শত্রুকে পরাস্থ করার জন্য কোন্ দার্শনিক 'গোপন গোয়েন্দাগিরি ও কূটনীতির' কথা বলেছেন?


A

প্লেটো


B

কৌতিল্য


C

এরিস্টটল


D

সক্রেটিস


উত্তরের বিবরণ

img

কৌতিল্য বা চাণক্য ছিলেন প্রাচীন ভারতের একজন বিশিষ্ট রাজনীতি-দার্শনিক ও অর্থনীতিবিদ, যারা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে রাজনীতিতে পরামর্শ দেন এবং রাজ্য পরিচালনা, কূটনীতি ও সামরিক কৌশলসহ বিস্তৃত বিষয় নিয়ে অর্থশাস্ত্র (Arthashastra) রচনা করেন।

  • অর্থশাস্ত্র (Arthashastra) ছিল তার প্রধান গ্রন্থ, যা রাজনীতি, অর্থনীতি, কূটনীতি ও সামরিক কৌশল বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দেয়।

  • কৌতিল্য বিশ্বাস করতেন যে রাজ্যকে সুরক্ষিত রাখতে গুপ্তচর নেটওয়ার্ক (spy network) বজায় রাখা অপরিহার্য; তিনি গুপ্তচর নিয়োগ ও তাদের কার্যপ্রণালীর বিষয়ে সূক্ষ্ম নির্দেশ দিয়েছেন।

  • তাঁর কূটনৈতিক কৌশলগুলোর মধ্যে প্রাধান্য পেয়েছে: বিভাজন সৃষ্টি (Bheda), মিথ্যা বা প্রচার (Prachar)বন্ধুত্বের আড়ালে দুর্বল করা (Sama) — শত্রুকে বিভক্ত ও দুর্বল করে সুবিধা অর্জন করার নীতি।

  • শত্রু পরাস্ত করার নির্দিষ্ট নীতিসমূহ ছিল: Sama (persuasion) — বন্ধুত্ব ও সমঝোতা; Dana (gift/bribery) — প্রলোভন প্রদানের মাধ্যমে প্রভাবিত করা; Bheda (division) — শত্রুকে বিভক্ত করা; Danda (force/punishment) — প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ।

  • কৌতিল্যের দৃষ্টিতে রাজনীতি ও যুদ্ধ কেবল সামরিক শক্তির ওপর নির্ভর করে না; গোপন গোয়েন্দাগিরি, কৌশলগত কূটনীতি ও অর্থনৈতিক নীতি একসঙ্গে কাজ করে রাজ্য পরিচালনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

  • তুলনামূলকভাবে, প্লেটো প্রধানত ন্যায় ও আদর্শ রাষ্ট্রের আলোচনা করেন এবং তাঁর রচনায় গুপ্তচর বা কূটনীতির ওপর বিশেষ জোর নেই।

  • এরিস্টটল শাসন, নৈতিকতা ও নাগরিক গুণাবলীর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন; তাঁর রাজনৈতিক বিশ্লেষণে গুপ্তচর ব্যবস্থার নির্দেশ নেই।

  • সক্রেটিস ছিলেন নৈতিক ও দর্শনী প্রশ্নোত্তরের পদ্ধতির প্রবক্তা; তাঁর চিন্তাধারাও কূটনীতি বা গুপ্তচর ব্যবস্থার দিকে নয়।

Unfavorite

0

Updated: 1 day ago

Related MCQ

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD