মধ্য যুগের কোন কাব্যকে 'নাট-গীত-পাঞ্চালী' বলা হয়?
A
চণ্ডীমঙ্গল কাব্য
B
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
C
পদ্মাবতী
D
পদ্মপুরাণ
উত্তরের বিবরণ
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন মূলত একটি যাত্রার পালা হিসেবে রচিত হয়েছিল। কাব্যটি সংস্কৃত গীতগোবিন্দের অনুরূপ গীতি ও সংলাপ বহুল রচনা, যার মধ্যে নাট্যলক্ষণ স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত, তাই এটি নাট্যগীতিকাব্য হিসেবেও পরিচিত।
-
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যধারার শ্রেষ্ঠ কবি ছিলেন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী।
-
পদ্মপুরাণ বা মনসামঙ্গল রচনাকারী ছিলেন বিজয়গুপ্ত।

0
Updated: 1 day ago
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম নিদর্শন কী?
Created: 1 month ago
A
চর্যাপদ
B
বৈষ্ণব পদাবলী
C
নাথ সাহিত্য
D
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য। এটি রাধাকৃষ্ণের প্রনয়কথা বিষয়ক একটি আখ্যান কাব্য। এটি রচনা করেন বড়ু চন্ডীদাস।
১৯০৯ সালে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ পশ্চিম বঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের নিকটটবর্তী কাকিল্যা গ্রামের দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় নামক এক ব্রাহ্মণের বাড়ির গোয়ালঘর এর মাচার উপর থেকে এর পুঁথি আবিষ্কার করেন। অন্যদিকে, মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন বৈষ্ণব পদাবলি।

0
Updated: 1 month ago
'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের প্রথম খণ্ডের নাম কী?
Created: 2 months ago
A
জন্মখন্ড
B
তাম্বুলখণ্ড
C
দানখণ্ড
D
রাধাবিরহ
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বাংলা ভাষায় লেখা মধ্যযুগের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এটি মূলত রাধা ও কৃষ্ণের প্রেমকাহিনি নিয়ে তৈরি একটি গীতিনাট্য (গান ও নাটকের মিশ্র রচনা)।
এই কাব্যে মোট ১৩টি খণ্ড আছে এবং ৪১৮টি পদ (ছোট কবিতা বা গান) দিয়ে সাজানো হয়েছে।
-
কাব্যের প্রথম খণ্ড হলো – জন্ম খণ্ড, যেখানে কৃষ্ণের জন্মকথা বলা হয়েছে।
-
শেষ খণ্ড হলো – বিরহ খণ্ড, যেখানে রাধা-কৃষ্ণের বিচ্ছেদের বেদনা তুলে ধরা হয়েছে।
এ কাহিনির মূল উৎস ভাগবত পুরাণ হলেও, এর মধ্যে গীতগোবিন্দ (জয়দেব রচিত) এবং অন্যান্য পুরাণের প্রভাব দেখা যায়।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের ১৩টি খণ্ড
১. জন্ম খণ্ড
২. তাম্বুল খণ্ড
৩. দান খণ্ড
৪. নৌকা খণ্ড
৫. ভার খণ্ড
৬. ছত্র খণ্ড
৭. বৃন্দাবন খণ্ড
৮. কালিয়দমন খণ্ড
৯. যমুনা খণ্ড
১০. হার খণ্ড
১১. বাণ খণ্ড
১২. বংশী খণ্ড
১৩. বিরহ খণ্ড
প্রধান তিনটি চরিত্র
১. কৃষ্ণ – যিনি পরমাত্মা বা সৃষ্টিকর্তা।
২. রাধা – যিনি জীবাত্মা বা প্রেমিক আত্মা।
৩. বড়াই – যিনি রাধা ও কৃষ্ণের মধ্যে দূতী বা সংযোগকারী।
উৎস: বাংলাপিডিয়া এবং 'বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস' – মাহবুবুল আলম।

0
Updated: 2 months ago
'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য' কোথা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল?
Created: 3 weeks ago
A
নেপালের রাজদরবার থেকে
B
গোয়ালঘর থেকে
C
পাঠশালা থেকে
D
কান্তজীর মন্দির থেকে
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বাংলায় রচিত মধ্যযুগের প্রথম কাব্য এবং এটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একক গ্রন্থ। এই কাব্যটির রচয়িতা হলো বড়ু চণ্ডীদাস, যা বাংলা সাহিত্যে একক রচনার ধারা সূচিত করে।
-
রচয়িতা: বড়ু চণ্ডীদাস।
-
উদ্ধার: ১৯০৯ সালে (১৩১৬ বঙ্গাব্দে) বসন্তরঞ্জন রায় পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামের দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়ালঘরের মাচা থেকে গ্রন্থটি উদ্ধার করেন।
-
প্রথম পৃষ্ঠার অবস্থা: আবিষ্কারের সময় গ্রন্থের প্রথম পৃষ্ঠায় কোনো নাম লেখা ছিল না। সম্পাদক বসন্তরঞ্জন রায় গ্রন্থটির নাম দেন শ্রীকৃষ্ণকীর্তন। একে শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামেও অভিহিত করা হয়।
-
প্রকাশ: ১৯১৬ সালে (১৩২৩ বঙ্গাব্দে) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।
-
সংরচনা: কাব্যটি ১৩টি খন্ডে বিভক্ত। খন্ডগুলোর নাম হলো: জন্মখন্ড, তাম্বূলখন্ড, দানখন্ড, নৌকাখন্ড, ভারখন্ড, ছত্রখন্ড, বৃন্দাবনখন্ড, কালীয়দমনখন্ড, যমুনাখন্ড, হারখন্ড, বাণখন্ড, বংশীখন্ড এবং বিরহখন্ড (রাধাবিরহ)।
-
চরিত্র: এতে প্রধান তিনটি চরিত্র রয়েছে — রাধা, কৃষ্ণ ও বড়ায়ি।

0
Updated: 3 weeks ago