বাংলাদেশ ASEAN জোটে কোন্ ধরনের মর্যাদা ভোগ করছে?
A
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রাষ্ট্র
B
পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র
C
পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র
D
আলোচনাসঙ্গী রাষ্ট্র
উত্তরের বিবরণ
আসিয়ান (ASEAN) বা Association of Southeast Asian Nations হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা, যা ১৯৬৭ সালের ৮ আগস্ট থাইল্যান্ডের ব্যাংককে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য ছিল অঞ্চলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার একটি দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তোলা।
-
আসিয়ানের মূল লক্ষ্য হলো আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ, এবং সংস্কৃতি, শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা উন্নয়ন করা।
-
সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয় আঞ্চলিক একতা ও উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে, যাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে।
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য রাষ্ট্র (Founding Members):
-
থাইল্যান্ড
-
ইন্দোনেশিয়া
-
মালয়েশিয়া
-
ফিলিপাইন
-
সিঙ্গাপুর
পূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র (Full Members):
-
থাইল্যান্ড
-
ইন্দোনেশিয়া
-
মালয়েশিয়া
-
ফিলিপাইন
-
সিঙ্গাপুর
-
ব্রুনেই দারুসসালাম
-
ভিয়েতনাম
-
লাওস
-
মিয়ানমার
-
কম্বোডিয়া
পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র (Observer States):
-
পাপুয়া নিউ গিনি
-
পূর্ব তিমুর (Timor-Leste)
আলোচনা সঙ্গী রাষ্ট্র (Dialogue Partners):
-
এই মর্যাদা সাধারণত উন্নত অর্থনীতি ও প্রভাবশালী দেশগুলিকে দেওয়া হয়, যেমন –
ভারত, চীন, কানাডা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। -
এই দেশগুলো ASEAN Dialogue Partners হিসেবে প্রতি বছর ASEAN Regional Forum (ARF) এবং East Asia Summit-এ অংশগ্রহণ করে।
-
এসব সহযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করা।
খাতভিত্তিক আলোচনা সঙ্গী রাষ্ট্র (Sectoral Dialogue Partner):
-
বাংলাদেশ ১৯৯২ সালে আসিয়ানের Sectoral Dialogue Partner মর্যাদা লাভ করে।
-
এই মর্যাদার অর্থ হলো—বাংলাদেশ আসিয়ানের সঙ্গে নির্দিষ্ট খাতভিত্তিক (যেমন: বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি) সহযোগিতা ও আলোচনা করতে পারে, তবে নীতিনির্ধারণ বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে না।
-
এই সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক ও নীতিগত সম্পর্ক শক্তিশালী করতে সক্ষম হয়েছে, যা আঞ্চলিক কূটনীতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

0
Updated: 1 day ago