জ্ঞানতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভাববাদের বিপরীত মতবাদ কোনটি?
A
জড়বাদ
B
বাস্তুবাদ
C
দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ
D
বাস্তববাদ
উত্তরের বিবরণ
জ্ঞানতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে, ভাববাদ (Idealism)-এর বিপরীত মতবাদ হলো বাস্তববাদ (Realism)। ভাববাদ যেখানে মনে করে জ্ঞানের উৎস ও ভিত্তি হলো মন বা চেতনা, সেখানে বাস্তববাদ মনে করে জ্ঞেয় বস্তুর অস্তিত্ব মনের ওপর নির্ভরশীল নয়।
বাস্তববাদের মতে, জগতের বস্তুসমূহের একটি মন-নিরপেক্ষ বাস্তব অস্তিত্ব রয়েছে— অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি তা অনুভব করুক বা না-করুক, বস্তুটি তবুও বিদ্যমান থাকে। এই মতবাদে সত্য ও জ্ঞান নির্ধারণে বস্তুনিষ্ঠ বাস্তবতাকেই মুখ্য ধরা হয়। তাই বাস্তববাদ ভাববাদের মতো মনকেন্দ্রিক নয়; বরং এটি বস্তুকেন্দ্রিক ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক এক দার্শনিক অবস্থান।

0
Updated: 1 day ago
বোধশক্তির আকারের বিষয়ে কথা বলেন-
Created: 23 hours ago
A
ডেভিড হিউম
B
রেনে ডেকার্ট
C
ইমানুয়েল কান্ট
D
হেগেল
ইমানুয়েল কান্ট, যিনি আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক, তাঁর জ্ঞানতাত্ত্বিক বিচারবাদে (Critical Philosophy) “বোধশক্তির আকার (Categories of Understanding)” বিষয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছেন।
কান্টের মতে, জ্ঞানের উৎস দুটি— ইন্দ্রিয়ানুভূতি (Sensation) এবং বুদ্ধি বা বোধশক্তি (Understanding)। ইন্দ্রিয়ানুভূতি আমাদেরকে বাইরের জগতের উপাদান সরবরাহ করে, আর বোধশক্তি সেই উপাদানগুলোকে ধারণা ও কাঠামোর মাধ্যমে সংগঠিত করে জ্ঞানে রূপান্তরিত করে।
এই বোধশক্তির কাজ পরিচালিত হয় কিছু অন্তর্নিহিত বা পূর্বনির্ধারিত ধারণাগত কাঠামো, যেগুলোকে কান্ট “বোধশক্তির আকার” বা “Categories” বলেছেন। এগুলোর মাধ্যমেই মানুষ অভিজ্ঞতাকে গঠন ও অর্থপূর্ণ করে তোলে।
কান্ট এই আকারগুলোকে বারোটি ভাগে বিন্যস্ত করেছেন, যেমন—
-
পরিমাণ (Quantity): একতা, বহুত্ব, সামগ্রিকতা
-
গুণ (Quality): বাস্তবতা, নৈর্ব্যক্তিকতা, সীমা
-
সম্পর্ক (Relation): অন্তর্নিহিততা ও নির্ভরতা, কারণ ও ফল, পারস্পরিকতা
-
রীতি (Modality): সম্ভাবনা, অস্তিত্ব, অপরিহার্যতা
অতএব, কান্টের মতে জ্ঞান কেবল অভিজ্ঞতার ফল নয়, বরং বোধশক্তির এই অন্তর্নিহিত আকারগুলোর মাধ্যমেই অভিজ্ঞতা জ্ঞানে রূপান্তরিত হয়। তাঁর এই বিশ্লেষণই আধুনিক দর্শনে “জ্ঞানের গঠনমূলক বিচারবাদ” নামে পরিচিত।

0
Updated: 23 hours ago
'দর্শন' হিসেবে সর্ব প্রথম দর্শনের কোন শাখাটি বিবেচিত হয়?
Created: 22 hours ago
A
জ্ঞানবিদ্যা
B
অধিবিদ্যা
C
মূল্যবিদ্যা
D
বিশ্বতত্ত্ব
থেলিস প্রাচীন গ্রীসের এক প্রখ্যাত দার্শনিক, যিনি দর্শনের জনক হিসেবে পরিচিত। তিনি প্রথম প্রশ্ন তোলেন— “এই জগতের আদি বা মূল সত্তা কী?” তাঁর মতে, সমগ্র জগতের মূল উপাদান বা আদিমতম সত্তা হলো “পানি”। তিনি বিশ্বাস করতেন, পৃথিবীর সবকিছুই পানির থেকেই সৃষ্টি হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত পানিতেই বিলীন হবে। এইভাবে জগতের মূল সত্তা নিয়ে অনুসন্ধানের মধ্য দিয়েই দর্শনের সূচনা হয়।
এই অনুসন্ধানই মূলত তত্ত্ববিদ্যার (Ontology) অন্তর্ভুক্ত।
তত্ত্ববিদ্যা (Ontology):
তত্ত্ববিদ্যাকে বলা হয় দর্শনের প্রাণস্পন্দন, কারণ এটি জগতের সর্বমৌলিক প্রশ্ন—“অস্তিত্ব কী?” বা “সত্তা কী?”—এর উত্তর অনুসন্ধান করে।
-
‘Ontology’ শব্দের অর্থ হলো সত্তাসম্পর্কীয় বিজ্ঞান (Science of Being)।
-
এটি মূলত অধিবিদ্যার (Metaphysics) একটি শাখা, যা জগতের প্রকৃত অস্তিত্ব, বাস্তবতার প্রকৃতি এবং সত্তার গঠন নিয়ে আলোচনা করে।
-
অ্যারিস্টটল একে বলেছেন “First Philosophy”, কারণ এটি সমস্ত জ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে বাস্তবতার মূল রূপ নিয়ে আলোচনা করে।
তত্ত্ববিদ্যায় আলোচনা করা হয়—
-
জগতের আদি বা মৌলিক সত্তা কী,
-
বস্তু ও আত্মার সম্পর্ক কেমন,
-
বাস্তবতা এক না বহু,
-
জগতের উৎপত্তি ও পরিবর্তনের প্রকৃতি কী।
অতএব, থেলিসের পানিকে জগতের মূল সত্তা ঘোষণা করা তত্ত্ববিদ্যারই সূচনা, যেখানে দর্শন প্রথমবারের মতো অস্তিত্ব ও বাস্তবতার মৌলিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করে।

0
Updated: 22 hours ago
আরোহের প্রাণ হলো-
Created: 6 hours ago
A
বৈজ্ঞানিক আরোহ
B
অবৈজ্ঞানিক আরোহ
C
অবরোহমূলক লম্ফ
D
আরোহমূলক লম্ফ
আরোহ যুক্তির প্রাণ হলো আরোহমূলক লম্ফ বা উল্লম্ফন। এটি হলো জানা থেকে অজানার দিকে অনুমানমূলক লাফ, যেখানে কিছু নির্দিষ্ট দৃষ্টান্ত বা বিশেষ সত্যের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে একটি সার্বিক সিদ্ধান্ত বা সার্বিক সত্যে উপনীত হওয়া হয়।

0
Updated: 6 hours ago