জীবনান্দ দাশের কাব্য ভাষার স্বকীয় বৈশিষ্ট্য কোনটি?
A
সাধু ভাষা প্রভাবিত
B
বিশুদ্ধ চলিত ভাষার মৌখিক রুপ
C
কলকাতার উপভাষার আধিক্য
D
সাধু ও চলিত ভাষার মিশেল
উত্তরের বিবরণ
জীবনানন্দ দাশের কাব্যভাষা স্বকীয় এবং স্বতন্ত্র। তাঁর কবিতায় দেখা যায় সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার মিশ্রণ, যা কবিতাকে বিশেষ সৌন্দর্য ও গভীরতা প্রদান করে।
-
জীবনানন্দ দাশ রবীন্দ্র-পরবর্তী আধুনিক কাব্যধারায় নতুন ভাব ও ভাষার সৃষ্টি করেন।
-
তাঁর কবিতায় সাধু ও চলিত ভাষার সমন্বয় দেখা যায়, যা পাঠকের মনে এক অনন্য সুর ও ছন্দ তৈরি করে।
উদাহরণ: "বনলতা সেন" কবিতা থেকে:
-
"হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে"
-
হাঁটিতেছি → সাধু ভাষার ক্রিয়াপদ
-
ধরে, পথ → চলিত ভাষার ব্যবহার
-
এভাবে সাধু ও চলিত ভাষার সংমিশ্রণ জীবনানন্দ দাশের কবিতাকে বিশেষ স্বতন্ত্রতা প্রদান করে।

0
Updated: 1 day ago
জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুর পর কোন কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
ঝরাপালক
B
রূপসী বাংলা
C
বনলতা সেন
D
সাতটি তারার তিমির
সঠিক উত্তর হলো: খ) রূপসী বাংলা। জীবনানন্দ দাশের ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থটি তাঁর মৃত্যুর তিন বছর পর ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত হয়।
এই কাব্যগ্রন্থে জীবনের গ্রামীণ দৃশ্য, প্রকৃতি ও বাংলার সৌন্দর্যের প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসা ফুটে উঠেছে এবং এটি তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্য হিসেবে বিবেচিত।
• ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থের প্রকাশ:
-
জীবনানন্দ দাশ ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর মারা যান।
-
মৃত্যুর পর ১৯৫৭ সালে ‘রূপসী বাংলা’ প্রকাশিত হয়।
-
কাব্যগ্রন্থটি বাংলার প্রকৃতি, গ্রামীণ জীবন ও সৌন্দর্যের প্রতি কবির গভীর অনুরাগের প্রতিফলন।
• কাব্যগ্রন্থটির বৈশিষ্ট্য:
-
কবিতাগুলি মূলত সনেট আকারের।
-
বিষয়বস্তুতে রয়েছে বাংলার গ্রাম, নদীনালা, পশু-পাখি, উৎসব ও অনুষ্ঠান।
-
‘আবার আসিব ফিরে’ কাব্যটির একটি বিখ্যাত কবিতা।
• অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ:
-
ঝরা পালক:
-
জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থ, প্রকাশিত ১৯২৭ সালে।
-
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী প্রকৃতিকে কবিতায় তুলে ধরা হয়েছে।
-
রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল ইসলাম ও সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
-
-
বনলতা সেন:
-
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা কাব্য, প্রকাশিত ১৯৪২ সালে।
-
‘বনলতা সেন’ কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা।
-
কাব্যে প্রেম, প্রকৃতি, ইতিহাস ও ব্যক্তিগত অনুভূতির সমাহার ফুটে উঠেছে।
-
-
সাতটি তারার তিমির:
-
জীবনানন্দের পঞ্চম কাব্যগ্রন্থ, প্রকাশিত ১৯৪৮ সালে।
-
প্রথম কবিতা ‘আকাশনীলা’।
-
বইটি হুমায়ুন কবিরকে উৎসর্গ করা।
-

0
Updated: 3 weeks ago
'সেইদিন এই মাঠ' কবিতার রচয়িতা কে?
Created: 1 week ago
A
রণেশ দাশগুপ্ত
B
বুদ্ধদেব বসু
C
জীবনানন্দ দাশ
D
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
‘সেইদিন এই মাঠ’ জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ ‘রূপসী বাংলা’-র প্রথম কবিতা। এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় কবির মৃত্যুর পর, ১৯৫৭ সালে এবং উৎসর্গ করা হয়েছে **‘আবহমান বাংলা, বাঙালী’**কে। কবিতায় জীবনানন্দের বাংলা ও বাংলার প্রকৃতি, স্মৃতি ও সৌন্দর্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ফুটে ওঠে।
জীবনানন্দ দাশ জন্মগ্রহণ করেন ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে, এবং তাঁদের আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রামে। তাঁকে সাধারণত ধূসরতার কবি বলা হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কবিতাকে চিত্ররূপময় কবিতা হিসেবে প্রশংসা করেছেন।
জীবনানন্দ দাশের রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
ঝরাপালক (প্রথম প্রকাশিত)
-
ধূসর পান্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
রূপসী বাংলা
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
বেলা অবেলা কালবেলা

0
Updated: 1 week ago
"আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে – এই বাংলায় হয়তো মানুষ নয় – হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে।" - কে লিখেছেন?
Created: 1 month ago
A
আল মাহমুদ
B
সুকুমার রায়
C
জীবনানন্দ দাশ
D
অতুলপ্রসাদ সেন
আবার আসিব ফিরে – জীবনানন্দ দাশ
কবিতা:
"আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে – এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয় – হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে।"
(সংকলন: আবার আসিব ফিরে কবিতা থেকে)
কবিতা বিষয়ক তথ্য:
কবির নাম: জীবনানন্দ দাশ
এই কবিতায় কবি মৃত্যুর পরও বাংলার প্রকৃতিতে ফিরে আসার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন।
নদী, মাঠ, ক্ষেত, পাখি, ভোরের কাক, হাঁস—এসব গ্রামীণ প্রকৃতির রূপের মধ্য দিয়ে কবির গভীর স্বদেশপ্রেম ফুটে উঠেছে।
জীবনানন্দ দাশ – সংক্ষিপ্ত পরিচয়:
জন্ম: ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, বরিশালে।
আদি নিবাস: বিক্রমপুরের গাওপাড়া গ্রাম।
ডাক নাম: মিলু।
মাতা: কুসুমকুমারী দাশ – তিনি নিজেও ছিলেন কবি।
মৃত্যু: ১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর কলকাতায় এক ট্রাম দুর্ঘটনায় আহত হয়ে; ২২ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
ধূসর পাণ্ডুলিপি
বনলতা সেন
মহাপৃথিবী
সাতটি তারার তিমির
রূপসী বাংলা
উৎস: বাংলা ভাষা সাহিত্য জিজ্ঞাসা; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago