'সত্যকে স্বীকার করতে অনেক ব্যক্তিরাই চায়না।'- এখানে ভুল ঘটেছে-
A
বানান ও প্রত্যয়ের
B
অর্থ ও বচনের
C
অর্থ ও প্রত্যয়ের
D
বানান ও বচনের
উত্তরের বিবরণ
বাক্যটি “সত্যকে স্বীকার করতে অনেক ব্যক্তিরাই চায়না।” — এখানে দুটি প্রধান ভুল রয়েছে, একটি বানানজনিত এবং অন্যটি বচনজনিত। এই ভুলগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়—
বানানের ভুল:
-
“চায়না” শব্দটি প্রমিত বাংলা বানান নয়। সঠিক রূপ হলো “চায় না”।
-
“চায়না” কথ্য রূপে ব্যবহারযোগ্য হলেও লিখিত বা আনুষ্ঠানিক ভাষায় তা ভুল।
-
বাংলা একাডেমির প্রমিত বানান বিধি অনুযায়ী ক্রিয়াপদ ‘চাওয়া’-এর নেতিবাচক রূপে “চায় না” লেখা হয়।
-
উদাহরণ: “সে যেতে চায় না।”
বচনের ভুল:
-
“অনেক ব্যক্তিরাই” বাক্যাংশে “অনেক” ইতিমধ্যেই বহুবচন বোঝায়। তাই তার সঙ্গে “রা” প্রত্যয় যোগ করা অপ্রয়োজনীয়।
-
সঠিক হবে “অনেক ব্যক্তিই” অথবা “ব্যক্তিরাই” — উভয় রূপ ব্যাকরণসম্মত।
এই নিয়ম অনুযায়ী বাক্যটির শুদ্ধ রূপ হবে: “সত্যকে স্বীকার করতে অনেক ব্যক্তিই চায় না।”

0
Updated: 1 day ago
'যে জাতি মনে বড় নয়, সে জাতি জ্ঞানেও বড় নয়'- এই উক্তিটি কার?
Created: 3 days ago
A
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
B
কাজী মোতাহার হোসেন
C
প্রমথ চৌধুরী
D
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
‘যে জাতি মনে বড় নয়, সে জাতি জ্ঞানেও বড় নয়’ — এই গভীর তাৎপর্যপূর্ণ উক্তিটি করেছেন প্রমথ চৌধুরী। বাংলা সাহিত্যে তিনি ছিলেন চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক, আধুনিক গদ্য ভাষার নির্মাতা এবং ব্যঙ্গপ্রবন্ধের অগ্রদূত। তাঁর সাহিত্যচিন্তা ও ভাষার ব্যবহার বাঙালি মানসকে আধুনিকতার পথে নিয়ে গেছে।
প্রমথ চৌধুরীর বিখ্যাত উক্তিসমূহ:
-
“সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।”
-
“ব্যাধিই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নয়।”
-
“যে জাতি মনে বড় নয়, সে জাতি জ্ঞানেও বড় নয়।”
-
“বাংলা ভাষা আহত হয়েছে সিলেটে, আর নিহত হয়েছে চট্টগ্রামে।”
প্রমথ চৌধুরী সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
বাংলা সাহিত্যে প্রথম বিদ্রুপাত্মক প্রবন্ধ রচনাকারী এবং গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক হিসেবে পরিচিত।
-
ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক বাংলায় তিনিই।
-
তাঁর ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’।
-
তিনি সবুজপত্র (১৯১৪), বিশ্বভারতী, রূপ ও রীতি, এবং অলকা পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
প্রমথ চৌধুরীর রচনা:
-
কাব্যগ্রন্থ: সনেট পঞ্চাশৎ, পদচারণ।
-
গল্পগ্রন্থ: চার ইয়ারি কথা, আহুতি, নীল্লোহিত ও গল্পসংগ্রহ।
-
প্রবন্ধগ্রন্থ: তেল-নুন-লাকড়ি, বীরবলের হালখাতা (চলিত রীতির প্রথম গদ্য রচনা), নানাকথা, আমাদের শিক্ষা, রায়তের কথা, নানাচর্চা।

0
Updated: 3 days ago
'আ' উচ্চারণের সময়ে ঠোঁটের উন্মুক্তি কেমন?
Created: 2 weeks ago
A
অর্ধ-সংবৃত
B
বিবৃত
C
অর্ধ-বিবৃত
D
সংবৃত
বাংলা ভাষায় স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় ঠোঁট কতটুকু খোলা বা বন্ধ থাকে, তার ভিত্তিতে স্বরধ্বনি চার ভাগে বিভক্ত করা হয়।
-
সংবৃত স্বরধ্বনি: উচ্চারণের সময় ঠোঁট কম খোলে।
উদাহরণ: [ই], [উ] -
অর্ধ-সংবৃত স্বরধ্বনি:
উদাহরণ: [এ], [ও] -
অর্ধ-বিবৃত স্বরধ্বনি:
উদাহরণ: [অ্যা], [অ] -
বিবৃত স্বরধ্বনি: উচ্চারণের সময় ঠোঁট বেশি খোলে।
উদাহরণ: [আ]
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
প্রমিত বানানের নিয়ম অনুসারে, কোন বানানটি শুদ্ধ?
Created: 3 days ago
A
মূর্চ্ছা
B
অর্জ্জন
C
কার্য
D
কার্ত্তিক
প্রমিত বাংলা বানান অনুযায়ী “কার্য” শব্দটি শুদ্ধ বানান। বাংলা একাডেমি নির্ধারিত বানানরীতি অনুসারে, রেফ (র) যুক্ত হওয়ার পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব ব্যবহার করা হয় না। নিচে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম:
-
রেফ (র) যুক্ত হলে পরবর্তী ব্যঞ্জনবর্ণ দ্বিত্ব হয় না।
-
যেমন ভুল বানানগুলো— অর্জ্জন, ঊর্দ্ধ, কার্ত্তিক, কর্ম্ম, মূর্চ্ছা, কার্য্য —এর পরিবর্তে প্রমিত বানান হবে যথাক্রমে:
-
অর্জন
-
ঊর্ধ্ব
-
কার্তিক
-
কর্ম
-
মূর্ছা
-
কার্য
-
সুতরাং “কার্য” শব্দটি সঠিক ও প্রমিত বানান, কারণ এতে অপ্রয়োজনীয় দ্বিত্বব্যঞ্জন ব্যবহৃত হয়নি।

0
Updated: 3 days ago