বাংলাদেশের গুমকমিশনের কাছে এখন পর্যন্ত কত সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে?
A
৬৫০
B
৮৫০
C
১৭০০
D
২০০০
উত্তরের বিবরণ
তীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গুমের ঘটনার একটি উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ৩৬টি জেলায় গুমের তথ্য পাওয়া গেছে এবং এ বিষয়ে কমিশনে বিপুল সংখ্যক অভিযোগ জমা পড়েছে। এই তথ্যগুলো সমাজে মানবাধিকার পরিস্থিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশ করে।
-
কমিশনে এ পর্যন্ত মোট ১,৮৩৭টি গুমের অভিযোগ জমা পড়েছে।
-
এর মধ্যে ১,৭৭২টি অভিযোগ বিশ্লেষণ সম্পন্ন করেছে কমিশন।
-
বিশ্লেষিত অভিযোগের মধ্যে ১,৪২৭ জন (৮১ শতাংশ) পরবর্তীতে জীবিত অবস্থায় ফিরে এসেছেন।
-
এখনো ৩৪৫ জন (১৯ শতাংশ) নিখোঁজ রয়েছেন।
-
বর্তমান পরিস্থিতি ও অভিযোগের হার বিবেচনা করলে, গুমের মোট সংখ্যা ২,০০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে ধরা যায়।
-
এ ধরনের তথ্য সমাজে আইনশৃঙ্খলা, মানবাধিকার রক্ষা ও রাষ্ট্রীয় জবাবদিহিতা সম্পর্কিত আলোচনাকে আরও তীব্র করে তুলেছে।
-
প্রতিবেদনের এসব পরিসংখ্যান ইঙ্গিত দেয় যে গুম একটি ক্রমবর্ধমান মানবাধিকার সংকট, যা সমাধানে স্বচ্ছ তদন্ত ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন।

0
Updated: 1 day ago
২০২৪ সালে বাংলাদেশ হতে কত লোক কর্মের উদ্দেশ্যে বিদেশে অভিবাসন করেছেন?
Created: 7 hours ago
A
৭ লাখ
B
৯ লাখ
C
১০ লাখ
D
১৩ লাখ
২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য প্রবাসগমনকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, যা দেশের শ্রমবাজার ও অভিবাসন প্রবণতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নির্দেশ করে। অভিবাসন প্ল্যাটফর্ম ‘আমি প্রবাসী’ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
-
বিদেশগামী কর্মীর সংখ্যা (২০২৪): মোট ১০ লাখ ৯ হাজার ১৪৬ জন কর্মী বিদেশে গেছেন।
-
পূর্ববর্তী বছরের তুলনা (২০২৩): ২০২৩ সালে বিদেশগামী কর্মীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৯ হাজার ৮১১ জন।
-
হ্রাসের হার: ২০২৪ সালে প্রবাসগমন ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে।
-
প্রবণতার তাৎপর্য: এই হ্রাস শ্রমবাজারের চাহিদা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা, এবং কর্মী প্রেরণ ব্যবস্থার নীতিগত পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।
-
সম্ভাব্য কারণ: বিদেশে চাকরির চাহিদা কমে যাওয়া, ভিসা নীতিতে কঠোরতা, এবং কিছু গন্তব্য দেশে অভিবাসন প্রক্রিয়ার ধীরগতি।
-
প্রভাব: কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত হওয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহেও প্রভাব পড়তে পারে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত।

0
Updated: 7 hours ago
বাংলাদেশের কোন বিভাগে বরেন্দ্রভূমি অবস্থিত?
Created: 7 hours ago
A
রাজশাহী
B
সিলেট
C
রংপুর
D
বরিশাল
বরেন্দ্রভূমি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রাচীন ও উচ্চভূমি অঞ্চল, যা মূলত রাজশাহী বিভাগের অন্তর্ভুক্ত। এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ভূখণ্ড হিসেবে পরিচিত এবং কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অপরিসীম। এ অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থান ও মাটির গঠন একে দেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে বিশেষভাবে প্রভাবশালী করে তুলেছে।
• অবস্থান ও বিস্তৃতি: বরেন্দ্রভূমি রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার একটি বৃহৎ অংশজুড়ে বিস্তৃত।
• ভূপ্রকৃতি ও মাটি: অঞ্চলটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তুলনামূলকভাবে উঁচু, এবং এর মাটি বেলে দোআঁশ প্রকৃতির, যা শস্য উৎপাদনের জন্য উপযোগী হলেও পানির অভাবে কৃষি কিছুটা চ্যালেঞ্জপূর্ণ।
• আবহাওয়া ও খরাপ্রবণতা: বরেন্দ্রভূমি বাংলাদেশের অন্যতম খরাপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত, কারণ এখানে বৃষ্টিপাত তুলনামূলকভাবে কম হয় এবং তাপমাত্রা বেশি থাকে।
• সেচ ব্যবস্থা: আধুনিক সেচব্যবস্থা ও ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে ধান, গম, ভুট্টা, ডালসহ বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
• অর্থনৈতিক ভূমিকা: কৃষি উৎপাদনের ধারাবাহিকতা ও বহুমুখী ফসল চাষের কারণে বরেন্দ্রভূমিকে বাংলাদেশের “শস্যভাণ্ডার” বলা হয়।
• ঐতিহাসিক গুরুত্ব: বরেন্দ্র অঞ্চল প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে; এটি প্রাচীন পুণ্ড্রনগর সভ্যতার অংশ হিসেবে পরিচিত ছিল।
• বর্তমান উন্নয়ন: কৃষি প্রযুক্তি, গভীর নলকূপ ও সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে বর্তমানে এ অঞ্চলে কৃষি উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

0
Updated: 7 hours ago
বাংলাদেশের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের বৈশিষ্ঠগুলো হলো i) স্থানীয় জনগনের শাসন; ii) নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শাসন; iii) নির্বাচিত কর্মচারীদের শাসন;
Created: 7 hours ago
A
i
B
i ও ii
C
ii ও iii
D
i, ii ও iii
বাংলাদেশে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন এমন এক ব্যবস্থা, যেখানে জনগণ নিজেদের এলাকার প্রশাসন ও উন্নয়ন কার্যক্রমে সরাসরি অংশগ্রহণ করে। এটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ, যা জনগণের অংশগ্রহণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে।
-
স্থানীয় জনগণের শাসন: স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণ সরাসরি স্থানীয় প্রশাসন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়। এর ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণের চাহিদা ও মতামতের প্রতিফলন ঘটে।
-
নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শাসন: ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই স্থানীয় সরকারের নেতৃত্ব দেন। তারা নীতি নির্ধারণ, উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করেন।
-
প্রশাসনিক কর্মচারীদের ভূমিকা: প্রশাসনিক কর্মকর্তারা নির্বাচিত নন; তারা সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী, যারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন এবং নীতি বাস্তবায়নে সহায়তা প্রদান করেন।
-
মূল বৈশিষ্ট্যের সারাংশ: স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের ভিত্তি হলো জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ, নির্বাচিত নেতৃত্বের জবাবদিহিতা এবং প্রশাসনিক সহায়তার সমন্বয়—যা সম্মিলিতভাবে স্থানীয় পর্যায়ে সুশাসন ও উন্নয়নকে টেকসই করে তোলে।

0
Updated: 7 hours ago