ক্ষমতার বণ্টন-এর সাথে সম্পর্কিত, যেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা হয়। কিন্তু এটি শ্রম বিভাজনের সরাসরি লক্ষ্য নয়।
• নেতৃত্ব: নেতৃত্ব ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ হলেও শ্রম বিভাজনের মূল উদ্দেশ্য নয়। শ্রম বিভাজনের লক্ষ্য হচ্ছে কাজকে এমনভাবে ভাগ করা যাতে প্রত্যেকে নিজের দায়িত্বে দক্ষ হয়ে সমষ্টিগত উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে।
• সার্বিক উদ্দেশ্য: শ্রম বিভাজনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান একটি সুশৃঙ্খল ও কার্যকর কাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়, যেখানে দক্ষতা, উৎপাদন ও মান একইসাথে বৃদ্ধি পায়।

0
Updated: 23 hours ago