প্রমথ চৌধুরীর মতে সাহিত্যের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে-
A
দৈনন্দিন জীবনের বন্দনা
B
বিশেষ সামাজিক উদ্দেশ্য সাধন
C
মানুষের মনোজগৎ জাগিয়ে তোলা
D
লোককে সামাজিক ও নৈতিক শিক্ষা দেয়া
উত্তরের বিবরণ
‘দ্বিতীয়ত, শিক্ষার উদ্দেশ্য মানুষের মনকে বিশ্বের খবর জানানো, আর সাহিত্যের উদ্দেশ্য মানুষের মনকে জাগানো।’
• এই উক্তির ব্যাখ্যা:
-
শিক্ষা মানুষের বুদ্ধি ও জ্ঞানকে প্রসারিত করে, তাকে সমাজ ও বিশ্বের তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে পরিচিত করে।
-
সাহিত্য মানবিক অনুভূতি, চিন্তা ও নৈতিকতাকে জাগ্রত করে, সমাজ ও ব্যক্তির অন্তর্দৃষ্টি বৃদ্ধি করে।
-
প্রমথ চৌধুরীর এই দর্শন শিক্ষার সঙ্গে সাহিত্যকে সমন্বিতভাবে মানব উন্নয়নের মাধ্যম হিসেবে দেখায়।

0
Updated: 1 day ago
প্রমথ চৌধুরী কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
Created: 1 month ago
A
বর্ধমান
B
হুগলি
C
যশোর
D
বরিশাল
প্রমথ চৌধুরী (১৮৬৮–১৯৪৬)
-
জন্ম: ৭ আগস্ট, ১৮৬৮; যশোরে।
-
সাহিত্যিক ছদ্মনাম: বীরবল।
-
অবদান:
-
বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রূপ নিয়ে তুলনামূলক গবেষণা।
-
বাংলা কাব্যে প্রথম ইতালীয় সনেট প্রবর্তন।
-
১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত বীরবলের হালখাতা তার উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ।
-
নির্বাচিত প্রবন্ধ
-
তেল-নুন-লকড়ী
-
বীরবলের হালখাতা
-
নানাকথা
-
ভাষার কথ
-
আমাদের শিক্ষা
-
নানাচর্চা
নির্বাচিত গল্পগ্রন্থ
-
চার-ইয়ারী কথা
-
নীলোহিত
-
ঘোষালে ত্রিকথা

0
Updated: 1 month ago
'যে জাতি যত নিরানন্দ সে জাতি তত নির্জীব।' বিখ্যাত উক্তিটি কার?
Created: 2 weeks ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
প্রমথ চৌধুরী
C
সুফিয়া কামাল
D
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
প্রমথ চৌধুরী ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক এবং চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক। তিনি ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট যশোরে জন্মগ্রহণ করেন এবং সাহিত্যিক ছদ্মনাম ‘বীরবল’ ব্যবহার করতেন। তাঁর সাহিত্যকর্মে বিদ্যমান চিন্তা ও দর্শন তাঁর বিখ্যাত উক্তিগুলোতেও প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রমথ চৌধুরীর বিখ্যাত উক্তি:
-
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
-
ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালিই পড়ে।
-
আনন্দের ধর্ম এই যে তা সংক্রামক।
-
সাহিত্যে মানবত্মা খেলা করে এবং সেই খেলার আনন্দ উপভোগ করে।
-
যে খেলার ভিতর আনন্দ নেই কিন্তু উপরি পাওনার আশা আছে, তার নাম খেলা নয়, জুয়াখেলা।
-
যে জাতি যত নিরানন্দ সে জাতি তত নির্জীব।
প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যকর্ম ও অবদান:
-
প্রথম চলিত রীতির প্রয়োগ করেছেন ‘বীরবলের হালখাতা’ (১৯০২, ভারতী পত্রিকা)
-
বাংলা কাব্য সাহিত্যে ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক
-
সম্পাদনা করেছেন ‘সবুজপত্র’ পত্রিকা
রচিত কাব্যগ্রন্থ:
-
সনেট পঞ্চাশৎ
-
পদচারণ
রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ:
-
তেল নুন লকড়ি
-
বীরবলের হালখাতা
-
নানাকথা
-
আমাদের শিক্ষা
-
রায়তের কথা
-
নানাচর্চা
-
আত্মকথা
-
প্রবন্ধসংগ্রহ ইত্যাদি
রচিত গল্পগ্রন্থ:
-
চার ইয়ারী কথা
-
আহুতি
-
নীললোহিত
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
'যে জাতি মনে বড় নয়, সে জাতি জ্ঞানেও বড় নয়'- এই উক্তিটি কার?
Created: 3 days ago
A
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
B
কাজী মোতাহার হোসেন
C
প্রমথ চৌধুরী
D
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
‘যে জাতি মনে বড় নয়, সে জাতি জ্ঞানেও বড় নয়’ — এই গভীর তাৎপর্যপূর্ণ উক্তিটি করেছেন প্রমথ চৌধুরী। বাংলা সাহিত্যে তিনি ছিলেন চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক, আধুনিক গদ্য ভাষার নির্মাতা এবং ব্যঙ্গপ্রবন্ধের অগ্রদূত। তাঁর সাহিত্যচিন্তা ও ভাষার ব্যবহার বাঙালি মানসকে আধুনিকতার পথে নিয়ে গেছে।
প্রমথ চৌধুরীর বিখ্যাত উক্তিসমূহ:
-
“সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।”
-
“ব্যাধিই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নয়।”
-
“যে জাতি মনে বড় নয়, সে জাতি জ্ঞানেও বড় নয়।”
-
“বাংলা ভাষা আহত হয়েছে সিলেটে, আর নিহত হয়েছে চট্টগ্রামে।”
প্রমথ চৌধুরী সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
বাংলা সাহিত্যে প্রথম বিদ্রুপাত্মক প্রবন্ধ রচনাকারী এবং গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক হিসেবে পরিচিত।
-
ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক বাংলায় তিনিই।
-
তাঁর ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’।
-
তিনি সবুজপত্র (১৯১৪), বিশ্বভারতী, রূপ ও রীতি, এবং অলকা পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
প্রমথ চৌধুরীর রচনা:
-
কাব্যগ্রন্থ: সনেট পঞ্চাশৎ, পদচারণ।
-
গল্পগ্রন্থ: চার ইয়ারি কথা, আহুতি, নীল্লোহিত ও গল্পসংগ্রহ।
-
প্রবন্ধগ্রন্থ: তেল-নুন-লাকড়ি, বীরবলের হালখাতা (চলিত রীতির প্রথম গদ্য রচনা), নানাকথা, আমাদের শিক্ষা, রায়তের কথা, নানাচর্চা।

0
Updated: 3 days ago