বাংলা গদ্যভাষা নির্মাণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রধান কৃতিত্ব হচ্ছে-
A
সংস্কৃত ভাষা বর্জিত বাংলা ভাষার প্রচলন
B
সংস্কৃত ভাষাদর্শ ও বাংলা গদ্যরীতির স্বার্থক সমন্বয়
C
বাংলা ভাষার সাধুরীতির ও চলিতরীতির স্বার্থক সমন্বয়
D
চলিতরীতির প্রচলন
উত্তরের বিবরণ
রবীন্দ্রনাথ বিদ্যাসাগরের সাহিত্যকুশলতা ও দ্বিভাষিক জ্ঞানকে কাব্যসাহিত্যে অনন্যভাবে স্থান দিয়েছেন।
• ব্যাখ্যা:
-
সংস্কৃত কাব্যসাহিত্যে বিদ্যাসাগরের দখল ছিল অসামান্য; তিনি ঐ ভাষার শব্দ ও পদবিন্যাসের শ্রুতিমাধুর্য ও গাম্ভীর্য বাংলা গদ্যে প্রয়োগ করেছেন।
-
ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য নিজ চেষ্টায় শিখে, তার সাহিত্যিক দৃষ্টিকোণ আরও বিস্তৃত হয়।
-
বাংলা গদ্যে তিনি দুর্বোধ্যতা বা দুরুহতাকে নয়, বরং সরল ও প্রাঞ্জল রূপ প্রাধান্য দিয়েছেন।
-
কাব্যিক ছন্দোময়তা দিয়ে গদ্যকে তিনি এক ললিত, সুডৌল রূপ প্রদান করেছেন, যা পাঠকের মননে গভীর ছাপ ফেলে।

0
Updated: 1 day ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিশ্বকবি উপাধি কে প্রদান করেন?
Created: 4 weeks ago
A
মহাত্মা গান্ধী
B
চি-সি-লিজন
C
ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়
D
ক্ষিতিমোহন সেন
সঠিক উত্তর হলো: গ) ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘বিশ্বকবি’ উপাধি প্রদান করেন ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়। এই উপাধি রবীন্দ্রনাথের কবিতার সর্বজনীনতা এবং বিশ্বজনীন আবেদনকে স্বীকৃতি হিসেবে প্রদান করা হয় এবং পরবর্তীতে তাঁর সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতির প্রতীক হিসেবে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
জন্ম: ৭ মে ১৮৬১ (২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দ), কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে।
-
পেশা: কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক।
-
সম্মান: ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত; এশিয়ার বিদগ্ধ ও বরেণ্য ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম এই গৌরব অর্জন।
-
ভ্রমণ: বাংলাদেশের শাহজাদপুর, পতিসর, কালিগ্রাম ও শিলাইদহে বেড়িয়েছেন।
-
মৃত্যু: ৭ আগস্ট ১৯৪১ (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮), জোড়াসাঁকোর বাড়িতে।
-
-
উপাধিসমূহ
-
‘বিশ্বকবি’ – প্রদান করেছেন ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়।
-
‘গুরুদেব’ – মহাত্মা গান্ধী প্রদান করেছেন।
-
‘কবিগুরু’ – ক্ষিতিমোহন সেন প্রদান করেছেন।
-
‘মহাকবি’ – চীনা কবি চি-সি-লিজন প্রদান করেছেন।
-

0
Updated: 4 weeks ago
কোন সাহিত্যিক বাংলায় টিএস এলিয়টের কবিতা প্রথম অনুবাদ করেন?
Created: 1 month ago
A
বুদ্ধদেব বসু
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
বিষ্ণু দে
D
প্রেমেন্দ্র মিত্র
বাখ্যা:
-
প্রথমবার বাংলায় টিএস ইলিয়টের কবিতা অনুবাদ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
-
‘তীর্থযাত্রী’ হলো টিএস ইলিয়টের The Journey of the Magi কবিতার বাংলা অনুবাদ। রবীন্দ্রনাথ এটি তাঁর ‘পুনশ্চ’ কাব্যগ্রন্থে সংকলন করেন, যা প্রকাশিত হয় ১৯৩২ সালে।
-
পরবর্তীতে, বিষ্ণু দে ১৯৫০ সালে Eliot-er Kobita নামে বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
-
কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক।
-
জন্ম: ১৮৬১ সালের ৭ মে, কলকাতা, জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবার।
-
প্রথম এশিয়ার নোবেল বিজয়ী (১৯১৩) এবং দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চতুর্দশ সন্তান।
-
বিবাহ: ১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে।
-
১৯১৫ সালে ইংরেজি ‘নাইট’ উপাধি প্রাপ্ত, ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের কারণে ফেরত দেয়া।
-
মৃত্যু: ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট, জোড়াসাঁকোর নিজ বাড়িতে।
রচনাবলি:
-
মানসী, সোনার তরী, কল্পনা, ক্ষণিকা, গীতাঞ্জলী, পুনশ্চ, পত্রপুট, সেঁজুতি, শেষলেখা ইত্যাদি।
সুতরাং, তীর্থযাত্রী হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাধ্যমে বাংলায় প্রথমবার টিএস ইলিয়টের কবিতার অনুবাদ।

0
Updated: 1 month ago
"মরণ রে, তুঁহু মম শ্যামসমান।" পঙ্ক্তিটি কার রচনা?
Created: 3 weeks ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
নির্মলেন্দু গুণ
C
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
D
বিদ্যাপতি
"মরণ রে, তুঁহু মম শ্যামসমান।" পঙ্ক্তিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'মরণ' কবিতার অন্তর্ভুক্ত।
-
'ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী' কাব্য:
-
রচয়িতা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বৈষ্ণব পদাবলির ধারায় ব্রজবুলি ভাষায় লিখিত
-
প্রকাশকাল: ১২৯১ সনে আষাঢ়ের মাঝামাঝি
-
গ্রন্থে আখ্যাপত্রে কবির নাম ভানুসিংহ ঠাকুর উল্লেখ এবং প্রকাশক ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
প্রকাশকের বিজ্ঞাপনে বলা হয়, ভানুসিংহের পদাবলী শৈশব সঙ্গীতের আনুষঙ্গিক স্বরূপে প্রকাশিত হয়েছে; অধিকাংশই পুরাতন কালের খাতা থেকে সন্ধান করে সংগ্রহ করা
-
গ্রন্থে বর্তমানে মোট ২০টি পদ রয়েছে
-
-
উল্লেখযোগ্য কবিতা: মরণ, প্রশ্ন
-
'মরণ' কবিতার বিখ্যাত পঙ্ক্তি: "মরণ রে, তুঁহু মম শ্যামসমান।"

0
Updated: 3 weeks ago