বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী কবে হয়?
A
১৯৭২ সালে
B
১৯৭৩ সালে
C
১৯৭৪ সালে
D
১৯৭৫ সালে
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ সংবিধানের প্রথম সংশোধনী (১৯৭৩) দেশের স্বাধীনতার পরবর্তী রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। এটি প্রবর্তিত হয় মূলত রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার লক্ষ্যে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়ন করা হলেও, দ্রুতই দেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
-
সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের আর্টিকেল ৭ অনুযায়ী আইনসভা ও নির্বাহী বিভাগের ওপর সংবিধানানুগ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করা হয়।
-
রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, বিপ্লবী কার্যকলাপ বা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে আইনি কাঠামো শক্তিশালী করা হয়।
-
রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিচ্ছিন্নতাবাদ দমনে সংবিধানে কিছু সীমাবদ্ধতা ও নিয়ন্ত্রণমূলক ধারা সংযোজন করা হয়।
-
রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং প্রশাসনের কার্যকর পরিচালনার জন্য সংবিধানের কিছু অংশ সংশোধন করা হয়।
-
সংশোধনীটি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও সংবিধান রক্ষার দায়িত্ব নিশ্চিত করার দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ ছিল।
-
এটি দেশের শাসনব্যবস্থায় আইনের শাসন ও রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার একটি প্রাথমিক প্রয়াস হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
১৯৭৩ সালের এই সংশোধনের মাধ্যমে সরকার রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে, যা সেই সময়ের রাজনৈতিক বাস্তবতায় জরুরি বলে মনে করা হয়েছিল।

0
Updated: 1 day ago
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে 'নির্দলীয় তত্তাবধায়ক সরকার' গঠিত হয় সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে?
Created: 23 hours ago
A
একাদশ সংশোধনী
B
দ্বাদশ সংশোধনী
C
ত্রয়োদশ সংশোধনী
D
চতুর্দশ সংশোধনী
একাদশ থেকে চতুর্দশ সংশোধনী পর্যন্ত বাংলাদেশের সংবিধানে যে পরিবর্তনগুলো আনা হয়, সেগুলো দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। এসব সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিচার বিভাগ ও নির্বাচনব্যবস্থার কার্যপ্রণালীতে উল্লেখযোগ্য সংস্কার সাধিত হয়।
-
একাদশ সংশোধনী (আগস্ট, ১৯৯১):
-
প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
-
এই সংশোধনীর মাধ্যমে তার সেই কার্যক্রম সংবিধানগতভাবে বৈধতা প্রদান করা হয়।
-
সংশোধনীর ফলে তাকে পুনরায় প্রধান বিচারপতির পদে ফেরার সাংবিধানিক সুযোগ দেওয়া হয়।
-
এই সংশোধনী বাংলাদেশের সংবিধানে সংবিধানিক ধারাবাহিকতা ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা নিশ্চিত করে।
-
-
দ্বাদশ সংশোধনী (সেপ্টেম্বর, ১৯৯১):
-
বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা রাষ্ট্রপতি শাসন থেকে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হয়।
-
উপরাষ্ট্রপতির পদ বিলুপ্ত করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপ্রধানের নির্বাহী ক্ষমতা অর্জন করেন।
-
রাষ্ট্রপতির পদটি মূলত প্রতীকী ও আনুষ্ঠানিক অবস্থানে পরিণত হয়।
-
এই সংশোধনী বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও সংসদীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে।
-
-
ত্রয়োদশ সংশোধনী (মার্চ, ১৯৯৬):
-
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে যুক্ত করা হয়, যাতে সাধারণ নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হতে পারে।
-
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে একজন প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের বিধান করা হয়, যিনি কার্যত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
এই ব্যবস্থা নির্বাচনের সময়কালীন রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা ও জনগণের আস্থা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
-
চতুর্দশ সংশোধনী (২০০৪):
-
এই সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যকাল সম্পর্কিত কিছু বিধানে পরিবর্তন আনা হয়।
-
সংসদে নারী সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়, যাতে নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ আরও জোরদার হয়।
-
জাতীয় সংসদ ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়।
-
এই সংশোধনীর মাধ্যমে নারী প্রতিনিধিত্ব ও রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়।
-

0
Updated: 23 hours ago
বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে কতজন গভর্নর নিয়োগ করা হয়েছিল?
Created: 1 day ago
A
২৩ জন
B
৪৪ জন
C
৫০ জন
D
৬০ জন
বাংলাদেশের প্রশাসনিক পুনর্গঠনের ইতিহাসে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল দেশকে নতুনভাবে সংগঠিত করা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা কার্যকরভাবে পরিচালনা করা।
• সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর পর বাংলাদেশকে ৬১টি জেলায় ভাগ করা হয়, যাতে প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং স্থানীয় পর্যায়ে শাসন সহজ হয়।
• প্রত্যেক জেলার প্রধান হিসেবে একজন করে গভর্নর নিয়োগ দেওয়া হয়, যিনি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে জেলা পরিচালনা করতেন।
• ১৯৭৫ সালের ১৬ জুলাই তারিখে এই ৬১ জন গভর্নরকে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
• এই গভর্নরদের মধ্যে ৩৩ জন ছিলেন সংসদ সদস্য, যারা রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা রাখতেন।
• ১৩ জন ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী, যারা প্রশাসনিক অভিজ্ঞতায় পারদর্শী ছিলেন।
• ১ জন ছিলেন সামরিক কর্মকর্তা, যিনি নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখায় ভূমিকা রাখেন।
• বাকি ১৪ জন ছিলেন সাধারণ নাগরিক, যারা বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক অবদান রাখার জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
• যদিও প্রশ্নে সঠিক উত্তর ৬১ জন, তবু অপশনে ৬১ না থাকায় ৬০ জনকে নিকটতম সংখ্যা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
• এই প্রশাসনিক কাঠামোর মূল উদ্দেশ্য ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তৃত্ব বজায় রেখে একটি বিকেন্দ্রীভূত শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, যা দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমকে দ্রুততর করতে পারবে।

0
Updated: 1 day ago