বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে কতজন গভর্নর নিয়োগ করা হয়েছিল?


A

২৩ জন


B

 ৪৪ জন


C

৫০ জন


D

৬০ জন


উত্তরের বিবরণ

img

বাংলাদেশের প্রশাসনিক পুনর্গঠনের ইতিহাসে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল দেশকে নতুনভাবে সংগঠিত করা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা কার্যকরভাবে পরিচালনা করা।

• সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর পর বাংলাদেশকে ৬১টি জেলায় ভাগ করা হয়, যাতে প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং স্থানীয় পর্যায়ে শাসন সহজ হয়।
• প্রত্যেক জেলার প্রধান হিসেবে একজন করে গভর্নর নিয়োগ দেওয়া হয়, যিনি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে জেলা পরিচালনা করতেন।
১৯৭৫ সালের ১৬ জুলাই তারিখে এই ৬১ জন গভর্নরকে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
• এই গভর্নরদের মধ্যে ৩৩ জন ছিলেন সংসদ সদস্য, যারা রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা রাখতেন।
১৩ জন ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী, যারা প্রশাসনিক অভিজ্ঞতায় পারদর্শী ছিলেন।
১ জন ছিলেন সামরিক কর্মকর্তা, যিনি নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখায় ভূমিকা রাখেন।
বাকি ১৪ জন ছিলেন সাধারণ নাগরিক, যারা বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক অবদান রাখার জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
• যদিও প্রশ্নে সঠিক উত্তর ৬১ জন, তবু অপশনে ৬১ না থাকায় ৬০ জনকে নিকটতম সংখ্যা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
• এই প্রশাসনিক কাঠামোর মূল উদ্দেশ্য ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তৃত্ব বজায় রেখে একটি বিকেন্দ্রীভূত শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, যা দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমকে দ্রুততর করতে পারবে।

Unfavorite

0

Updated: 1 day ago

Related MCQ

বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী কবে হয়?


Created: 1 day ago

A

১৯৭২ সালে


B

১৯৭৩ সালে


C

১৯৭৪ সালে


D

১৯৭৫ সালে


Unfavorite

0

Updated: 1 day ago

 অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে 'নির্দলীয় তত্তাবধায়ক সরকার' গঠিত হয় সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে?


Created: 23 hours ago

A

একাদশ সংশোধনী


B

দ্বাদশ সংশোধনী


C

ত্রয়োদশ সংশোধনী


D

চতুর্দশ সংশোধনী


Unfavorite

0

Updated: 23 hours ago

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD