সৃষ্টিতত্ত্ব কী?
A
বিজ্ঞান ভিত্তিক মতবাদ
B
ক্রম-পরিবর্তনবাদ
C
জাগতিকবাদ
D
ধর্মভিত্তিক দার্শনিক মতবাদ
উত্তরের বিবরণ
সৃষ্টি তত্ত্ব (The Theory of Creation) অনুসারে, আদিতে একমাত্র ঈশ্বর ব্যতীত অন্য কোনো কিছুর অস্তিত্ব ছিল না। এক নির্দিষ্ট সময়ে ঈশ্বর নিজের ইচ্ছায় এই জগতের সৃষ্টি করেন। সৃষ্টির পর থেকে জগতের সব বস্তু তাদের মূল রূপে অপরিবর্তিত রয়েছে; অর্থাৎ সৃষ্টিকালের মতোই আজও তাদের অবস্থান বিদ্যমান। এই মতবাদে জগতের উৎপত্তি ও বিন্যাসকে ঈশ্বরের ইচ্ছা ও ক্ষমতার ফল হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। তাই সৃষ্টি তত্ত্ব মূলত একটি ঈশ্বরনির্ভর ও ধর্মভিত্তিক দার্শনিক মতবাদ, যেখানে জগতের কারণ হিসেবে কোনো প্রাকৃতিক বা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার পরিবর্তে ঈশ্বরের সৃজনশক্তিকেই প্রধান বলা হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
একত্ববাদী জড়বাদী দার্শনিক হলেন-
Created: 1 day ago
A
এনাক্সিমেনিসি
B
পিথাগোরাস
C
সক্রেটিস
D
প্লেটো
এনাক্সিমেনিস প্রাচীন গ্রিক দার্শনিকদের মধ্যে অন্যতম, যিনি জগতের আদি বা মূল সত্তা সম্পর্কে একটি নির্দিষ্ট মতবাদ প্রদান করেন। তাঁর মতে, সমগ্র জগতের উৎস বা মূল উপাদান হলো “বায়ু”। তিনি বিশ্বাস করতেন, এই বায়ুই বিভিন্ন রূপ ও পরিবর্তনের মাধ্যমে সমস্ত বস্তু ও প্রাণের অস্তিত্ব সৃষ্টি করেছে। বায়ুর ঘনত্ব ও পাতল্যতার পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর নানা উপাদান ও রূপের উদ্ভব ঘটে।
এই ধারণার মাধ্যমে এনাক্সিমেনিস একক মূল উপাদান বা সত্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস প্রকাশ করেন, তাই তাঁর দর্শনকে একত্ববাদী (Monistic) বলা হয়। আবার তিনি এই মূল সত্তাকে জড় উপাদান (বায়ু) হিসেবে ব্যাখ্যা করায়, তাঁর দর্শনকে জড়বাদী (Materialistic) বলা হয়। সুতরাং এনাক্সিমেনিস ছিলেন একাধারে একত্ববাদী ও জড়বাদী দার্শনিক।

0
Updated: 1 day ago
কোন যুক্তির সিদ্ধান্ত আশ্রয়বাক্যকে অতিক্রম করে যায়?
Created: 23 hours ago
A
অবরোহ
B
আবর্তন
C
আরোহ
D
প্রতিবর্তন
আরোহ যুক্তি (Inductive reasoning) এমন এক ধরনের যুক্তি যেখানে নির্দিষ্ট কিছু পর্যবেক্ষণ বা বিশেষ উদাহরণ থেকে একটি সাধারণ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া হয়। এতে যুক্তির সিদ্ধান্ত কখনোই আশ্রয়বাক্যের চেয়ে সংকীর্ণ নয়; বরং তা আশ্রয়বাক্যকে অতিক্রম করে আরও সাধারণ বা ব্যাপক রূপ ধারণ করে।
উদাহরণস্বরূপ, যদি দেখা যায়—
-
এই কাকটি কালো,
-
ঐ কাকটি কালো,
-
আরও অনেক কাকই কালো,
তাহলে সিদ্ধান্তে বলা যায়, “সব কাক কালো”।
এখানে প্রতিটি আশ্রয়বাক্য নির্দিষ্ট কাককে নির্দেশ করছে, কিন্তু সিদ্ধান্তটি সব কাকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, অর্থাৎ এটি আশ্রয়বাক্যের সীমা অতিক্রম করেছে।
অতএব, আরোহ যুক্তির বিশেষত্ব হলো— এর সিদ্ধান্ত সর্বদা আশ্রয়বাক্যের চেয়ে অধিক ব্যাপক, এবং এটি সাধারণীকরণের মাধ্যমে নতুন জ্ঞান উপস্থাপন করে।

0
Updated: 23 hours ago
একজন ব্যক্তি যখন মিথ্যা কথা বলে, তখন সে অন্য মানুষের প্রতি কোন মৌলিক কর্তব্য লঙ্ঘন করে?
Created: 23 hours ago
A
সহানুভুতি
B
স্বাধীনতা
C
নিরাপত্তা
D
সততা
সত্য বলা হলো সততার অন্যতম প্রধান লক্ষণ। সততা এমন একটি নৈতিক গুণ, যা মানুষের চিন্তা, বাক্য ও কর্মের মধ্যে সামঞ্জস্য ও সত্যনিষ্ঠা বজায় রাখে। যখন একজন ব্যক্তি সত্য কথা বলে, তখন সে অন্যের প্রতি আস্থা ও সম্মানের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
কিন্তু মিথ্যা বলা এই নৈতিক ভিত্তিকে ভেঙে দেয়। কারণ মিথ্যা কথার মাধ্যমে ব্যক্তি শুধু অন্যকে প্রতারিতই করে না, বরং সততার মৌলিক কর্তব্যও লঙ্ঘন করে। এতে পারস্পরিক বিশ্বাস নষ্ট হয় এবং সামাজিক সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়ে।
অতএব, সত্য ভাষণই সততার প্রকাশ, আর মিথ্যা বলা মানে সেই নৈতিক দায়িত্ব ও সততার মূল চর্চা থেকে বিচ্যুত হওয়া।

0
Updated: 23 hours ago