আধুনিক বস্তুবাদীরা মূলত বিজ্ঞান ও যুক্তিনির্ভর চিন্তাধারাকেই সত্য ও জ্ঞানের একমাত্র ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করে। তাদের মতে, পৃথিবীর সব কিছুই বস্তুমূলক ও প্রাকৃতিক নিয়মে পরিচালিত হয়; অতএব বাস্তবতার ব্যাখ্যা দিতে অতিপ্রাকৃত বা ইন্দ্রিয়াতীত কোনো সত্তার প্রয়োজন নেই। তারা বিশ্বাস করে, জগতের প্রতিটি ঘটনা কারণ-নির্ভর, এবং তা পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে বোঝা সম্ভব। ফলে আধুনিক বস্তুবাদী চিন্তা মানুষকে অন্ধবিশ্বাস বা ধর্মীয় নির্ভরতা থেকে মুক্ত করে যুক্তি ও বিজ্ঞানের আলোকে বাস্তবতা অনুধাবনের পথে পরিচালিত করে।
আধুনিক বস্তুবাদীরা সাধারণত কীসের উপর বেশি নির্ভর করে?
A
ব্যক্তিগত চিন্তা
B
অধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা
C
বিজ্ঞান ও যুক্তি
D
ধর্মীয় বিশ্বাস
উত্তরের বিবরণ

0
Updated: 1 day ago
Related MCQ
বোধশক্তির আকারের বিষয়ে কথা বলেন-
Created: 23 hours ago
A
ডেভিড হিউম
B
রেনে ডেকার্ট
C
ইমানুয়েল কান্ট
D
হেগেল
ইমানুয়েল কান্ট, যিনি আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক, তাঁর জ্ঞানতাত্ত্বিক বিচারবাদে (Critical Philosophy) “বোধশক্তির আকার (Categories of Understanding)” বিষয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছেন।
কান্টের মতে, জ্ঞানের উৎস দুটি— ইন্দ্রিয়ানুভূতি (Sensation) এবং বুদ্ধি বা বোধশক্তি (Understanding)। ইন্দ্রিয়ানুভূতি আমাদেরকে বাইরের জগতের উপাদান সরবরাহ করে, আর বোধশক্তি সেই উপাদানগুলোকে ধারণা ও কাঠামোর মাধ্যমে সংগঠিত করে জ্ঞানে রূপান্তরিত করে।
এই বোধশক্তির কাজ পরিচালিত হয় কিছু অন্তর্নিহিত বা পূর্বনির্ধারিত ধারণাগত কাঠামো, যেগুলোকে কান্ট “বোধশক্তির আকার” বা “Categories” বলেছেন। এগুলোর মাধ্যমেই মানুষ অভিজ্ঞতাকে গঠন ও অর্থপূর্ণ করে তোলে।
কান্ট এই আকারগুলোকে বারোটি ভাগে বিন্যস্ত করেছেন, যেমন—
-
পরিমাণ (Quantity): একতা, বহুত্ব, সামগ্রিকতা
-
গুণ (Quality): বাস্তবতা, নৈর্ব্যক্তিকতা, সীমা
-
সম্পর্ক (Relation): অন্তর্নিহিততা ও নির্ভরতা, কারণ ও ফল, পারস্পরিকতা
-
রীতি (Modality): সম্ভাবনা, অস্তিত্ব, অপরিহার্যতা
অতএব, কান্টের মতে জ্ঞান কেবল অভিজ্ঞতার ফল নয়, বরং বোধশক্তির এই অন্তর্নিহিত আকারগুলোর মাধ্যমেই অভিজ্ঞতা জ্ঞানে রূপান্তরিত হয়। তাঁর এই বিশ্লেষণই আধুনিক দর্শনে “জ্ঞানের গঠনমূলক বিচারবাদ” নামে পরিচিত।

0
Updated: 23 hours ago
নিশ্চল জড়বাদের প্রবর্তক কে?
Created: 6 hours ago
A
জন ডাল্টন
B
থেলিস
C
নিউটন
D
লর্ড কেলভিন
নিশ্চল জড়বাদ (Static Theory of Matter) উনিশ শতকের প্রথম ভাগে প্রখ্যাত রসায়নবিদ জন ডাল্টন (১৭৬৬–১৮৪৪) প্রবর্তন করেন। তিনি প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক ডেমোক্রিটাসের পরমাণুবাদ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁর এই তত্ত্ব উপস্থাপন করেন।
ডাল্টনের মতে, যেকোনো বস্তুকে ক্রমাগত বিভক্ত করলে তা একসময় কিছু সূক্ষ্ম কণিকায় পরিণত হয়, যেগুলোকে বলা হয় পরমাণু (Atom)। এই পরমাণুগুলো—
-
খালি চোখে দেখা যায় না,
-
অভেদ্য ও অবিনশ্বর,
-
এবং স্বভাবে নিশ্চল বা গতিহীন।
তবে ডাল্টন মনে করেন, বাইরের শক্তি প্রয়োগ করলে এই স্থির পরমাণুগুলো সক্রিয় ও সচল হয়ে ওঠে এবং বিভিন্ন বস্তুর গঠন ও রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ নেয়।
অতএব, ডাল্টনের এই তত্ত্বে বস্তুজগতের ভিত্তি হিসেবে পরমাণুকে স্থির কিন্তু শক্তিপ্রভাবনীয় সত্তা হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যা পরবর্তীতে আধুনিক পরমাণুবাদের ভিত্তি স্থাপন করে।

0
Updated: 6 hours ago
অন্তর্নিহিত মূল্য হলো-
Created: 5 hours ago
A
যা বহ্যিক মূল্যে মূল্যবান
B
নিজ গুণে মূল্যবান
C
বাজারের মূল্যে মূল্যবান
D
প্রতিবেশির মূল্যে মূল্যবান
যার মূল্য অন্য কোনো কিছুর ওপর নির্ভর করে না এবং যা নিজ গুণেই মূল্যবান, তাকে বলা হয় স্বতঃমূল্য বা অন্তর্নিহিত মূল্য। এই ধরনের মূল্য নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের কারণেই শ্রদ্ধার যোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়।

0
Updated: 5 hours ago