দক্ষিণ পূর্ব এশীয় দেশ সমূহের সাথে অর্থনৈতিক কূটনীতি সফল হলে- i) বাংলাদেশের রফতানি বাজার সম্প্রসারন হবে; ii) আঞ্চলিক ক্ষেত্রে সংযোগ স্থাপিত হবে; iii) বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে; কোনটি সঠিক?
A
i
B
i ও ii
C
ii ও iii
D
i, ii, ও III
উত্তরের বিবরণ
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক কূটনীতি (Economic Diplomacy) সফল হলে তা বাংলাদেশের জন্য বহুমাত্রিক ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই কূটনীতির মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগ আকর্ষণের সুযোগ তৈরি হয়, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে।
-
রফতানি বাজার সম্প্রসারণ:
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের পণ্য—যেমন রেডিমেড গার্মেন্টস, কৃষিজ পণ্য, চামড়াজাত ও শিল্পজাত পণ্য—নতুন বাজারে প্রবেশের সুযোগ পায়।
এর ফলে রফতানি আয় বৃদ্ধি পায় এবং বাণিজ্য ভারসাম্য উন্নত হয়। -
আঞ্চলিক সংযোগ স্থাপন:
অর্থনৈতিক কূটনীতির মাধ্যমে যোগাযোগ, পরিবহন ও বাণিজ্যিক অবকাঠামো উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
রেলপথ, সড়ক, সমুদ্রপথ ও কন্টেইনার রুট সম্প্রসারণের মাধ্যমে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও পণ্য পরিবহন সহজতর হয়।
এটি শুধু বাণিজ্যিক সংযোগ নয়, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কও শক্তিশালী করে। -
বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি:
স্থিতিশীল ও সহযোগিতামূলক আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা জোগায়।
এর ফলে বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (FDI) বৃদ্ধি পায়, যা শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরে সহায়তা করে।
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের কারণে বাংলাদেশ আঞ্চলিক উৎপাদন কেন্দ্র ও সরবরাহ শৃঙ্খলার গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হতে পারে। -
অর্থনৈতিক কূটনীতির সামগ্রিক প্রভাব:
এই ধরনের সহযোগিতা শুধু অর্থনৈতিক দিকেই নয়, রাজনৈতিক আস্থা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও কৌশলগত সম্পর্ক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ফলে বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবাহে আরও গভীরভাবে সম্পৃক্ত হতে পারে।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কূটনীতি বলতে আমরা বুঝি-
Created: 23 hours ago
A
বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন সহযোগীতা
B
বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সামরিক সহযোগীতা
C
বিনিয়োগ, উন্নয়ন ও সামরিক সহযোগীতা
D
বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও সামাজিক সহযোগীতা
অর্থনৈতিক কূটনীতি (Economic Diplomacy) হলো এমন একটি রাষ্ট্রীয় নীতি ও কৌশল, যার মাধ্যমে একটি দেশ তার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরিচালনা, অর্থনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণ এবং উন্নয়নমূলক লক্ষ্য অর্জন করে থাকে। এটি মূলত রাজনৈতিক কূটনীতির পরিবর্তে অর্থনৈতিক কার্যক্রম ও পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার একটি কৌশলগত প্রক্রিয়া।
-
বাণিজ্য (Trade):
-
অর্থনৈতিক কূটনীতির অন্যতম লক্ষ্য হলো রফতানি ও আমদানি সম্পর্ক সম্প্রসারণ করা।
-
এ প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি, শুল্ক হ্রাস, বাজার সম্প্রসারণ ও পণ্যের রফতানি বৃদ্ধি সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নেয়।
-
বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ শক্তিশালী হয়।
-
-
বিনিয়োগ (Investment):
-
অর্থনৈতিক কূটনীতি বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) আকর্ষণ এবং দেশীয় বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব দেয়।
-
এই মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা ফোরাম গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
-
এর ফলে দেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও প্রযুক্তি স্থানান্তর বৃদ্ধি পায়।
-
-
উন্নয়ন সহযোগিতা (Development Cooperation):
-
আন্তর্জাতিক সংস্থা ও উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে অর্থনৈতিক সাহায্য, প্রকল্প সহযোগিতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পাওয়া অর্থনৈতিক কূটনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
-
এ ধরনের সহযোগিতা দেশের পরিকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ খাতে উন্নয়ন ঘটায়।
-
-
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে:
-
বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক কূটনীতির মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদার করছে।
-
এই কৌশল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা ও বৈদেশিক সম্পর্ক মজবুত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
-
বাংলাদেশ বর্তমানে বাণিজ্যিক কূটনীতি, বিনিয়োগ প্রচারণা ও উন্নয়ন অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিমণ্ডলে নিজের অবস্থান দৃঢ় করছে।
-
-
সামরিক বা সামাজিক সহযোগিতা অর্থনৈতিক কূটনীতির অংশ নয়।
-
অর্থনৈতিক কূটনীতি মূলত অর্থনৈতিক স্বার্থ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগকেন্দ্রিক উদ্যোগের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়।
-
-
সার্বিকভাবে, অর্থনৈতিক কূটনীতি একটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা, বৈদেশিক সম্পর্কের গভীরতা এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অবস্থান সুদৃঢ় করার অন্যতম কৌশলগত উপায়।

0
Updated: 23 hours ago