বৌদ্ধ দর্শনে 'সম্যক কর্মান্ত' বলতে বোঝায়?
A
সঠিক স্মৃতি
B
সঠিক ঘুম
C
সঠিক আহার
D
সঠিক কর্ম
উত্তরের বিবরণ
বৌদ্ধ দর্শনের অষ্টাঙ্গিক মার্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সম্যক্ কর্মান্ত বা সংযত আচরণ (Right Conduct)। এর মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্ম মানুষকে নৈতিক ও শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনযাপনের নির্দেশ দেয়। সম্যক্ কর্মান্তের মূল উদ্দেশ্য হলো এমন আচরণ ও কর্ম বর্জন করা যা অন্যের ক্ষতি বা সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে।
এই সংযত আচরণের অন্তর্ভুক্ত হলো পঞ্চশীল বা পাঁচটি নৈতিক আচরণবিধি—
-
অহিংসা: জীবহত্যা থেকে বিরত থাকা।
-
অস্তেয় (অচৌর্য): অন্যের সম্পদ চুরি না করা।
-
ব্রহ্মচর্য: অবৈধ ইন্দ্রিয়-ভোগ থেকে বিরত থাকা।
-
সত্য: মিথ্যা কথা না বলা।
-
মাদকদ্রব্য বর্জন: মদ্য ও নেশাজাত দ্রব্য থেকে বিরত থাকা।
এই পাঁচটি শীল বা আচরণই সম্যক্ কর্মান্তের অন্তর্গত, যা মানুষের নৈতিক পরিশুদ্ধি ও আত্মিক উন্নয়নের পথ নির্দেশ করে।

0
Updated: 1 day ago
কোন দার্শনিক দর্শনকে 'জ্ঞানবিষয়ক বিজ্ঞান ও তার সমালোচনা' হিসেবে অভিহিত করেন?
Created: 23 hours ago
A
ইমানুয়েল কান্ট
B
হার্বাট স্পেন্সার
C
প্লেটো
D
হেগেল
দর্শনের প্রামাণ্য সংজ্ঞাসমূহ মানবচিন্তার ইতিহাসে বিভিন্ন দার্শনিক তাঁদের নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে দর্শনের প্রকৃতি, উদ্দেশ্য ও পরিসর ব্যাখ্যা করেছেন। নিচে তাঁদের উক্তিগুলো বিশ্লেষণসহ উপস্থাপন করা হলো—
-
প্লেটো বলেন, “নিত্যের এবং বস্তুর স্বরূপের জ্ঞান লাভ করাই দর্শনের লক্ষ্য।”
অর্থাৎ দর্শনের মাধ্যমে মানুষ চিরন্তন সত্য ও বাস্তবতার মূল রূপ অনুধাবন করতে চায়। -
দার্শনিক পেরী-র মতে, “দর্শন আকস্মিক কিছু নয়, অলৌকিক কিছু নয়, বরং অনিবার্য ও স্বাভাবিক।”
এখানে দর্শনকে মানবজীবনের একটি স্বাভাবিক চিন্তাগত প্রক্রিয়া হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত। -
পলসন বলেন, “দর্শন সমস্ত বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের সমষ্টি।”
এই সংজ্ঞা দর্শনের জ্ঞানবিজ্ঞানমূলক দিককে তুলে ধরে, যেখানে দর্শনকে বিজ্ঞানসমূহের সমন্বিত রূপ হিসেবে দেখা হয়েছে। -
হার্বার্ট স্পেনসার বলেন, “দর্শন সাধারণ সত্যের সর্বোচ্চ ধাপের জ্ঞান।”
তাঁর মতে, দর্শন এমন এক জ্ঞান যা সব সাধারণ সত্যকে একত্রিত করে সর্বজনীন সত্যে রূপান্তরিত করে। -
ইমানুয়েল কান্ট বলেন, “দর্শন হলো জ্ঞান সম্পর্কীয় বিজ্ঞান এবং তার সমালোচনা।”
কান্টের মতে, দর্শন মূলত জ্ঞানের প্রকৃতি, সীমা ও বৈধতা সম্পর্কে সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ। -
ফিক্টে বলেন, “দর্শন হলো জ্ঞান-বিজ্ঞান।”
তিনি দর্শনকে এমন এক বিজ্ঞান হিসেবে দেখেছেন, যা জ্ঞানের ভিত্তি ও কাঠামো বিশ্লেষণ করে। -
বার্ট্রান্ড রাসেল বলেন, “দর্শন হলো ধর্ম ও বিজ্ঞানের মধ্যবর্তী একটি অনধিকৃত প্রদেশ (No Man’s Land)।”
তাঁর মতে, দর্শন এমন এক ক্ষেত্র যা ধর্মের বিশ্বাসনির্ভরতা ও বিজ্ঞানের প্রমাণনির্ভরতার মাঝামাঝি অবস্থানে থেকে সত্যের সন্ধান করে।
অতএব, এই সংজ্ঞাগুলোর সারমর্ম হলো— দর্শন জ্ঞানের মূল প্রকৃতি, সত্য ও বাস্তবতার অনুসন্ধান; এটি মানবচেতনার যুক্তিনির্ভর ও সমালোচনামূলক অনুসন্ধানের এক অনিবার্য প্রকাশ।

0
Updated: 23 hours ago
কোন দার্শনিককে সর্বেশ্বরবাদী বলা যায়?
Created: 6 hours ago
A
রেনে ডেকার্ট
B
লাইবনিজ
C
স্পিনোজা
D
ডেভিড হিউম
বারুচ স্পিনোজা ছিলেন একজন সর্বেশ্বরবাদী দার্শনিক, যার মতে ঈশ্বর ও মহাবিশ্ব এক ও অভিন্ন। অর্থাৎ, ঈশ্বরই সবকিছু এবং সবকিছুই ঈশ্বর। তিনি মনে করতেন, ঈশ্বর ও প্রকৃতির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই—উভয়ই একই সত্তার দুই দিক। তাই স্পিনোজার দর্শনে ঈশ্বর মানেই প্রকৃতি, আর প্রকৃতিই ঈশ্বরের প্রকাশ।

0
Updated: 6 hours ago
বিশপ বার্কলি কোন ধরণের দার্শনিক?
Created: 5 hours ago
A
বুদ্ধিবাদী
B
অভিজ্ঞতাবাদী
C
বাস্তববাদী
D
ভাববাদী
অভিজ্ঞতাবাদী দার্শনিকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—
-
জন লক
-
বিশপ বার্কলি
-
ডেভিড হিউম
তাঁরা সকলেই বিশ্বাস করতেন, জ্ঞান আসে অভিজ্ঞতা থেকে, জন্মগতভাবে মানুষের মনে কোনো ধারণা থাকে না।

0
Updated: 5 hours ago