পরিভাষিক শব্দ বলতে বুঝায়-
A
ইংরেজি শব্দের বাংলা রূপান্তর
B
বিদেশি শব্দের অনুবাদ
C
বিষয়গত সুনির্দিষ্ট অর্থবোধক শব্দ
D
ব্যবহারিক প্রয়োজনে নবনির্মিত শব্দ
উত্তরের বিবরণ
পরিভাষিক শব্দ এমন একধরনের শব্দ যা কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত থেকে সুনির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে এবং সাধারণ ব্যবহারের থেকে এর অর্থ আলাদা হয়। এগুলো কোনো শাস্ত্র, পেশা, বা ক্ষেত্রের অভ্যন্তরে বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয় এবং প্রেক্ষাপটভেদে অর্থ পরিবর্তিত হয়।
পরিভাষিক শব্দ কোনো নির্দিষ্ট বিষয়, পেশা বা শাস্ত্রের সঙ্গে যুক্ত শব্দ যা সেই ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে।
-
সাধারণত এই শব্দগুলো বিজ্ঞানের, চিকিৎসার, সাহিত্যের, আইনের ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
-
একই শব্দ সাধারণ ভাষায় এক অর্থে ব্যবহৃত হলেও, পরিভাষা হিসেবে এটি বিশেষ প্রেক্ষাপটে আলাদা অর্থ ধারণ করে।
-
উদাহরণ: ‘পরিবাহক’ (বিদ্যুৎ পরিবহনের প্রেক্ষাপটে conductor), ‘শিক্ষাতত্ত্ব’ (pedagogy, শিক্ষাবিজ্ঞানে ব্যবহৃত)।
অন্যান্য বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ:
-
ক) ইংরেজি শব্দের বাংলা রূপান্তর: এটি ভুল। কারণ পরিভাষিক শব্দ কেবল ইংরেজি শব্দের বাংলা রূপান্তর নয়; এগুলো তৎসম, তদ্ভব বা নতুনভাবে গঠিত শব্দও হতে পারে। যেমন ‘অণুজীব’ (microbe) শব্দটি বিজ্ঞানের পরিভাষা, যদিও এটি বিদেশি উৎস থেকে এসেছে।
-
খ) বিদেশি শব্দের অনুবাদ: এটি ভুল। পরিভাষিক শব্দ শুধু অনুবাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; অনেক সময় এগুলো স্থানীয়ভাবে গঠিত হয়। যেমন ‘গ্রন্থাগার’ (library) একটি অনুবাদ হলেও, এটি গ্রন্থ সংরক্ষণের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের শব্দ।
-
ঘ) ব্যবহারিক প্রয়োজনে নবনির্মিত শব্দ: এটি আংশিকভাবে সঠিক, কিন্তু পরিভাষিক শব্দের পূর্ণ সংজ্ঞা নয়। যেমন ‘দূরদর্শন’ (television) নবনির্মিত শব্দ, তবে ‘শিক্ষাতত্ত্ব’ বা ‘অর্থনীতি’ শব্দগুলো পুরনো তৎসম শব্দ হয়েও পরিভাষা হিসেবে ব্যবহৃত।

0
Updated: 1 day ago
'Birds of a feather flock together.' এর বাংলা অনুবাদ -
Created: 1 week ago
A
চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে।
B
চাচা আপন প্রাণ বাঁচা।
C
চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।
D
কোনোটিই নয়
‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’ এর ইংরেজি অনুবাদ হলো Birds of a feather flock together। এটি বোঝায় যে একই ধরনের লোক একে অপরের সঙ্গে মিলিত হয়।
অন্যদিকে—
-
চাচা আপন প্রাণ বাঁচা — Every man is for himself
-
চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে — When the cat is away, the mice will play
-
চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে — After death comes the doctor

0
Updated: 1 week ago
নিত্য মূর্ধন্য-ষ কোন শব্দে বর্তমান?
Created: 2 months ago
A
কষ্ট
B
উপনিষৎ
C
কল্যাণীয়েষু
D
আষাঢ়
আষাঢ় শব্দে ‘ষ’ ব্যবহারের প্রকৃতি: স্বাভাবিক প্রয়োগ বা ষ-ত্ব বিধান?
ষ-ত্ব বিধান কী?
বাংলা ভাষায় মূর্ধন্য ‘ষ’ ধ্বনি সাধারণভাবে প্রচলিত নয়। দেশি, তদ্ভব ও বিদেশি শব্দে ‘ষ’ লেখা হয় না। তবে কিছু তৎসম শব্দে মূর্ধন্য-ষ অপরিহার্য হয়ে ওঠে। এসব ক্ষেত্রে ‘ষ’ ব্যবহারের নির্দিষ্ট নিয়মকেই বলা হয় ষ-ত্ব বিধান।
‘ষ’ ব্যবহারের প্রধান নিয়মাবলি:
১. ঋ অথবা ঋ-কার যুক্ত শব্দে সাধারণত ‘ষ’ হয়। যেমন: ঋষি, উৎকৃষ্ট, কৃষক।
২. ট-বর্গীয় ধ্বনি থাকলে তার সাথে ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ: কষ্ট, নষ্ট, স্পষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ।
৩. অ ও আ ব্যতীত অন্য স্বরধ্বনি, এবং ক কিংবা র-এর পরে প্রত্যয়ের ‘স’ → ‘ষ’ হয়। যেমন: ভবিষ্যৎ, মুমূর্ষু, চিকীর্ষা, চক্ষুষ্মান।
৪. ই-কারান্ত ও উ-কারান্ত উপসর্গযুক্ত কিছু ধাতুর ক্ষেত্রে ‘স’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ষ’ হয়। যেমন: অভিষেক (অভি + সেক), সুষুপ্ত (সু + সুপ্ত), অনুষঙ্গ, সুষমা।
৫. তৎসম শব্দে ‘র’-এর পর অনেক সময় ‘ষ’ হয়। উদাহরণ: বর্ষা, বর্ষণ, ঘর্ষণ।
৬. কিছু শব্দে স্বভাবগতভাবেই মূর্ধন্য ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়। যেমন: আষাঢ়, ঊষা, রোষ, কোষ, ভাষণ, পৌষ, ষড়ঋতু।
যেসব ক্ষেত্রে ষ-ত্ব বিধান কার্যকর নয়:
-
বিদেশি শব্দ, যেমন আরবি, ফারসি, ইংরেজি থেকে আগত শব্দে ‘ষ’ হয় না। উদাহরণ: মাস্টার, পোশাক, পোস্ট, জিনিস।
-
‘সাৎ’ প্রত্যয়যুক্ত সংস্কৃত শব্দেও সাধারণত ‘ষ’ ব্যবহৃত হয় না। যেমন: অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ।
উপসংহার:
তৎসম শব্দে সঠিক বানান নির্ধারণে মূর্ধন্য-ষ ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলো জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন আষাঢ় শব্দে 'ষ' স্বভাবতই ব্যবহার হয়েছে—এটি ষ-ত্ব বিধান অনুযায়ী নয়, বরং ব্যতিক্রমধর্মী একটি শব্দের উদাহরণ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ

0
Updated: 2 months ago
বাংলা অনুনাসিক স্বরধ্বনির সংখ্যা কতটি?
Created: 3 days ago
A
৫টি
B
৬টি
C
৭টি
D
৮টি
অনুনাসিক স্বরধ্বনি হলো সেই ধ্বনি, যেগুলোর উচ্চারণকালে মুখগহ্বরের পাশাপাশি নাসাগহ্বর দিয়েও বায়ু নির্গত হয়। সাধারণত মৌলিক স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় বায়ু শুধু মুখ দিয়ে বের হয় এবং কোমল তালু স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে। কিন্তু যখন কোমল তালু সামান্য নিচে নেমে যায়, তখন কিছু বায়ু নাক দিয়েও বেরিয়ে আসে, ফলে ধ্বনিগুলো অনুনাসিক স্বরধ্বনিতে পরিণত হয়।
বাংলা ভাষায় অনুনাসিক স্বরধ্বনির উপস্থিতি চিহ্নিত করার জন্য স্বরবর্ণের উপরে চন্দ্রবিন্দু (ঁ) ব্যবহার করা হয়।
মৌলিক স্বরধ্বনি (৭টি):
[ই], [এ], [অ্যা], [আ], [অ], [ও], [উ]
অনুনাসিক স্বরধ্বনি (৭টি):
[ইঁ], [এঁ], [অ্যাঁ], [আঁ], [অঁ], [ওঁ], [উঁ]
এইভাবে অনুনাসিকতা ধ্বনির উচ্চারণে একটি বিশেষ নাসিক গুণ যুক্ত করে, যা শব্দের ধ্বনিগত বৈচিত্র্য বৃদ্ধি করে।

0
Updated: 3 days ago