সুশাসনের প্রধান সমস্যা হলো-
A
সুশিক্ষার অভাব
B
সচেতনতার অভাব
C
কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা চর্চা
D
এককেন্দ্রিক সরকার
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন (Good Governance) বলতে বোঝায় এমন একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা যা ন্যায়পরায়ণ, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং জনগণের চাহিদানির্ভর নীতি ও সেবা বাস্তবায়ন করে। এর মূল লক্ষ্য হলো রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের কল্যাণ, অংশগ্রহণ এবং ন্যায্যতার নিশ্চয়তা প্রদান করা।
-
সুশাসনের জন্য কিছু মৌলিক শর্ত অপরিহার্য, যেমন—
-
ক্ষমতার বণ্টন ও ভারসাম্য (Separation and Balance of Power)
-
জনগণের অধিকার ও অংশগ্রহণ (Public Rights and Participation)
-
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা (Transparency and Accountability)
-
-
এসব উপাদান নিশ্চিত হলে প্রশাসন জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকে এবং নীতি বাস্তবায়ন কার্যকরভাবে সম্পন্ন হয়।
-
সুশাসনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ক্ষমতার অতিরিক্ত কেন্দ্রীভূত ব্যবহার। যখন ক্ষমতা কিছু ব্যক্তি বা একটি প্রতিষ্ঠানের হাতে অতিমাত্রায় কেন্দ্রীভূত হয়, তখন—
-
প্রশাসন জনকল্যাণ থেকে বিচ্যুত হয়,
-
জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নষ্ট হয়,
-
নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়া জনগণনির্ভর থাকে না,
-
এবং ফলস্বরূপ দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম বৃদ্ধি পায়।
-
-
এই অবস্থায় জনগণের অংশগ্রহণ সীমিত হয়ে যায় এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম জনগণের আস্থাহীনতায় ভোগে।
-
সুশিক্ষার অভাব একটি গৌণ সমস্যা হিসেবে প্রশাসনিক দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে, তবে এটি সুশাসনের প্রধান বাধা নয়।
-
একইভাবে সচেতনতার অভাব প্রশাসনিক দুর্নীতি বা অদক্ষতাকে প্রভাবিত করতে পারে, কিন্তু মূল কারণ হলো ক্ষমতার কেন্দ্রীভূত চর্চা।
-
কার্যকর সুশাসনের জন্য প্রয়োজন ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, নাগরিক অংশগ্রহণের সম্প্রসারণ এবং প্রশাসনিক কাঠামোতে দায়বদ্ধতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা।
-
সুশাসনের মাধ্যমে একটি রাষ্ট্রে আইনের শাসন, মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।

0
Updated: 1 day ago