রবীন্দ্রনাথের 'তাসের ঘর' নাটকটি কোন গল্পের নাট্যরুপ?
A
ছুটি
B
একটি আষাঢ়ে গল্প
C
প্রায়শ্চিত্ত
D
ইচ্ছাপূরণ
উত্তরের বিবরণ
‘তাসের দেশ’ (১৯৩৩) রূপক নাটকটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেছেন। এটি তাঁর নিজের গল্প ‘একটা আষাঢ়ে’ থেকে উদ্ভূত। নাটকের কাহিনিতে রাজপুত্র এবং সদাগর পুত্র এক অপরিচিত দ্বীপে পৌঁছান, যেখানে জীবন শাসিত হয় কঠোর যান্ত্রিক নিয়ম ও যুক্তিহীন শাসন দ্বারা। এই নিয়মবদ্ধ জীবনের মধ্যে তারা আনেন বিদ্রোহ, যা নাটকের কেন্দ্রীয় থিম হিসেবে বিদ্যমান। নাটকটি বিশেষভাবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে উৎসর্গ করা হয়েছে, এবং রবীন্দ্রনাথ এখানে উপনিবেশ শাসিত ভারতীয়দের জড়ত্ব দূর করার জন্য মুক্তিদূত রূপী রাজপুত্রের আগমনকে প্রতীকীভাবে দেখিয়েছেন।
• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক অন্যান্য উৎসর্গকৃত গ্রন্থসমূহ:
-
তাসের দেশ – উৎসর্গকৃত ব্যক্তি: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।
-
পূরবী – উৎসর্গকৃত ব্যক্তি: ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো।
-
বসন্ত – উৎসর্গকৃত ব্যক্তি: কাজী নজরুল ইসলাম।
-
খেয়া – উৎসর্গকৃত ব্যক্তি: জগদীশচন্দ্র বসু।

0
Updated: 1 day ago
”নয়নের সম্মুখে তুমি নাই/নয়নের মাঝখানে নিয়েছো যে ঠাই” উদ্ধৃতিটি ‘বলাকা’ কাব্যের কোন কবিতা থেকে সংগৃহিত?
Created: 4 hours ago
A
তাজমহল
B
বলাকা
C
চঞ্চলা
D
ছবি
“নয়নের সম্মুখে তুমি নাই, নয়নের মাঝখানে নিয়েছো যে ঠাঁই”—এই পংক্তিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বলাকা’ কাব্যের ‘ছবি’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। কবিতাটিতে কবি অনুপস্থিত প্রিয়জনের উপস্থিতিকে হৃদয়ের গভীরে অনুভব করেছেন। যদিও প্রিয়জন চোখের সামনে নেই, তবুও তাঁর স্মৃতি ও ভালোবাসা হৃদয়ের ভেতর স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছে। এতে প্রেমের অদৃশ্য উপস্থিতি, আত্মিক সংযোগ ও চিরন্তন বন্ধনের অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে।

0
Updated: 4 hours ago
'বিসর্জন' নাটোকের জয়সিংহের' সংস্কারাচ্ছন্ন মনের মুক্তি ঘটে কার আহ্বানে?
Created: 5 hours ago
A
রাজা গোবিন্দ মাণিক্য
B
ব্রাক্ষ্মণ রঘুপতি
C
রাণী গুনবতি
D
বালিকা অপর্ণা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বিসর্জন’ নাটকে ধর্মীয় কুসংস্কার ও গোঁড়ামির বিরুদ্ধে মানবপ্রেম এবং উদারতার জয়গান গাওয়া হয়েছে। নাটকের অন্যতম চরিত্র জয়সিংহ, যিনি প্রথমে ধর্মীয় বিশ্বাস ও কুসংস্কারের অন্ধ অনুসারী ছিলেন, শেষে অপর্ণার ভালোবাসা ও মানবিক আহ্বানে নিজের ভেতরের অন্ধকার থেকে মুক্তি লাভ করেন। অপর্ণার প্রভাবেই তার হৃদয়ে মানবতার আলো জ্বলে ওঠে এবং ধর্মীয় গোঁড়ামির শৃঙ্খল ভেঙে তিনি আলোর পথে এগিয়ে যান।
বিসর্জন নাটক সম্পর্কিত তথ্য:
-
নাটকটি ১৮৯০ সালে প্রকাশিত হয়।
-
এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সবচেয়ে মঞ্চসফল ও জনপ্রিয় নাটকগুলির মধ্যে একটি।
-
নাটকের দুটি সময়ে রবীন্দ্রনাথ নিজেই অভিনয় করেন— ১৮৯০ সালে রঘুপতির ভূমিকায় এবং ১৯২৩ সালে জয়সিংহের ভূমিকায়।
-
নাটকটি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত।
-
এর মূল ভাবনা হলো: ধর্মীয় কুসংস্কার ও গোঁড়ামির বিপরীতে মানবপ্রেমই মুক্তি ও শান্তির পথ।
-
নাটকের বিষয়বস্তুতে দেখা যায়, উদার ধর্মবোধ ও সংকীর্ণ বিশ্বাসের মধ্যে দ্বন্দ্ব, যা মানবিক মূল্যবোধ ও সম্পর্কের গভীরতার সঙ্গে যুক্ত।
-
নাটকের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এক আধ্যাত্মিক সংঘাত— যেখানে বিশ্বাসের উগ্রতা একদিকে ধ্বংস ডেকে আনে, আর মানবপ্রেম ও সহমর্মিতা অন্যদিকে জীবনের মুক্তির পথ দেখায়।
উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
-
রঘুপতি
-
গোবিন্দমাণিক্য
-
গুণবতী
-
অপর্ণা
-
জয়সিংহ

0
Updated: 5 hours ago
'শেষ লেখা' কাব্যে জীবন ও জগৎ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের যে উপলব্ধির প্রকাশ ঘটে তার মধ্যে নিচের কোনটি সঠিক নয়?
Created: 1 day ago
A
এ জগৎ স্বপ্ন, মায়া, মিথ্যা
B
জীবনের স্বর্গীয় অমৃত গ্রাস করার ক্ষমতা মৃত্যুর নাই
C
সৃষ্টির পথ বিচিত্র মায়াজালে আকীর্ণ
D
জীবনে মিথ্যা আশ্বাসের ফাঁদ নিপুণ হাতে বিছানো
‘শেষ লেখা’ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ জীবনের অস্থায়ীত্ব, মায়া ও মিথ্যার জগৎ সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি প্রকাশ করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন যে এই জগৎ মূলত স্বপ্ন, মায়া ও মিথ্যায় ভরা এবং সৃষ্টির পথ মায়াজালে আবদ্ধ। জীবনের অনেক আশ্বাসই কখনও কখনও মিথ্যা ও প্রতারণামূলক। রবীন্দ্রনাথ “মৃত্যুর অক্ষমতা” বা “জীবনের অমৃত মৃত্যুর নাগালের বাইরে” এই ধারণা প্রকাশ করেননি; বরং তিনি মৃত্যুকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং মুক্তির প্রতীক হিসেবে দেখিয়েছেন।
• মূল ব্যাখ্যা:
-
জগৎ স্বপ্ন, মায়া ও মিথ্যা দ্বারা গঠিত।
-
সৃষ্টির পথ মায়াজালে আবদ্ধ।
-
জীবনের আশ্বাস প্রায়শই মিথ্যা ও প্রতারণামূলক।
-
মৃত্যুকেও তিনি জীবনের অংশ ও মুক্তির প্রতীক হিসেবে দেখেছেন।
উত্তর: খ) জীবনের স্বর্গীয় অমৃত গ্রাস করার ক্ষমতা মৃত্যুর নাই।

0
Updated: 1 day ago