কোন নাটকে রাজার পুত্রের প্রতি বিমাতার আকর্ষ, পুত্রের প্রত্যাখ্যান ও বিমাতার ষড়যন্ত্রে পরিবারের সকলের মৃত্যু হয়?
A
টালা অভিনয়
B
এর উপায় কি
C
বসন্ত কুমারী নাটক
D
ফাঁস কাগজ
উত্তরের বিবরণ
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং প্রাবন্ধিক। তিনি ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মীর মোয়াজ্জেম হোসেন ছিলেন জমিদার। নিজগৃহে মুনশির নিকট আরবি ও ফারসি শেখার মাধ্যমে মশাররফ হোসেনের লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয়। মশাররফ হোসেন আজিজননেহার ও হিতকরী নামে দুটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেছেন। তিনি বঙ্কিমযুগের অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী এবং উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত।
• ‘বসন্তকুমারী’ নাটক:
-
মীর মশাররফ হোসেনের নাটকগুলোর মধ্যে ‘বসন্তকুমারী’ নাটক (১৮৭৩) উল্লেখযোগ্য।
-
মুসলমান নাট্যকার রচিত প্রথম নাটক হিসেবে এটিকে নির্দেশ করা যায়।
-
কাহিনিঃ ইন্দ্রপুরের বিপত্নীক রাজার বৃদ্ধ বয়সে যুবতী স্ত্রী গ্রহণ, রাজার যুবক পুত্রের প্রতি বিমাতার আকর্ষণ এবং প্রেম নিবেদন, পুত্রের প্রত্যাখ্যান ও বিমাতার ষড়যন্ত্র; পরিশেষে রাজপরিবারের সকলের মৃত্যু।
-
নাটকটির অপর নাম ‘বৃদ্ধস্য তরূণী ভার্যা’।
• তাঁর সাহিত্যকর্ম:
নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
উপন্যাস:
-
বিষাদ-সিন্ধু
গ্রন্থ:
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ:
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী

0
Updated: 1 day ago
মীর মশাররফ হোসেনের কোন গ্রন্থের উপজীব্য হিন্দু-মুসলমানের বিরোধ?
Created: 1 week ago
A
গো-জীবন
B
ইসলামের জয়
C
এর উপায় কী
D
বসন্তকুমারী নাটক
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন একজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং প্রাবন্ধিক, যিনি উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম পথিকৃৎ।
তার সাহিত্যিক যাত্রা শুরু হয়েছিল সাংবাদিকতার মাধ্যমে, যখন তিনি ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর (১৮৩১) এবং কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকা (১৮৬৩)-এর মফঃস্বল সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতেন। তিনি বঙ্কিমযুগের গদ্যশিল্পী হিসেবে পরিচিত।
-
তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ হলো 'রত্নাবতী' (গল্পগ্রন্থ)।
-
তিনি প্রহসনও রচনা করেছেন, যার মধ্যে প্রধান হলো 'এর উপায় কি?'
-
তার নাটকগুলো হলো:
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
-
গো জীবন (১৮৮৯) একটি প্রবন্ধ পুস্তিকা, যার মূল বক্তব্য হলো কৃষি নির্ভর অর্থনীতিতে যেকোনো কারণে গোরহত্যা অনুচিত। মীর মশাররফ হোসেন এই প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন হিন্দু ও মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করার মানস থেকে।
তবে এ গ্রন্থের কারণে তিনি মামলায় জড়িয়ে পড়েন এবং অবশেষে মৌলবাদীদের প্রবল চাপের মুখে প্রবন্ধটি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।

0
Updated: 1 week ago
মীর মশাররফ হোসেন সম্পর্কে কোন তথ্যটি যথার্থ নয়?
Created: 3 weeks ago
A
তিন খণ্ডে 'বিষাদ-সিন্ধু' রচনা করেন
B
নিজের জীবনী রচনা করেন
C
জমিদারি দেখাশোনার কাজ করেছেন
D
বিবি কুলসুম তাঁর প্রথম স্ত্রী
মীর মশাররফ হোসেন একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সমাজচিন্তক, যিনি বিষাদ-সিন্ধু উপন্যাস, আত্মজীবনীমূলক রচনা ও জমিদারি পরিচালনার কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর জীবন ও সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে মূল তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
তিন খণ্ডে ‘বিষাদ-সিন্ধু’ রচনা করেছেন
-
‘বিষাদ-সিন্ধু’ (১৮৮৫–১৮৯১) ইতিহাসভিত্তিক একটি উপন্যাস।
-
হাসান ও হোসেনের সঙ্গে দামেস্ক অধিপতি মাবিয়ার একমাত্র পুত্র এজিদের কারবালা প্রান্তরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ এবং ইমাম হাসান-হোসেনের করুণ মৃত্যু কাহিনি এতে বর্ণিত।
-
গ্রন্থে ঐতিহাসিক সত্যতা থাকলেও ইতিহাসের অন্ধ অনুসরণ করা হয়নি।
-
উপন্যাসটি তিনটি পর্বে সম্পন্ন হয়েছে: ‘মহরম পর্ব্ব’ (১৮৮৫), ‘উদ্ধার পর্ব্ব’ (১৮৮৭), ‘এজিদ-বধ পর্ব্ব’ (১৮৯১)।
-
মোট ৬৩টি অধ্যায় নিয়ে উপন্যাসটি লেখা হয়েছে, যার মধ্যে উপক্রমণিকা ও উপসংহার অন্তর্ভুক্ত।
• নিজের জীবনী রচনা করেছেন:
-
‘উদাসীন পথিকের মনের কথা’ (১৮৯০): লেখকের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ইতিহাস, সমসাময়িক ঘটনা এবং কিছু কাল্পনিক উপাদান মিশিয়ে আত্মজীবনীমূলক উপস্থাপনা।
-
‘কুলসুম জীবনী’ (১৯১০): দ্বিতীয় স্ত্রী বিবি কুলসুমকে কেন্দ্র করে রচিত, যেখানে তার জীবন ও চরিত্রের বিস্তারিত বর্ণনা আছে।
-
‘গাজী মিয়াঁর বস্তানী’: কর্মজীবনভিত্তিক আত্মজীবনীমূলক রচনা, সমাজের অন্যায়, দুর্নীতি এবং মানুষের নৈতিক অধঃপতন নিয়ে তীব্র ব্যঙ্গাত্মক সমালোচনা। লেখক নিজেকে ‘ভেড়াকান্ত’ নামে উল্লেখ করেছেন।
• জমিদারি দেখাশোনার কাজ করেছেন:
-
মীর মশাররফ হোসেন পারিবারিক জমিদারি ও অন্যান্য প্রশাসনিক কাজে যুক্ত ছিলেন, যা তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
• দাম্পত্য জীবন ও বিবি কুলসুম:
-
কুলসুম তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী, প্রথম স্ত্রীর নাম আজিজননেহার।
-
প্রথম বিবাহ অশান্ত ও অসুখী ছিল। বিবি কুলসুমের সঙ্গে পরিচয় ও প্রেমের ফলে ১২৮১ সালের পৌষ মাসে বিয়ে হয়।
-
দ্বিতীয় বিবাহ আত্মীয়স্বজন ও প্রথম স্ত্রী মেনে নেননি; তবে কুলসুমের আগমন মশাররফের জীবনে নতুন সুখ, অনুপ্রেরণা ও সৃজনশীলতা বয়ে এনেছিল।

0
Updated: 3 weeks ago
'হিতকরী' পত্রিকা'র সম্পাদক কে?
Created: 1 month ago
A
মীর মশাররফ হোসেন
B
শেখ আবদুর রহিম
C
আহমদ ছফা
D
কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য
‘হিতকরী’ পত্রিকা
-
‘হিতকরী’ পত্রিকা ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়া থেকে মীর মশাররফ হোসেনের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।
-
পরবর্তীকালে এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোসলেম উদ্দীন খান।
-
এই পত্রিকায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হতো—
-
বাঙালি মুসলমানদের মাতৃভাষা বাংলাচর্চা, এবং
-
হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা।
-
অন্য উল্লেখযোগ্য পত্রিকা ও সম্পাদকগণ
-
হিতবাদী → কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য
-
সুধাকর → শেখ আবদুর রহিম
-
স্বদেশ → আহমদ ছফা
উৎস:
১) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
২) বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago