A
সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার
B
সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সোমবার
C
সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় বুধবার
D
সেপ্টেম্বর মাসের চতুর্থ মঙ্গলবার
উত্তরের বিবরণ
জাতিসংঘ:
• অধিবেশনের সময়:
- জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের নিয়মিত বার্ষিক অধিবেশন বসে — সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার।
- সাধারণ পরিষদের প্রথম অধিবেশন ১৯৪৬ সালে লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার হলে বসেছিল।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের নিয়মিত বার্ষিক অধিবেশন বসে সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় মঙ্গলবার।
- ২০২২ সাল পর্যন্ত সেপ্টেম্বরের তৃতীয় মঙ্গলবার ছিলো; কিন্তু ২০২৩ সাল থেকে দ্বিতীয় মঙ্গলবার অধিবেশন বসে।
প্রশ্নটি তৎকালীন এবং রিয়েল জব পরীক্ষার বিধায় অপশন পরিবর্তন করা হয় নি।
• প্রতিনিধির সংখ্যা:
-অধিবেশনে প্রতিটি সদস্য সর্বোচ্চ পাঁচ জন প্রতিনিধি পাঠাতে পারে, তবে ভোটাধিকার প্রত্যেকেরই একটি করে।
- প্রতি সদস্যের একটি ভোটাধিকার থাকে।
• সভাপতির মেয়াদ:
- সাধারণ পরিষদের সভাপতির মেয়াদ ১ বছর।
--------------------
সাধারণ পরিষদ/United Nations General Assembly:
▪ সাধারণ পরিষদ জাতিসংঘের আলোচনা/বিতর্কের মূল কেন্দ্রবিন্দু।
- এটি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মূখপাত্র, নীতি নির্ধারণী অঙ্গ হিসাবে কাজ করে।
▪ জাতিসংঘের সদস্য ১৯৩টি দেশ এর সদস্য। জাতিসংঘের সকল সদস্যই মূলত সাধারণ পরিষদের সদস্য। জাতিসংঘ সনদের চতুর্থ অধ্যায় (৯ - ২২ নং অনুচ্ছেদ) এ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।
উৎস: জাতিসংঘ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট,এবং ব্রিটানিকা।

0
Updated: 2 months ago
কোন শাসকের সময় থেকে সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চল পরিচিত হয়ে ওঠে বাঙ্গালাহ নামে?
Created: 2 months ago
A
ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ
B
শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ্
C
জালালুদ্দিন মুহাম্মদ আকবর
D
ঈসা খান
সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের শাসনামল থেকেই সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী এলাকা ‘বাঙ্গালাহ’ নামে পরিচিত হতে শুরু করে।
🔹 সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ:
যদিও বাংলার স্বাধীন সুলতানি যুগের সূচনা করেছিলেন ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ, প্রকৃতপক্ষে এই যুগের সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেন সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ।
তিনিই প্রথম দুই বাংলাকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি সামগ্রিক ভূখণ্ড হিসেবে ‘বাঙ্গালাহ’ নামে পরিচিত করান।
🔹 বাঙালি জাতিসত্তার উন্মেষ:
তাঁর রাজত্বকালে বাংলার মানুষ একক জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং "বাঙালি" পরিচয়ে পরিচিত হতে থাকে।
এই কারণে ঐতিহাসিকগণ তাঁকে ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবর্তক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
🔹 শাসনকাল ও কৃতিত্ব:
ইলিয়াস শাহ দীর্ঘ ১৬ বছর বাংলার সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং ১৩৫৮ খ্রিস্টাব্দে পরলোকগমন করেন।
🔹 সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ:
১৩৫২ খ্রিস্টাব্দে তিনি সোনারগাঁও-এর শাসক ও ফখরুদ্দিন মুবারক শাহের পুত্র ইখতিয়ারউদ্দিন গাজী শাহকে পরাজিত করে পূর্ব বাংলায় তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
পরে লখনৌতি, সাতগাঁও ও সোনারগাঁও অধিকার করে পুরো বাংলার একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে ওঠেন — যা আগে কোনো মুসলিম শাসকের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
🔹 ঐতিহাসিক স্বীকৃতি:
ইতিহাসবিদ শামস-ই-সিরাজ আফীফ তাঁকে “শাহ-ই-বাঙ্গালাহ” ও “সুলতান-ই-বাঙ্গালাহ” উপাধিতে ভূষিত করেন — যা তাঁর অগ্রগামী নেতৃত্বের প্রমাণ বহন করে।
উৎস: ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি (২য় পত্র), এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে জার্মানি আত্মসমর্পণ করে-
Created: 2 months ago
A
১৯৪২ সালের নভেম্বর মাসে
B
১৯৪৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে
C
১৯৪৫ সালের মে মাসে
D
১৯৪৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে
• দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ:
- ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর জার্মানি কর্তৃক — পোল্যান্ড আক্রমণের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়।
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অক্ষশক্তির অন্তর্ভুক্ত ছিলো জার্মানি, জাপান ও ইতালি।
- মিত্রশক্তিতে ছিলো ব্রিটেন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস প্রভৃতি দেশ।
- ৮ ডিসেম্বর, ১৯৪১ সালে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সরাসরি যোগদান করে।
- ৭ মে ১৯৪৫ —জার্মানি মিত্রবাহিনীর নিকট নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে।
- জাপানের সম্রাট হিরোহিতো — ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট আত্মসমর্পণ ঘোষণা করেন।
- ২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫ জাপান — কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে।
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক অস্ত্রের দুটি ব্যবহার হয়েছিল।
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক সংঘাত; এর ফলে ৭০ থেকে ৮৫ মিলিয়ন প্রাণহানি ঘটে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক।
সূত্র: হিস্টোরি ও ব্রিটানিকা.কম।

0
Updated: 2 months ago
বাংলায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথা প্রবর্তন করা হয় কোন সালে?
Created: 2 months ago
A
১৭০০ সালে
B
১৭৭২ সালে
C
১৭৬৫ সালে
D
১৭৯৩ সালে
• চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত:
- ১৭৯৩ সালে লর্ড কর্নওয়ালিস চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন।
- ঐদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব পরিশোধের বিনিময়ে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার জমিদারদের নিজ নিজ জমির উপর চিরস্থায়ী মালিকানা প্রদান করে যে বন্দোবস্ত করা হয় তা-ই ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ নামে পরিচিত।
- চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে বাংলার কৃষকরা জমির উপর তাদের মালিকানা হারায়।
- ১৯৫০ সালের ‘পূর্ববঙ্গ জমিদার অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনে’র ফলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথার বিলুপ্তি হয়।
তাছাড়া,
- ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পর প্রকৃতপক্ষে ইংরেজরাই বাংলার সত্যিকার শাসকরূপে আত্মপ্রকাশ করে।
- ক্লাইব প্রবর্তিত দ্বৈতশাসন ১৭৬৫ থেকে ১৭৭২ সাল পযর্ন্ত বিস্তৃত ছিল।
- ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৭২ সালে দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা বাতিল করেন।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago